কলকাতা বিজন সেতুতে ক্যালকাটা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের তরফ থেকে খোদাই করা ফলক সম্পর্কে কবি সুব্রত মিত্র

Sdílet
Vložit
  • čas přidán 24. 06. 2024
  • হায়রে_শিক্ষিত_বাঙালি, #শেষমেষ_তোরা_সবই_খোয়ালি ?
    গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে আমি ই•এম• বাইপাসের দিক থেকে গড়িয়াহাটের দিকে হেঁটে যেতে যেতে #বিজন_সেতুর ওপরে ওঠার সময় ব্রীজের শুরুতেই বাঁ হাতে #বীর #শহীদ #বিজন_কুমার_বসু সম্পর্কে #ক্যালকাটা_ইমপ্রুভমেন্ট_ট্রাস্টের দ্বারা খোদাই করে রাখা পাথরের ফলকটি চোখে পড়ল। কিন্তু দুঃখের বিষয় পাথরের ওপরে বাংলা হরফে খোদাই করা অক্ষরগুলি এক্কেবারেই পড়া যাচ্ছিল না কারণ অক্ষরগুলো পুরোটাই বয়স জনিত বা সামাজিক অত্যাচারের কারণে হয়তো মুছে গেছে। এখানেই শেষ নয়। আরো আশ্চর্য এবং লজ্জার বিষয় হল; ফলকটির সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পথচারীরা এবং নাগরিকগণেরা অত্যন্ত দায়িত্বের সাথে মুত্র ত্যাগের প্রতিযোগিতা করছেন দিবালোকে, সর্বক্ষণ, নির্দ্বিধায়। আমার চোখে পড়া মাত্রই তাৎক্ষণিকভাবে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে পাথরে খোদাই করা ঐ লেখাটি একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পড়ার চেষ্টা করি এবং তা সোশ্যাল মিডিয়া একাধিক প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরি। গত পরশুদিন অর্থাৎ ২৩ শে জুন ২০২৪ আমার হোয়াটসঅ্যাপে সুদুর আসানসোল থেকে #বীর #শহীদ_বিজন_কুমার_বসুর পরিবারের সদস্যেরা যোগাযোগ করেন। তারা শহীদ #বিজন_কুমার_বসুর নামে নির্মিত ফটকটি কোন সংস্করণ করতে চাইছেন। এ বিষয়ে তারা সরকারের নিকট দারস্থ হতে আমাকেও সাথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।তারা আমার সাথে এ বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। আমার কাছে ভীষণ আশ্চর্য লাগল যে, পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতের প্রশাসনিক স্তরের উচ্চ পদস্থ কারুরই চোখে পড়ল না আমার এই ভিডিও বার্তাটি ? আমার লেখাগুলিও কেউ দেখলেন না ?বলার অপেক্ষা রাখে না যে; লেখালেখির সূত্র ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার আমার ফ্রেইন্ডস ফলোয়ার রয়েছেন যাদের মধ্যে অনেকেই সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছেন তাদের নিজস্ব যোগ্যতার দ্বারাই। এদের মধ্যে কেউ কেউ রয়েছেন এম•এ•ল এ, কেউ কেউ রয়েছেন কাউন্সিলর; কেউ আবার মন্ত্রী; কেউ রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় নেতা বা নেত্রী, রয়েছেন অগণিত শিল্পী সাহিত্যিক এবং স্বয়ং বোদ্ধা বুদ্ধিজীবী গণেরাও। তথাপি বাঙালির দায়িত্ববোধের একি পরিহাসের পরিচয় ?দীর্ঘ চার মাস হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও #শহীদ #বিজন_কুমার_বসুর সম্পর্কে ৬ই ফেব্রুয়ারির আমার সেই সেদিনের ভিডিও বার্তাগুলি সচেতন বাঙালিগণের কানে পৌঁছয়নি আজও। চোখে পড়েনি কোন বুদ্ধিজীবী মহলের কোন ব্যক্তিত্বের ? হয়তো পড়েছে নিশ্চয়ই, তারা দেখেও না দেখার ভান করেছেন। কিন্তু কেন এই দ্বিচারিতা ? ঋষি; মনীষী; বাঙালি বীর-শহীদ; এমনকি কবি সাহিত্যিকদের উপরে এই উদাসীনতার জন্ম নিল কেন ? একজন শহীদের সম্মান রক্ষা কি শহীদদের পরিবারের সদস্যদেরই দায় ? রাষ্ট্রের বা রাজ্যের কোন দায় নেই ? এইসব মহামানবেরা কি কারণে এত স্মরণীয় ? সমাজের প্রতি তাদের কি ভূমিকা ছিল ? আজকাল যুব সমাজের মধ্যে তাদেরকে জানার ইচ্ছের অভাব দেখা যায়।আমরা দিনে দিনে এ কোন সভ্য বাঙালি হতে অসভ্যতার দিকে এগিয়ে চলেছি ?
    ✍️ কবি সুব্রত মিত্র

Komentáře • 6