কৃপণ আনন্দ শ্রেষ্টীর উপাখ্যান ধম্মদ অর্থকথা থেকে নেয়া হয়েছে buddho hoda 24
Vložit
- čas přidán 9. 09. 2024
- কৃপণ আনন্দ শ্রেষ্টীর উপাখ্যান ধম্মদ অর্থকথা থেকে নেয়া হয়েছে
শ্রাবস্তীতে আনন্দ শ্রেষ্ঠী নামে চল্লিশ কোটি বিভবসম্পন্ন অথচ মহাকৃপণ এক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মাসের প্রতিপক্ষে জ্ঞাতিগণকে একত্রিত করিয়া পুত্র মূলাশ্রীকে তিন বেলা উপদেশ দিতেন, ‘এই চল্লিশ কোটি ধন ‘অনেক বেশি’ এই কথা মনে করিও না। যে ধন আছে তা দিবে না। নতুন ধন উৎপাদন করিতে হইবে। এক একটি কার্ষাপণ খরচ করিতে করিতে ধন ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। সেইজন্য :
অঞ্জনসমূহের ক্ষয় দেখিয়া, পিপীলিকাদের সঞ্চয় দেখিয়া এবং মধুকরদের (মধু) আহরণ দেখিয়া, পণ্ডিত ব্যক্তির গৃহে বাস করা উচিত (অর্থাৎ ব্যয় হইতেই থাকিবে জানিয়া সঞ্চয় করা বিধেয়)।
তিনি অন্য এক সময় নিজে পঞ্চনিধির কথা পুত্রকে না জানাইয়া ধনগর্বিত ও কার্পণ্যদোষদৃষ্ট হইয়া কালগত হইয়া সেই নগরেই দ্বারপ্রদেশে বসবাসকারী সহস্র চণ্ডাল পরিবারের এক চণ্ডালীর গর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহন করিলেন (গর্ভে উৎপন্ন হইলেন)। রাজা তাঁহার মৃত্যুসংবাদ শুনিয়া পুত্র মূলাশ্রীকে ডাকাইয়া শ্রেষ্ঠীস্থানে প্রতিষ্ঠিত করিলেন। সেই সহস্র চণ্ডাল পরিবার একত্রে জীবিকা অর্জন করিয়া জীবন ধারণ করিত। কিন্তু সেই (কৃপণ শ্রেষ্ঠী মৃত্যুর পর চণ্ডালীর কুক্ষিতে) ব্যক্তি প্রতিসন্ধি গ্রহণের পর হইতে তাহাদের জীবিকা বন্ধ হইয়া গেল। তাহারা দিনযাপন করিবার জন্য বিন্দুমাত্র অন্নও লাভ করিত না। তাহারা ভাবিল, ‘আমরা এখন কাজ করিয়াও বিন্দুমাত্র অন্নও লাভ করিতেছি না। আমাদের মধ্যে কোন কালকর্ণীর আবির্ভাব হইয়াছে বোধ হয়। এই বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া সমস্ত চণ্ডাল পরিবার দ্বিধাবিভক্ত হইল। তখন তাহারা দৃঢ়নিশ্চয় হইল যে ‘এই পরিবারেই কালকর্ণী জন্মিয়াছে’ এবং তাহারা ঐ চণ্ডালীকে বহিষ্কৃত করিল।
সেও (অর্থাৎ চণ্ডালী) যতদিন সে (কৃপণ শ্রেষ্ঠী) কুক্ষিগত ছিল ততদিন অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ করিয়া পুত্রের জন্ম দিল। তাহার হাত, পা, চোখ, কান, নাক, মুখ যথাস্থানে ছিল না (অর্থাৎ বিকলাঙ্গ ছিল)। সে এইরূপ অঙ্গবৈকল্যযুক্ত হওয়াতে পাংশুপিশাচের ন্যায় কুৎসিত দর্শন হইয়াছিল। তৎসত্ত্বেও মাতা তাহাকে পরিত্যাগ করে নাই। যাহাকে গর্ভে ধারণ করা হয় তাহার প্রতি স্নেহ বলবান হয়। সে তাহাকে অতিকষ্টে লালন-পালন করিতে লাগিল। (পুত্রটি এতই অভাগা যে) যেদিন পুত্রকে সঙ্গে লইয়া যায় মা কিছুই পায় না। আর যেদিন পুত্রকে গৃহে রাখিয়া যায়, সেদিন মা তথাপি কিছু পাইয়া থাকে। যখন ছেলেটি বড় হইল অর্থাৎ স্বয়ং ভিক্ষাচর্যার দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করিতে পারিবে মনে হইল তখন একদিন মা তাহার হাতে একটি কপালক (এক প্রকার ভিক্ষাপাত্র) হাতে দিয়া বলিল, ‘বৎস, তোমার জন্য আমরা মহাদুঃখে পতিত হইয়াছি। তোমাকে আমরা আর পোষণ করিতে পারিব না। এই নগরে ভিখারীদের জন্য অন্নসত্রের ব্যবস্থা আছে। সেখানে ভিক্ষা করিয়া তুমি বাঁচিবার চেষ্টা কর’ এই বলিয়া তাহাকে পরিত্যাগ করিল।
সে এক গৃহ হইতে অন্য গৃহ এইভাবে ঘুরিতে ঘুরিতে (পূর্ব জন্মের) আনন্দ শ্রেষ্ঠীর জন্মস্থানে যাইয়া জাতিস্মর জ্ঞান হইয়া নিজের গৃহে প্রবেশ করিব। তিনটি দ্বার প্রকোষ্ঠে কেহই তাহাকে দেখিতে পাইল না। চতুর্থ দ্বারপ্রকোষ্ঠকে মূলাশ্রী শ্রেষ্ঠীর পুত্রগণ তাহাকে দেখিয়া উদ্বিগ্ন হৃদয়ে কাঁদিতে লাগিল। তখন শ্রেষ্ঠীর লোকজনেরা আসিয়া তাহাকে দেখিয়া ‘হে কালকর্ণী, তুমি দূর হও’ বলিয়া তাহাকে প্রহার করিয়া টানিতে টানিতে আবর্জনাস্তূপে ফেলিয়া দিল। শাস্তা আনন্দকে লইয়া পিণ্ডাচরণ করিতে করিতে সেই স্থানে উপস্থিত হইয়া স্থবিরের দিকে তাকাইয়া জিজ্ঞাসা করিলে স্থবির সব বৃত্তান্ত জানাইলেন। স্থবির মূলাশ্রীকে ডাকাইলেন। তখন অনেক লোকের সমাগম হইল। শাস্তা মূলাশ্রীকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘তুমি ইহাকে জান?’
‘না ভন্তে, জানি না।’
‘ইনি তোমার পিতা আনন্দ শ্রেষ্ঠী।’ কিন্তু পুত্র বিশ্বাস করিল না। তখন শাস্তা আনন্দ শ্রেষ্ঠীকে বলিলেন, ‘আনন্দ শ্রেষ্ঠী, তোমার পঞ্চনিধি কোথায় আছে পুত্রকে দেখাইয়া দাও।’ আনন্দ শ্রেষ্ঠী, দেখাইয়া দিলে তাহার পুত্র তাহাকে বিশ্বাস করিল। সে তখন শাস্তার শরণাগত হইল। তাহাকে ধর্মদেশনাচ্ছলে শাস্তা এই গাথা বলিলেন :
‘আমার পুত্র আছে, আমার ধন আছে’ মূর্খেরা এইরূপ চিন্তা করিয়া যন্ত্রণা ভোগ করে। যখন নিজেই নিজের নহে, তখন পুত্র কিংবা ধন কিভাবে আপনার হইবে?’ ধর্মপদ, শ্লোক-৬২
#buddho_hoda_24 buddho hoda buddhor hoda
Rahul oh bepare janibar sang 🙏
Eyot pebe
czcams.com/video/XpPkjD8HHPQ/video.htmlsi=4jpeHEfcir-L9q_z
Sadhu3
sadhu sadhu. Ekkittun durinei ei channello ama official channel. Agendi buddhor hoda channello video ani o sei pariba. Hintu sibs bottomane ami larchar no gori r