মুসলিম স্থাপত্যশিল্পের অনন্য নির্দশন হাজীগঞ্জের বড় মসজিদ| Haziganj Grand Mosque | চাদপুর হাজীগঞ্জ।।

Sdílet
Vložit
  • čas přidán 17. 12. 2023
  • ঐতিহ্যবাহী হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ। লোকমুখে খ্যাতির শীর্ষে থাকা মসজিদগুলোর অন্যতম হলোÑ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানা সদরের ঐতিহ্যবাহী হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ। ১০৩ বছরের পুরনো ২৮ হাজার ৪০৫ বর্গফুটের এ বিশাল মসজিদে নামাজ পড়তে এবং এর ভেতরের নকশা ও ১২৮ ফুটের সুউচ্চ মিনার দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় লেগেই থাকে। দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ। কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়ক সংলগ্ন হাজীগঞ্জ বাজারের প্রাণকেন্দ্রে ১৯১৮ সালে নির্মিত মসজিদটির স্থাপনাশৈলী এখনো মানুষকে বিমোহিত করে। ১৩২৫ বাংলা সনে হাজীগঞ্জের স্থানীয় হাজি আহমাদ আলী পাটোয়ারি মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ওয়াকফ করেন।
    চাঁদপুর জেলা শহরের ২০ কিলোমিটার পূর্বে কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মসজিদটি মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের অনন্য নিদর্শন। সুউচ্চ মিনার ও দ্বিতল মসজিদটির ভেতর-বাইরের কারুকাজ সবার নজর কাড়ে। মসজিদ নির্মাণের আগে প্রতিষ্ঠা ও মোতাওয়াল্লি হাজি আহমাদ আলী পাটোয়ারি নিজেই এ স্থাপনার পুরো নকশা তৈরি করেন। তার নিজস্ব চিন্তায় সহযোগিতা করেন তৎকালীন শিল্পী আবদুর রহমান ওস্তাগার। মসজিদ নির্মাণকাজে কোনো প্রকৌশলীর পরামর্শ নেননি মোতাওয়াল্লি হাজি আহমাদ আলী পাটোয়ারি। বর্তমানে হাজি আহমাদ আলী পাটোয়ারির ওয়াকফ সম্পত্তিতে গড়ে উঠেছে হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ কমপ্লেক্স। মসজিদ পরিচালনায় সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ রয়েছে ৯ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি।
    ইতিহাস থেকে জানা যায়, ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদে জুমার নামাজের আজান ও ইকামতের উদ্বোধন উপলক্ষে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ চারজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ মসজিদে নামাজ পড়েছেন। এছাড়াও জাতীয় নেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীসহ আরও অনেকেই এ মসজিদে নামাজ পড়েছেন।
    মসজিদ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস : মসজিদ সম্পর্কে জানা যায়, ১১৭৫ থেকে ১২০০ বাংলা সালে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আরব দেশ থেকে হাজি মকিমউদ্দিন (রাহ.) নামে এক বুজুর্গ হাজীগঞ্জে আসেন। বর্তমান বড় মসজিদের মেহরাব সংলগ্ন উঁচু ভূমি স্থানে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। হাজি মকিমউদ্দিন ছিলেন স্থানীয়দের কাছে শ্রদ্ধাভাজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। হাজি মকিমউদ্দিন (রাহ.)-এর বংশধর হাজি মনিরুদ্দিন ওরফে মনাই হাজির নাতি ছিলেন মোতাওয়াল্লি আহমাদ আলী পাটওয়ারি। তিনি ১৩২৫ থেকে ১৩৩০ বাংলা সালের দিকে হাজি মকিমউদ্দিন (রাহ.)-এর বসতি বর্তমান মেহরাবের পাশে প্রথমে একচালা খড়ের ইবাদতখানা তৈরি করেন। তারপর খড় ও গোলপাতা দিয়ে তৈরি করেন দোচালা মসজিদ।
    পাকা মসজিদের ভিত্তিস্থাপন : ১৩৩৭ বাংলা সালের ১৭ আশ্বিন হাজি আহমাদ আলী পাটোয়ারির ইচ্ছা ও চেষ্টায় হজরত মাওলানা আবুল ফারাহ জৌনপুরি (রহ.) পাকা মসজিদের ভিত্তিস্থাপন করেন। ঐতিহাসিক এ মসজিদটি ৩ ভাগে নির্মিত হয়। মেহরাবসহ মসজিদের প্রথম অংশটি ৪ হাজার ৭৮৪ বর্গফুট। মধ্যের অংশটি ১৩ হাজার ৬ বর্গফুট। আর বারান্দা বা সুউচ্চ মিনারসহ তৃতীয় অংশটি ১ হাজার ৬১৫ বর্গফুট। ১৯ হাজার ৪০৫ বর্গফুটের মসজিদসহ সর্বমোট আয়তন ২৮ হাজার ৪০৫ বর্গফুট।
    মসজিদের অলংকরণ ও অবকাঠামো : শুরুতে ঐতিহাসিক এ মসজিদের ভেতরের প্রথম অংশের মেহরাব সংলগ্ন দেয়ালে হজরত মাওলানা আবুল ফারাহ জৌনপুরি (রহ.) চুন-সুরকি কেটে কারুকাজের মধ্যে সুরা ইয়াসিন ও সুরা জুমা নিজ হাতে লেখেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে সময়ে মসজিদটি সংস্কারের সময় সেগুলো উঠিয়ে ফেলা হয়।
    সে সময় মেহরাব তৈরিতে কাচের ঝাড়ের টুকরো নিখুঁতভাবে কেটে মনোরম ফুলের ঝাড়ের নকশা করা হয়েছিল। মসজিদের মধ্যের অংশটি রয়েছে আকর্ষণীয় ৭৭টি পিলার। ঝিনুকের মোজাইক দিয়ে ফ্লোর নির্মিত। মসজিদের পূর্ব পাশের তৃতীয় অংশে রয়েছে তিনটি বিশাল গম্বুজসহ সুউচ্চ মিনার।
    মসজিদে মিনার ও গম্বুজ : ১৯৫৩ সালে এ মসজিদের সুউচ্চ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। ১২৮ ফুট উচ্চতার মিনারটি দেখতেও সুন্দর ও নিখুঁত। এর চূড়ায় উঠতে মিনারের ভেতরে তৈরি করা হয় সিঁড়ি। সব বয়সের সক্ষম মানুষ যা বেয়ে ওপরে ওঠে পুরো থানার দৃশ্য দেখে আবেগে আপ্লুত হয়। ওই একই সময়ে নির্মিত হয় মসজিদের পূর্ব পাশের দেয়াল ও একাধিক কারুকাজে সাজানো ফটক। ফটকগুলোতে পবিত্র কালেমা খচিত চীনা বাসনের টুকরো দিয়ে তৈরি ফুলের ঝাড়ের মতো সাজানো হয়।
    সুউচ্চ মিনারের পাশে ৩টি বড় গম্বুজও পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কারণ গম্বুজের গায়ে বসানো হয়েছে পাথরের তৈরি অসংখ্য তারকা। সুউচ্চ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ৪৬টি মাইকে প্রচারিত হয় প্রতি ওয়াক্তের আজান।
    মসজিদ কমপ্লেক্স ও কার্যক্রম : হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের আওতায় রয়েছে একাধিক আবাসিক-অনাবাসিক প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে অন্যতম হলোÑ হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা, মুনিরিয়া নুরানি মাদ্রাসা, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোডিং, নিরবচ্ছিন্ন প্রশস্ত অজুখানা, ওয়াজ-মাহফিল ও ধর্মীয় আলোচনার জন্য উন্মুক্ত বিশাল আঙিনা, মুসল্লিদের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, রমজানে রোজাদারদের ইফতার ও ইতিকাফের সুব্যবস্থা, মসজিদের স্থায়ী আয়ের উৎস হিসেবে রয়েছেÑ মার্কেট ও দোকান। মসজিদ কমপ্লেক্সের সেবাদানকারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ১৭০ জন। এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা, উন্নয়ন ও দুর্যোগে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক কার্যক্রমেও সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগিতা করা হ
    shorturl.at/nGHO8
    / chowdhiqbal
    / iqbalhossain560
    #salauddin sumon
    #BengalDiscovery
    #RtvNews
    #news
    #NewsUpdate
    #Bangladesh
    #অভিযোগ LH The Untold Story
    01719636326
    iqbalhossain560@gmail.com

Komentáře • 31