দান করার প্রতিদান।খোদার দেওয়া সম্পদ।নোমান আলী খান।Nouman ali khan ar bangla dabbing kora khudba.
Vložit
- čas přidán 14. 10. 2023
- সাদকাহ বা সদকাহ (আরবি: صدقة, উর্দু: صدقہ, "দানশীলতা", বহুবচন আদাদকৃত صدقات) একটি ইসলামি পরিভাষা। এর মাধ্যমে স্বেচ্ছা দানকে বোঝানো হয়। কুরআন অনুসারে, এই শব্দের অর্থ স্বেচ্ছাসেবী নৈবেদ্য।[১][২] যাকাতের মত সদকা বাধ্যতামুলক নয়। যাকাত প্রদানের বাইরে ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে সদকা প্রদান করা হয়। অভাব দূর করা ও লজ্জাস্থান আবৃত রাখা সদকার বিধান জারী করার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।[৩]শরিয়তের দৃষ্টিতে উত্তম যেকোন কাজে সদাকার অর্থ ব্যয় করা যায়। ইমাম জুরজানী বলেন, "এমন দানকে সদকা বলে যার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সওয়াব আশা করা হয়। ইবনে মানজুর বলেছেন, "মহান আল্লাহর নিমিত্তে গরীব মিসকিনদের জন্য দান করাকে সদকা বলা হয়"।
'সদকা' -এর আক্ষরিক অর্থ 'ন্যায়পরায়ণতা' এবং এটি দান বা স্বেচ্ছাসেবী দানকে বোঝায়। তবে ইসলামী পরিভাষায়; সদকাকে "বিনিময়ে কোন কিছু না চেয়ে একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে কাউকে কিছু দেওয়া" বোঝানো হয়েছে। এছাড়াও, আর-রাগিব আল-আসফাহানির মতে "সদকা হল যাকাতের মতো, আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার আশায়, ব্যক্তির যা কিছু আছে তা থেকে দেয়াকে সদকা বলে।"
'সদকাহ' শব্দটি আরবি মূল শব্দ ‘সিদক’ (আরবি: ص د ق) থেকে এসেছে, যার অর্থ আন্তরিকতা; এটি আন্তরিক বিশ্বাসের চিহ্ন হিসাবে বিবেচিত হয়। এই শব্দটি তিন অক্ষরের মূল ص د ق থেকে এসেছে, যার অর্থ, "সত্য কথা বলা", "আন্তরিক হওয়া" এবং "কারও প্রতিশ্রুতি পালন করা"। সম্মানজনক আচরণের এই সমস্ত দিক উদারতা এবং একটি সুস্থ সমাজের সাথে সংযোগগুলো নির্দেশ করে।কুরআনে যাকাহ শব্দটি ত্রিশবার এসেছে, এর মধ্যে সাতাশবার এটি সালাতের সাথে যুক্ত হয়েছে এবং তিনটি স্থানে এটি সংযুক্ত করা হয়নি (সূরা হা-মীম সেজদাহ্; আয়াত:৭)। এই ত্রিশটি স্থানে বর্ণিত যাকাত ফরজ যাকাতকে নির্দেশ করেছে। উল্লেখ্য তবে সদকা (অবাধ্যতামূলক দান) এবং এর বহুবচন (সদকাত) কুরআনে তেরবার এসেছে; একবচন সদকাহ হিসাবে পাঁচবার, এর বহুবচন আট বার।
কুরআনের মতে সদকা দানকারীকে শুদ্ধ করার দিকে পরিচালিত করে। কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে যে সদকা কোনও বস্তুগত আকারে দান করা বাধ্যতামূলক নয় এবং এটি একটি "স্বেচ্ছাসেবী প্রচেষ্টা" বা একটি "সদয় দান" হতে পারে। হাদিসে উল্লেখিত রয়েছে, মুহাম্মাদ বলেছেন যে "প্রতিটি নেক আমল সদকার একটি রূপ।" কুরআনের দৃষ্টিকোণে, "অপমান" সহকারে সদকা করার চেয়ে "মমত্ববোধ" অতি উত্তম এবং প্রকাশ্যে প্রচার করার উদ্দেশ্য নিয়ে সদকা দেয়ার চেয়ে অপ্রকাশ্যে যাদের প্রয়োজন তাঁদের দেয়া ভালো। কুরআন পরামর্শ দেয় যে সদকা কেবল দরিদ্রদের সহায়তার জন্য নয়, "যাদের প্রয়োজন" এবং যাদের "অর্থনৈতিক সচ্ছলতা" নেই তাদেরকেও এটি দান করা যেতে পারে।
সদকা (দান) সম্পর্কে অনেক আয়াত রয়েছে। যার মধ্য হতে নিচে কিছু উল্লেখ করা হয়েছে:
"তোমরা নামাজ কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর।" (সূরা আল-বাকারা; আয়াত: ৪৩)
"(হে নবী) তারা আপনাকে প্রশ্ন করে যে, কি জিনিস তারা দান করবে? বলে দিন-যে বস্তুই তোমরা দান কর, তা হবে পিতা-মাতার জন্যে, আত্মীয়-আপনজনের জন্যে, এতীম-অনাথদের জন্যে, অসহায়দের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে। আর তোমরা যে কোন সৎকাজ কর না কেন, নিঃসন্দেহে তা ভালোভাবেই আল্লাহর জানা রয়েছে।" (সূরা আল-বাকারা; আয়াত: ২১৫)
"যে দানের ফলে মানুষকে কষ্ট দেয়া হয়, সেই দানের চেয়ে মিষ্টি কথা বলা এবং ক্ষমা অধিক শ্রেয়। আল্লাহ তা'আলা সম্পদশালী, সহিঞ্চু।" (সূরা আল-বাকারা; আয়াত: ২৬৩)
"আল্লাহ সুদের আয়কে ধ্বংস করেন এবং দানকে বাড়িয়ে দেন, আল্লাহ অবিশ্বাসী বা অকৃতজ্ঞ পাপীদের ভালোবাসেন না।" (সূরা আল-বাকারা; আয়াত: ২৭৬)
"যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে ও সৎকাজ করে এবং নামাজ প্রতিষ্ঠিত করে ও যাকাত দেয়, তারা আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাবে। ভবিষ্যতের জন্য তাদের কোন আশঙ্কা নেই এবং (অতীতের জন্যেও) তারা দুঃখিত বা অনুতপ্ত হবে না।" (সূরা আল-বাকারা; আয়াত: ২৭৭)
অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর, শ্রবণ কর, আনুগত্য কর এবং তোমাদের নিজেদেরকে কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় কর, আর যাদেরকে অন্তরকে কাপর্ণ্য থেকে রক্ষা করতে পারবে, তারাই মূলত সফলকাম। (সূরা আত-তাগাবুন; আয়াত: ১৬)
হাদীস
সুবহানআললাহ ।💕💕💕💕💕💕💕💕আল্লাহু আকবার । সুবহান আললাহ ।আমিন।
আলহামদুলিল্লাহ, ❤
আলহামদুলিল্লাহ
সুবহানাল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ্
Alhamdulillah Alhamdulillah 🎉🎉🎉
আলহামদুলিল্লাহ