মাওয়া ঘাটের সুস্বাদু ইংলিশ মাছ ভাজা । একটা দারুন অনুভুতি।।

Sdílet
Vložit
  • čas přidán 30. 06. 2024
  • #blog #video #food #maowa, #hilsha, #sahabi
    ঢাকা থেকে যেকোনো ফ্লাইওভার দিয়ে উড়ে গিয়ে পোস্তগোলায় পড়লে নাক বরাবর রাস্তাটা ফাঁকা আর প্রশস্ত। ভাবতেই পারবেন না, এত দারুণ একটা রাস্তা আছে ঢাকা থেকে দক্ষিণে যাওয়ার। পোস্তগোলার পর থেকে ধীরে ধীরে চার লেনের রাস্তার ডিভাইডারে দেখা দিতে থাকবে বাহারি রাধাচূড়া, দোপাটি, কনকচূড়া আর কিছু নাম না-জানা ফুলগাছ। কালো পিচঢালা রাস্তায় তিলকের মতো সাদা রঙের নির্দেশক, ডিভাইডারে বর্ণময় ফুল, দুপাশে বর্ষায় বন্য হয়ে ওঠা গাছ আর লতা-গুল্ম-নাগরিক চোখে দৃশ্যটি মনোলোভা, সন্দেহ নেই। পদ্মার ইলিশ খেতে যাওয়ার আগে এ যেন মোক্ষম পরিবেশ। ঠিক অ্যাপাটাইজারের মতো ক্ষুধা উদ্রেককারী।
    ভাজা ইলিশ, ইলিশের ডিম ও শুকনো মরিচ, এক চাকা বেগুন ভাজা, ঘন মসুরের ডাল আর ইলিশের লেজের ভর্তা এই হলো মাওয়া ঘাটের আসল খাবার। ছবি: আজকের পত্রিকা
    মসৃণ এ রাস্তায় পাকা চালকেরা শয়ের ওপরে গতিতে গাড়ি চালান অনায়াসে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতুর গোড়ায় পৌঁছাতে সময় লাগে ঘণ্টাখানেক বা তারও কম। কিন্তু আপনার গন্তব্য পদ্মা সেতু নয়। টোল প্লাজার আগে, হাতের ডানে যে রাস্তাটা চলে গেছে সে রাস্তার একেবারে শেষ বিন্দুতে। এ রাস্তাটা সরু, আগের মতোই। একসময় দেশের ব্যস্ততম রাস্তার একটি ছিল এটি, এখন প্রায় চাপহীন। বাস-ট্রাক নেই বললেই চলে। আছে কেবল অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, বাইক আর ঢাকা-মাওয়া রুটের পাবলিক বাস কিংবা লোকাল রুটের বাস। তার সংখ্যাও নেহাতই নগণ্য। এই সরু রাস্তাটা ধরে চন্দ্রেরবাড়ি বাজার ছাড়িয়ে রাস্তাটার একেবারে শেষ প্রান্তবিন্দু পদ্মার যে ঘাট, তার নাম মাওয়া ওরফে শিমুলিয়া ঘাট বা শিমুলিয়া নদীবন্দর। প্রমত্তা পদ্মা এখানে কিছুটা অভিমানী। শ খানেক বছরের ব্যস্ততা কাটিয়ে এখন নীরব।
    ইলিশের আমেজ ২৪ ঘণ্টা
    মাওয়া কেন যায় লোকজন সেটা খুলে বলার কিছু নেই। যেটা বলার, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর মাওয়া ঘাটে এখন কোলাহল কম। ফলে সরিষার তেলে ভাজা ইলিশের সুবাস এখন আরও গাঢ়। দোকানগুলোর সামনে থেকে ডাক শুনবেন, ‘স্যার, পদ্মার ইলিশ আছে। আসেন আসেন।’ পদ্মার নাকি রূপসার, ইলিশবিলাসী মানুষের সে চিন্তা খুব একটা থাকে না বটে। কিন্তু পরখের অভিজাত স্বাদগ্রন্থি যাদের জিভে, তাঁরা পদ্মার ইলিশ খাওয়ার চ্যালেঞ্জটা নিতে চাইবেন। কখনো জিতবেন, কখনো হারবেন। কিন্তু এখানে ইলিশ খাওয়ার যে আনন্দ, হারলেও তা ভাটা পড়ে না। মাওয়া মানেই ইলিশের উৎসব।
    শ্রাবণের খাঁ খাঁ রোদে পোড়া এক দুপুরে সুনসান মাওয়া ঘাটে গিয়ে উপস্থিত হলাম পুরো পরিবার। বিশটির মতো রেস্তোরাঁ মাওয়ায়। রেস্তোরাঁর নামগুলোও দারুণ। ইলিশ বাড়ি, শখের হাঁড়ি, তাজমহল, শখের ইলিশ, ইলিশ আড্ডা, ঘরোয়া, কুটুমবাড়ি, ফরচুন, কাঁচালঙ্কা ইত্যাদি। আছে বিখ্যাত প্রজেক্ট হিলশা। এই রেস্তোরাঁগুলো বেশ ঝকঝকে তকতকে। আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ও ওয়াশ রুমের ব্যবস্থা। ভেতরে বসার জায়গা বেশ প্রশস্ত-হাত-পা ছড়িয়ে বসা যায়। কোনো কোনো রেস্তোরাঁয় একবারে প্রায় চার শ মানুষ বসার ব্যবস্থা আছে। ফলে কোনো রেস্তোরাঁতেই তেমন হুড়োহুড়ি চোখে পড়ে না।
    সব রেস্তোরাঁর মূল আকর্ষণ ইলিশ। এসব রেস্তোরাঁ প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই খোলা থাকে। যেকোনো সময় গিয়ে যে কেউ ইলিশ খেতে পারে। পছন্দ করে ঢুকে পড়লাম শখের হাঁড়ি নামের এক রেস্তোরাঁয়। ভেতরে সাড়ে তিন শ থেকে চার শ লোকের বসার ব্যবস্থা। বিদ্যুতের যাতায়াত চলছে বলে জানালার পাশের টেবিল দখল করে বসে গেলাম ইলিশ পছন্দ করতে।
    মাওয়া ঘাটের রেস্তোরাঁগুলো প্রতিদিনই খোলা থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে ইলিশ খেতে আসে। ছবি: আজকের পত্রিকা
    বেছে নিন, দেখে নিন
    ইলিশ খেতে এসেছেন বেশ দূর থেকে। দেখেশুনে পছন্দ করে ইলিশ খেতে চাইবেন, রেস্তোরাঁগুলো সেটা জানে। তাই তারা রেখেছে পছন্দ করে ইলিশ কেনার সুযোগ। বড় বড় থার্মকলের বাক্সে বরফে ঢাকা রয়েছে আধা কেজি থেকে দেড় বা দুই কেজি ওজনের ইলিশ। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে আরও বড় ইলিশ পেয়ে যেতে পারেন। দরদাম করে ইলিশ কিনবেন। কোনো কোনো রেস্তোরাঁ আপনাকে দেবে সরিষার তেল, সেটাও কিনেই নিতে হবে। ইলিশ পছন্দ হলে রেস্তোরাঁর কর্মীরা সেটা নিয়ে যাবে কাটতে। চাইলে আপনিও থাকতে পারেন। তারপর যাবে রান্নাঘরে। সেখানেও থাকতে পারেন কীভাবে আপনার পছন্দের ইলিশ ভাজা হচ্ছে সেটা দেখতে।
    👌মেন্যু::
    ধবধবে সাদা ভাত, তার ওপর খয়েরি রঙের ভাজা ইলিশ, ইলিশের ডিম ও শুকনো মরিচ, এক চাকা বেগুন ভাজা, ঘন মসুরের ডাল আর ইলিশের লেজের ভর্তা। মাওয়া ঘাটের ঐতিহ্যবাহী মেন্যু এটাই। অবশ্য চাইলে সঙ্গে আপনি আরও অন্যান্য তরিতরকারি নিতে পারেন। সেগুলোর মধ্যে আছে রুপচাঁদা ভাজা, চিংড়ি ভুনা, মুরগির মাংসের ভুনা, কোনো কোনো রেস্তোরাঁয় সামুদ্রিক মাছও পাওয়া যায় কিছু। আর শেষপাতে খেতে পারেন মাটির খুঁটিতে বসানো সুস্বাদু মিষ্টি বা টক দই। খাওয়া শেষে মুখশুদ্ধি হিসেবে এক খিলি পান খেতে পারেন-পান পরাগ আর কাঁচা সুপারি দিয়ে।
    প্রতিদিনই শত শত মানুষ খেতে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। কিন্তু শুক্র ও শনিবার উইকএন্ড কাটানো মানুষের কারণে স্বাদবিলাসী মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ঝকঝকে মসৃণ রাস্তা ধরে কোনো এক সাপ্তাহিক ছুটিতে আপনিও যেতে পারেন মাওয়া ঘাটে, ইলিশ খেতে।
    #streetfood,
    #bangladeshifood,
    #induanstreetfood,
    #streetvan,
    #canada,
    #toronto,
    #asianstreetfood,
    #streetfoodmasala,
    #dhakastreetfood,
    #thailandstreetfood,
    If you like it, subscribe to my channel. Let me know in the comments what you think.
    Courtesy: Kajghor
    Special Thanks to Mr. Maruf
    If any query pl contact with us।।
    mail: expresskozy@gmail.com
    Anti- Piracy Warning::::
    This content is Copyright to Kozy Express. Any unauthorized reproduction, redistribution or re-upload is strictly prohibited of this material. Legal action will be taken against those who violate the copyright of the above material presented.

Komentáře •