তোমার পাক নামে ভরসা করে ★ রমেশ শীল ★ মাইজভাণ্ডারী

Sdílet
Vložit
  • čas přidán 4. 01. 2022
  • #তোমার_পাক_নামে_ভরসা_করে #রমেশ_চন্দ্র_শীল_সরকার #মাইজভাণ্ডারী
    গীতিকার ও শিল্পী- রমেশ চন্দ্র শীল (সরকার)
    “তোমার পাক নামে ভরসা করে দিয়াছি সাঁতার
    পার কর ডুবায়ে মার মহিমা তোমার
    হাঙ্গর কুম্ভির নফছগণ, করে যদি আক্রমণ,
    উচ্চস্বরে দিব তখন দোহাই মাওলানার।
    মাওলা তোমার নাম স্মরণে, ছোয়না তারে কাল শমনে ,
    রণে বনে জল আগুনে ভয় থাকে না তার।।
    বাবা তোমার নূরী চরণে, নিত্য যারা করে স্মরণ,
    ঘুচাইয়েছে জন্ম মরণ এই ভবের মাঝার।।
    তোমার নূরী চরণ খানি, পাতকী পায়ের তরণী,
    আদমরূপে কাদের গণি, এলে মাইজভাণ্ডার।।
    রমেশ আছি আশা করি, পার করাবে মাইজভাণ্ডারী,
    বর্জ্জক যদি রাখতে পারি, কলবের মাজার।”
    ------------------------
    মাইজভাণ্ডারী
    মাইজভাণ্ডারী তরিকা সুফি সাধনার এক বিশেষ ধারা। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভাণ্ডার গ্রামের এক ধর্ম সাধক হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (১৮২৬-১৯০৬)। তিনি ‘গাইসুল আজম মাইজভাণ্ডারী’ নামেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর হাতেই মাইজভাণ্ডারী তরিকা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই তরিকার অন্যতম অপরিহার্য অংশ হিসেবে মাইজভান্ডারী গানের উদ্ভব ঘটে।
    মাইজভাণ্ডারী মারফতি ও মুর্শিদী ঘরানার গান। লোকসংগীতের ঐ ধারায় এই দুই ঘরানার গান সৃষ্টিকর্তাকে উপলক্ষ্য করে রচিত। তবে মাইজভাণ্ডারী গানে স্রষ্টার বদলে পীরের মাহাত্মই মুখ্য। দিল্লী ও আজমীরে খাজা নিজামউদ্দীন আউলিয়া ও খাজা মঈনউদ্দীন চিশতীর দরবারের ধর্মীয় সংগীত ধারার সাথে মাইজভাণ্ডারী গানের সাদৃশ্য আছে। অন্যদিকে চর্যাগীতিকা, বৈষ্ণব পদাবলী ও বাউল সংগীত ধারার সাথেও এ গানের ধারার মিল রয়েছে।
    সোয়া শ’ বছর আগে মাইজভাণ্ডারী গানের উদ্ভব হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে। মাইজভাণ্ডারী গানের তিন মহান রচয়িতা হলেন- মওলানা আবদুল হাদী কাঞ্চনপুরী, কবিয়াল রমেশ শীল ও আবদুল গফুর হালী। মওলানা হাদীকে মাইজভাণ্ডারী গানের উদ্ভাবক বলা হয়। তাঁর সংগীত রচনার সময়কাল ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ। তিনি মরমী ধারায় মাইজভাণ্ডারী গানের সংযোজক। এ গানে তাঁর সময়কাল বিংশ শতাব্দীর বিশ থেকে ষাটের দশক পর্যন্ত। আর আবদুল গফুর হালী হলেন মাইজভাণ্ডারী গানে নবযুগের স্রষ্টা।
    রমেশ শীল মাইজভাণ্ডারী গানকে দরবারি মজলিশ থেকে বের করে এনে সর্বসাধরণের কাছে পোঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকা রাখেন। তিরিশের দশকে মোহাম্মদ নাসির গ্রামোফোন রেকর্ডে গেয়ে এই গানকে মাটির কাছাকাছি নিয়ে যান। ষাটের দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত টুনু কাওয়াল, আবদুল গফুর হালী, শেফালী ঘোষ, কল্যাণী ঘোষ, আহমদ নূর আমিরী, আবদুল মান্নান, ফিরোজ সাঁই, মমতাজ, ফকির আলমগীর, সেলিম নিজামী ও শিমুল শীলরা এই গানকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে যায়।
    মাইজভাণ্ডারী গান আজ বাংলা লোকসংগীতের অপরূপ ধারা। মাইজভাণ্ডারী গান চাটগাঁইয়া সংস্কৃতির লালিত পুষ্প, সাংস্কৃতিক সম্পদ। মাইজভাণ্ডারী দর্শন অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মানবধর্মের মাহাত্ম্য দ্বারা পরিচালিত। তাই মাইজভাণ্ডারী গানও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি তথা বিশ্বমানবের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষুধা নিবারণ করছে।
    রমেশ শীল
    কবিয়াল রমেশ শীলের উদ্যোগে ১৯৩৮ সালে বাংলা কবিগানের ইতিহাসে প্রথম সমিতি গঠিত হয়। নাম ‘রমেশ উদ্বোধন কবি সংঘ’। অশ্লীলতামুক্ত কবিগান ছিল এর প্রধান লক্ষ্য।
    ১৮৯৮ সালে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজারে মাঝিরঘাটে দুর্গাপূজা উপলক্ষে কবিগানের আয়োজন করা হয়। প্রায় হাজার পঞ্চাশেক মানুষের উপস্থিতিতে কবিগান শুরু হয় । প্রধান কবিয়াল ছিলেন তৎকালীন জনপ্রিয় কবিয়াল মোহনবাঁশী ও চিন্তাহরণ । কিন্তু গানের আসরে চিন্তাহরণ অসুস্থ হয়ে পড়েন । এতে শ্রোতারা হট্টগোল শুরু করেন । তখন আয়োজকরা কবিয়াল দীনবন্ধু মিত্রকে মঞ্চে আসার জন্য অনুরোধ করেন । কিন্তু কবিয়াল দীনবন্ধু মিত্র তাদের অনুরোধ গ্রহণ না করে রমেশ শীলকে মঞ্চে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন । প্রথমে ভয় পেলেও কোমরে চাঁদর পেঁচিয়ে মঞ্চে উঠে যান রমেশ শীল । জীবনের প্রথম আসরে তিনি টানা আট ঘণ্টা কবিগান গেয়েছিলেন। ঐ আসরে কেও কাউকে হারাতে পারেনি । তবে তখন থেকেই রমেশ শীলের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে ।
    ১৯৫৪ সালের জনগণের ভোটে নির্বাচিত যুক্তফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। নুরুল আমিনকে পূর্ব বাংলার গভর্নর নিয়োগ করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার। তাকে ব্যঙ্গ করে তিনি লিখেছিলেন-
    “হঠাৎ দেখি পচা আণ্ডা মন্ত্রিকে করিতেছে ঠাণ্ডা।
    উড়তে লাগলো কাল ঝাণ্ডা মন্ত্রীর চোখের উপর।” এ গানের জন্য সে সময়ে তিনি ১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেন।
    রমেশ শীল রচিত পুস্তক সংখ্যা সম্পর্কে নির্ভূল তথ্য পাওয়া যায় না। যে সকল গ্রন্থের নাম পাওয়া যায় তার মধ্যে আশেকমালা, শান্তিভান্ডার, নুরে দুনিয়া, দেশের গান, ভোট রহস্য, চট্টল পরিচয়, ভান্ডারে মওলা, জীবন সাথী, মুক্তির দরবার, মানব বন্ধু, চাটগায়ের পল্লীগীতি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও রমেশ শীল বেদুঈন ছদ্দনামে "বদলতি জমানা" শীর্ষক এবং ঋষিভত্ত ছদ্মনামের "ভণ্ড সাধুর" কবিতা শীর্ষক দু'টি পুস্তক প্রকাশ করে ছিলেন। ২০০২ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।
    ================
    গাউসুল আজম মাইজভান্ডারী, রমেশ শীল, মাইজভান্ডারী গান, লোকগীতি, লোকসঙ্গীত, পল্লীগীতি, লোকগান, সঙ্গীত, গান, গীতি, বাউল, মুর্শিদী, মারফতি, সুফী, tomar pak name bhorosha kore diesi satar, ramesh shil, ramesh chandra shil, ramesh chandra sarker, ramesh shil songs, maijbhandari
    #tomar_pak_name_bhorosha_kore_diesi_satar
    #ramesh_shil
    #maijbhandari
    #ramesh_chandra_sarker
    #গাউসুল_আজম_মাইজভান্ডারী
    #লোকগীতি
    #লোকসঙ্গীত
    #পল্লীগীতি
    #বাংলার_লোকগান
    #লোকগান
    #সঙ্গীত
    #গান
    #গীতি
    ইউটিউব চ্যানেল: / @moloyageeti1715
    ওয়েবসাইট-alauddinvuian.com/
    ফেসবুক - / alauddinvuian
    ফেসবুক - / vuianalauddinmd (পেজ)
    টুইটার- / alauddinvuian
  • Hudba

Komentáře • 5