সূরা ইখলাসের তাফসীর এবং শিক্ষা। আবদুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। Waz Vocal Stores 2021
Vložit
- čas přidán 10. 09. 2021
- তাৎপর্যের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই সূরাটিতে আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট একটি সূরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। এই সূরাটি কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়।
সূরা ইখলাসের উপকারিতা ও ফজিলত সম্পর্কে মুসলিম, তিরমিজী, আবু দাউদ ও নাসায়ীতে একাধিক হাদিস রয়েছে। হজরত ওকবা ইবনে আমের বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সূরা বলছি, যা; তাওরাত, ইঞ্জিল, জবুর এবং কোরআন সহ সব কিতাবেই অবতীর্ণ হয়েছে। রাতে তোমরা ততক্ষণ নিদ্রা যেয়ো না, যতক্ষণ সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। ওকবা বলেন, সেদিন থেকে আমি কখনো এ আমল পরিত্যাগ করিনি (ইবনে কাসীর)।
তা ছাড়া আবু দাউদ, তিরমিজী এবং নাসায়ীর এক দীর্ঘ বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয় (ইবনে কাসীর)।
সহিহ হাদিসে আছে সূরা ইখলাস ৩ বার পাঠ করলে এক খতম কোরআন তেলাওয়াতের সমপরিমান সওয়াব পাওয়া যায়। বোখারিতে আয়েশা (রা.) থেকে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, এক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে আমির নিযুক্ত করে দেন, তিনি সেনা সদস্যদের নামাজে ইমামতিকালে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা শেষে প্রত্যেক রাকাতেই সূরা ইখলাস পাঠ করতেন। যুদ্ধ থেকে ফিরে লোকেরা এ ব্যাপারে অভিযোগ কররে তিনি তাকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, আমির বা নেতা উত্তর দেন যে আমি এই সূরাকে ভালোবাসি। একথা শুনে রাসূল (সা.) বললেন, তাহলে আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসে। -বোখারি কিতাবুল মাগাযী দেখুন।
বোখারীর কিতাবুস সালাতে আনাস (রা.) এর সূত্রে অনুরুপ আরেকটি হাদিস বর্ণিত, কুবা মসজিদে এক আনসার সাহাবি ইমামতি করতেন, তিনি প্রত্যেক রাকাতে ফাতিহার পর সূরা ইখলাস পাঠ করে অন্য সূরা পড়তেন। লোকেরা এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে অভিযোগ করলে তিনি (সা.) তাকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, উক্ত আনসারী বললেন আমি এ সূরাকে ভালোবাসি। তাই এরূপ করি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, এই সূরার প্রতি তোমার ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। (বোখারি: ১০৭ নম্বর পৃ:)।
নবী (সা.) ইরশাদ করেছন, যে ব্যক্তি কুলহু আল্লাহু আহাদ সূরাটি ১০ বার পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে তার জন্য একটি বালাখানা তৈরি করে দেন। আর যে ২০ বার পাঠ করে তার জন্য দু’টি বালাখানা এবং ৩০ বার পাঠ করবে তার জন্য তিনটি বালাখানা তৈরি করেন।
এ কথা শুনে উমর (রা.) বললেন, তাহলে তো আমরা অনেক বালাখানার মালিক হয়েছি! রাসূল (সা.) বললেন, আল্লাহ তো এর চেয়ে বেশি দানকারী। (তাফ: ই: কাসীর ৪র্থ খ: ৭৩৮ পৃ:)।
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কাজ ঈমানের সঙ্গে করতে পারবে জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে সে প্রবেশ করতে পারবে। (১) যে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেবে। (২) যে ব্যক্তি গোপন ঋণ পরিশোধ করবে। (৩) এবং যে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০ বার সূরা ইখলাস পাঠ করবে। (তাফ: ই: কাসীর ৪র্থ খ: ৭৩৮ পৃ:)।
সূরা আল-ইখলাসের শানে নুযুল:
মুশরিকরা মুহাম্মাদ (সা.)-কে আল্লাহ তায়ালার বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জওয়াবে এই সূরা নাজিল হয়। অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে যে, মদিনার ইহুদিরা এ প্রশ্ন করেছিল। কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে যে, তারা আরো প্রশ্ন করেছিল, আল্লাহ তায়ালা কিসের তৈরি, স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জওয়াবে সূরাটি অবতীর্ণ হয়েছে ৷
সূরা আল-ইখলাস
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ : পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
(১) قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
আরবি উচ্চারণ: কুল্ হুওয়াল্লা-হু আহাদ্।
বাংলা অনুবাদ: বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।
(২) اللَّهُ الصَّمَد
আরবি উচ্চারণ: আল্লা-হুচ্ছমাদ্।
বাংলা অনুবাদ: আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।
(৩) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
আরবি উচ্চারণ: লাম্ ইয়ালিদ্ অলাম্ ইয়ূলাদ্।
বাংলা অনুবাদ: তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি।
(৪) وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَد
আরবি উচ্চারণ: অলাম্ ইয়া কুল্লাহূ কুফুওয়ান্ আহাদ্।
Alhamdulillah
আলহামদুলিল্লাহ
মাশা আল্লাহ প্রিয় শাইখ, অসাধারণ তাফসির,
চমৎকার আলোচনা
Mashaa’Allah ❤
এই তাফসিরটি যতবার শুনি ইমান বাড়ে সুবহানাল্লাহ ❤
❤❤❤❤
🌹
জাযাক আল্লাহ খায়ের।
❤️
মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর লাগছে তাফসীর অনেক ভালো হয়েছে জাযাকাল্লাহ খায়ের
জাযাকাল্লা হু খাইরান
এই সুরার ৪ টি মৌলিক শিক্ষা আছে - ১.আল্লাহর জাত ( তিনি এক ও অদ্বিতীয়)
২. আল্লাহর সিফাত ( অমুখাপেক্ষী)
৩. আল্লাহ পরিবার ভুক্ত নন
৪ আল্লাহর সাথে কোন কিছুর তুলনা চলে না।
আলহামদুলিল্লাহ সুন্দর তাফসীর
❤️❤️❤️
Dhaka hote alhamdullilah
Allhahuakbar.. Subhanallha.. Alhamdulillah .. Laelaha ellallahu muhammadur rasulullha (s).. Allhamagferly.. Amin..
❤মাস আল্লাহ 🎉
❤️❤️
ছোবাহান আল্লাহ
❤️❤️
আপনার স্পষ্টতা আমাকে মুগ্ধ করেছে মাশাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ
দোয়া চাই প্রিয় শাইখ
আলহামদুলিল্লাহ ....এখান থেকে অনেক কিছু শিখার আছে।
I love my dear allah,thaks saifullah hujur ,i like ur tafsir,pl keep doing always
সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আমি জীবনে এমন এত সুন্দর কুরানের তাফসির শুনছি না
কেন শুনছেন না? এখন থেকে শোনার চেষ্টা করবেন
অসাধারণ তাফসীর আল্লাহ হুজুরকে নেক হায়াত দান করুন
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ সৌদি আরব থেকে দেখছি
মাশাআল্লাহ ❤
❤️❤️❤️
সুবহানাল্লাহ
জাযাকাল্লাহ
Very nice video 👍👍👍👍👍
জাজাকাল্লাহ খাইরান, প্রিয় শায়েখ।
❤❤❤❤❤❤❤🎉🎉🎉🎉🎉🎉🎉
Nice
Tanks
❤❤
❤❤❤❤❤
But its 1 year ago...
স্যার আমি জানি আল্লাহ তায়ালা কোনো অভিভাবক নেই আল্লাহ সবচেয়ে বড় তার উপরে আর কেউ নেই তবুও আমার মনে ওয়াস ওয়াসা চলে আসে আমি অনেক বেশি ডিপ্রেশনে আছি আমার মনে হচ্ছে আমি শিরিকে আকবার গুনা করে ফেলছি আমার কিছু ভালো লাগতেছে না নামাজ ঠিক মতো পরতে পারছি না আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে
আসসালামু আলাইকুম। মানুষের যত বড় পাপ হক না কেন যেই পাপটির দ্বারা আর দ্বিতীয়বার করার ইচ্ছা না রেখে খাস নিয়তে তওবা করার পরেই আল্লাহ মাফ করে দিতে পারেন।
আল্লাহ তায়ালা কোনো অভিভাবক নেই আল্লাহ সবচেয়ে বড় তার উপরে আর কেউ নেই এই চিন্তাটা আমার সঠিক কি না একটু বলবেন
ঠিক
@@WazVocalstores জাজাকাল্লাহ খাইরান ❤️
এই কোরআন ব্যাখ্যা করা এবং তাফসির করার দায়িত্ব শুধুমাত্র আল্লাহরই আল্লাহ নবীকে বলছে এই কোরআন আমি ব্যাখ্যা করে তোমার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি যাতে মানুষ ভালো বুঝতে পারে 25 নম্বর সূরা 33 নম্বর আয়াত দেখুন আল্লাহ নিজেই ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন এই কোরআন।
আল্লাহ তো ব্যাখ্যা করে দিয়েছে এবং আমাদের রাসূল তা গ্রহণ করেছেন এবং রাসুল তার নিজের ভাষায় তার সাহাবীগণের মধ্যে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন এখন কথা হল আমাদের ক্ষেত্রে মানুষ বাংলায় ভালো করে বোঝার জন্য অবশ্যই বিখ্যাত আলেমদের দ্বারা তাফসীরটি গ্রহণ করা জরুরী আশা করি বুঝতে পেরেছেন।