O Mon Ramjaner Oi Rojar Sheshe (1932) : Nazrul-Sangeet : Abbas Uddin Ahmad.
Vložit
- čas přidán 13. 06. 2018
- ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সকল সম্মানিত সাবস্ক্রাইবার ও ভিউয়ারদেরকে আসন্ন ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
For sharing collection with the world. Any kind of copyright violation is not the purpose of this video/audio. Thank you for listening. - Hudba
ঘটনা জেনে কে কে আব্বাস উদ্দিন স্যারের গলায় মধুর গান শুনতে এসেছেন?
আমি
Ami
আমি
kiser ghotona?
আমি!
এই গানের ইতিহাস জেনে যারা গানটি শুনতেছেন তারা লাইক দিয়ে যাবেন তাহলে বুঝা যাবে কত মানুষ মুল কাহিনি জানে
বাংলা গানের ইতিহাসে ১ম রেকর্ড হউয়া ইসলামি সঙ্গীত,লিজেন্ড্রি গায়ক আব্বাস উদ্দিন।বিদ্রোহি সুরকার কাজী নজরুল ইসলাম।
সেই ১৯৩২ থেকে এখনো রোজার ঈদের চাঁদ দেখা গেলে নিউজের আগেই এই গানটা প্রচারিত হয়।আল্লাহর দরবারে উনাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
আমিন
Ameen summa Ameen
আাাাামীন
আল্লাহুমা আমিন
আমীন।
এই ইসলামি সঙ্গীতের ইতিহাস জানার পর শুনার সাথে সাথে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেছে! আহা প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কি অনিন্দ্য সুন্দর সৃষ্টি😭 আল্লাহ প্রিয় কবি কে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক, আমিন💚
কি ইতিহাস
আমীন।
ঠিক বলেছেন গান লেখার ইতিহাস যারা যারা পড়েছে তাদের গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়।।
আমিন
গানটার পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিলো আব্বাস উদ্দিন এর...❤
৮৯ বছর আগের এই গানটি আজও নতুন রয়ে গেছে। ❤️
asholei
হুম ❤
now 2024........92 years running .... আজও নতুন 🥰🥰🥰
গানটির ইতিহাস জানার পর, গানটি হাজারো গুণ প্রশান্তি দিচ্ছে।
যতদিন পৃথিবী থাকবে,ততদিন এই গানটাও থাকবে
১৯৩২ সালে রেকর্ড।
এখনো বুকের ভিতর অন্যরকম একটা অনূভুতি তৈরি করে। বার বার হাজার বার শুনতে ইচ্ছে করে।।
আধুনিক মিউজিকের ছোয়া হয়তো নেই এখানে৷ তবে এতে আব্বাসউদ্দীন আর নজরুলের আবেগ পাওয়া যায়।
এই গানের মাধ্যমে বাংলা ইসলামী গানের (গজল) সূচনা নজরুল ও আব্বাস উদ্দিনের হাত ধরে। ❣️❣️❣️
মহান আল্লাহ তাদের দুইজনকেই বেহেস্ত নসীব করুন আমিন। গানের ভুমিকা শুনে 2021 সালে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে শুনছি।
এটা শুনেই সবচেয়ে ভাল লাগল।সুরের পাখি আব্বাসউদ্দীন ❤❤❤।
এটা কাজী নজরুল ইসলামের লিখা ও বাংলার ইতিহাসে প্রথম ইসলামিক গান।কাজী নজরুল ইসলামকে অনেক অনুরোধের পরে আব্বাস উদ্দিনের জন্য তিনি এই গানটি লিখেন।ও সেই রেকর্ডার কোম্পানিকে পুরো ছয়মাস ধরে টানা অধ্যবসায়ের সহিত অনুরোধের পর আব্বাস উদ্দিন রাজি করান গানটি রেকর্ড করাতে।
+ Falgunipakhi Falguni
ঠিক তাই, ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
One And only and the perfect expressions on holy Ramadan and Eid .
বাংলা ইতিহাসে প্রথম? হাহা। বাংলায় ইসলামি গান এর ৪০০-৫০০ বছর আগে থেকেই লেখা হচ্ছে।
@@aharnishchowdhury3474 তাহলে ৪০০ বছর আগের কোন ইসলামী সঙ্গীতের ৪ টা লাইন বলুন তো।
1932 সালের ইনট্যাক্ট গানটাকে 90 বছর পর, 2022এ শুনে তৃপ্তি পেলাম।
এই একটা গানের জন্য কত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, আহা!! কত আবেগ আর ভালোবাসা মিশে আছে, ❤️❤️❤️
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা এবং আব্বাস উদ্দিনের গাওয়া ইসলামী গানটি,,,,অসাধারণ।
এই গান ছাড়া বাঙালি মুসলিমদের ঈদ অসম্পূর্ণ 🥰
২০০০-২০০৫ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া মানুষ গুলা জানে । ছোট বেলায় চাঁদ দেখার সাথে সাথে বিটিভি তে এই গজল টা শুরু সাথেই সাথেই ঈদের আনন্দের পূর্ণ স্বাদ অনুভব হতো । এই গানের ইতিহাস জেনে আরো ভালো লাগলো ।
ঠিক
right vai
কোন এডিট এর ব্যবস্থা ছিলনা, খালি গলায় একটা হারমোনিয়াম এর সাহায্যে গান গাইত, আর রেকর্ড হত ওই গ্রামোফোন এ, এরপর ও তাদের অকৃত্তিম গলা ছুয়ে যেত মানুষের হৃদয়।
+ ROMYULL ISLAM ঠিক তাই, ধন্যবাদ।
এ ইসলামিক গান রমজান এর ঈদ কে দিয়েছে পূর্ণতা। ভালবাসার- দুজন মানুষের যুগলবন্দীতে সৃষ্টি হয়েছে এ সুর।।
যত শুনি ততই ছোটবেলার কথা মনে হয়,,, সবাই মিলে একসাথে চাঁদ দেখা কত হৈচৈ,,, 😪😪
বাঙালির হৃদয়ে র দুই উজ্জ্বল তারা আকাশে ধ্রুবতারার মতন জ্বলজ্বল করে। এই দুই জন তো আজো কিংবদন্তি।
চোখে পানি চলে আসলো গানটি শুনে
২০ হাজার ভিউয়ার কেন গানটি শুনতে এসেছিল আমি জানি না। আমি শুনতে এসেছিলাম এই গানের কিংবদন্তি জেনে। কি বিষ্ময়কর তা!
ভিউয়ারেরও একটা লেভেল থাকে৷ ভালো ভিউয়ারের সংখ্যা অনেক কম।
হ্যা আমিও
আমিও।
ভাই ঘটনাটা কি কেউ বলবেন?
📌
কত আবেগ,কত ভালোবাসার,কত প্রশান্তির এই ইসলামি সঙ্গীত। কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও গায়ক আব্বাস উদ্দীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।🥺💝
২০২১ এই ৮৯ বছর ধরে বহমান গানটি অাল্লাহ কবুল করছে ইনশাআল্লাহ!!
93 বছরের মধ্যে এর চেয়ে ভালো সংগীত হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ
আরও ৯৩ হাজার বছরের মধ্যে হবেও না
কবি সাহেব এবং গায়ক আব্বাস উদ্দিন সাহেব, আজ পর্যন্ত যারা এতদিন এর মধ্যেও আমাদেরকে গান পৌঁছে দিয়েছে, সকলকে আন্তরিক আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।।
এই গানের ইতিহাস পড়ে গান শুনলাম। প্রতি বছর ঈদের চাঁদ দেখার সাথে সাথে টিভিতে বেজে উঠে এই জিবন্ত গান । এভাবেই চলবে যতদিন ঈদ উদজাপন হবে হাজার বছর ধরে মুসলমানদের মুখে মুখে থাকবে।
আহ! কত আবেগ আছে এই গানের মধ্যে, কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এমন সুন্দর গজল আর দ্বিতীয়টি হবেনা।এমন প্রতিভা কোথায় মিলবে!!
এটাই প্রথম গান-- আব্বাসউদ্দিনের গাওয়া। ধন্যবাদ এটি আপলোড করার জন্য।
+ Farhana Milly : তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।
Thanks for information
এটি প্রথম ইসলামী গান অবশ্যই কিন্তু আব্বাস উদ্দীনের গাওয়া প্রথম গান নয়। আব্বাস উদ্দীনের কন্ঠে প্রথম গান শৈলেন রায়ের লেখা ও ধীরেন্দ্রনাথ দাসের সুরে " কোন বিরহীর নয়নজলে বাদল ঝরে গো "। ১৯৩১ সালে প্রকাশিত হয়।
@@kajaladhikary59 ধন্যবাদ। কিন্তু আমি এটা বলিনি যে আব্বাসউদ্দিনের প্রথম গান এটি। ‘রমজানের ওই রোজার শেষে’ গানটি প্রথম তিনিই গেয়েছিলেন, সে তথ্য দিলাম।
ইতিহাস জেনে আসছি শুনতে, মাশাল্লাহ।
বাংলা গজলের জগতে রেকর্ড হওয়া প্রথম গজল। প্রেমের,বিদ্রহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কিংবদন্তী সুরকার আব্বাস উদ্দীনের কন্ঠে গাওয়া এ গজল আজো অমর।
একটা গজলের জন্য কত সাধনা করতে হয়েছিলো মরহুম আব্বাস উদ্দীনকে।
কত ভালোবাসা, কত আবেগ এখানে।
ক্ষ্যাপা নজরুল। মাত্র ৩০ মিনিটেই কি রচনা করলেন। আহা!! আপনি ভালো থাকুন।।
আব্বাস উদ্দিন আহমেদ বাঙলার ও বাঙ্গালী জাতির গর্ব,আমাদের অহংকার।কি অসাধারণ কন্ঠ।
মরহুম শিল্পী আব্বাসউদ্দিনের গাওয়া গজলটি শোনার খুব ইচ্ছে ছিলো। ধন্যবাদ আপলোড করার জন্য।
খুব ভালো লাগলো গজল টি শুনে 1932-2023 সাল
আল্লাহর কাছে দুইজনের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি
আলহমদুলিল্লাহ অসাধারণ একটা সংগীত এটা ছাড়া আমাদের ঈদ অসম্পূর্ণ ❤
অসাধারণ একটি গান চমৎকার
কেমন একটা অনুভূতি তৈরি হয়।।এতো প্রতিভা😍❤️❤️
গানের ইতিহাস জেনে খুব আগ্রহের সহিত সুর সম্রাট আব্বাস উদ্দিন আহমেদ এর কণ্ঠে গানটি শুনতে এলাম।
আল্লাহ যেন কবি নজরুল ও আব্বাস উদ্দিন এর কবর জান্নাতের টুকরো করে দেন
আব্বাসউদ্দিন আহমদ একটি প্রয়াসের নাম । ইসলামি গজল এর পেছনে তার ভালবাসা ছিল প্রগাঢ় । 🥰🥰
ফেসবুক থেকে এই গানটি জনপ্রিয় হওয়ার কাহিনীটা শুনেই গানটা শুনতে আসলাম।।।
আজ আছি কাল থাকবো না কিন্তু নজরুলের লিখা এই গান কেয়ামত দিবসের আগ পযন্ত বাংলাদেশের ঈদের প্রধান খোরাক হয়্র থাকবে ঈদ মানেই আনন্দ আর ৩০ তম রমজানের ইফতার শেষে বেজে উঠবে এই গান
Mr . Abbasuddin did a great job for the muslim .
May Allah bless him jannat alongwith our Kazi Nazrul islam .
Amin .
কাজী নজরুল ইসলাম এর এই গান
মুসলিমের মনে এভাবে গেঁথে গেছে
এই গান ছাড়া ঈদ অসম্পূর্ণ মনে হয়।
আর মাত্র কয়েক দিন বাকী ❤❤
হাজার কোটি বছর বেঁচে থাকবে এই গান
অসাধারণ গান এইটা,, ইসলামী সঙ্গীতের প্রথম গান এইটা
কি কমেন্ট করব ভাষা নাই আল্লাহ তুমি তাদের দুজনকে বেহেস্ত নসিব করো আমিন
অনেক খুঁজে বের করলাম প্রথম গাওয়া ঈদের গান।♥️♥️♥️
স্বরণ করি সেই কাজী নজরুল ইসলামকে।
যে এতো সুন্দর একটি সুন্দর গজল আমাদের উপহার দিয়েছে😊
এই গানটি বেশি ভালো লাগতো না কিন্তু এই গানের কাহিনী আমাকে মুগ্ধ করলো আমাকে, এটাই প্রথম বাংলায় ইসলামী সঙ্গীত
গানটির ইতিহাস দেখার পর শুনতে এলাম।সেই সময়ের সুপারহিট এসময়েরও সুপারহিট,সর্বকালের সেরা একটি ইসলামি সংগীত।
ভাই ইতিহাসটা কি?
@@mushfiqurrahman1107 গানটির নাম লিখে গুগলে সার্চ দিন।
@@hm6677 সার্চ দিলাম, চোখে পড়ার মত কিছুই পেলাম না। উইকিপিডিয়া পেজেও স্বাভাবিক কথা লেখা।
@@mushfiqurrahman1107একটা সংগ্রাম,একটা বিপ্লবের সাথে যুক্ত এই গান
কি শুদ্ধু উচরণ 🙏🙏🙏💐🏆🎁
Alhamdulillah,, Nazrul islam 1st Islamic song❤❤❤❤
ইতিহাস জানার পর ১৯৩২ সালের গাওয়া শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের কন্ঠে এবং কবি নজরুলের লেখা ও সুরে গানটি আবার ও শুনলাম। আসলে মজার ব্যাপ্যার হচ্ছে গানটি যত শুনি ততই মধুর লাগে। এজন্যই বার বার শুনি সবার কন্ঠে।।।।
নজরুল ইসলাম লেখা, আর অসাধারন গেয়েছেন আব্বাসউদ্দীন।
আলহামদুলিল্লাহ্। 2021 সালেও শুনছি।
জ্বনাব আব্বাস উদ্দিনের কন্ঠে গানটি শোনার খুব ইচ্ছে ছিলো। আজ গানটি শুনে মুগ্ধ হলাম।
শুনতে এলাম কিংবদন্তির কন্ঠে বিখ্যাত গান
এটাই ফার্স্ট রেকর্ড, এই গানটির।🙂 কে জানতো এটা যে ইতিহাস হয়ে যাবে।🙂🙂💔
কবি কাজী নজরুল ইসলাম রহ: মানুষ ছিলেন না। আল্লাহ্ পাক তাকে মানুষের রূপে দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ্।
এই গানটা এমন একটা গান যেটা কখনো পুরানো হবে না এই ৮৯ বছর বয়স গান টার তাও শুনলে একদম নতুন মনে হয়
কাজী নজরুলের শতাধিক ইসলামি গানের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হল ‘ও মোর রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’ গানটি। আব্বাসউদ্দীন আহমদের জীবনী থেকে জানা যায়, সঙ্গীতশিল্পী আব্বাসউদ্দীনের অনুরোধেই কাজী নজরুল ইসলাম এ গান রচনা করেছিলেন। তবে আব্বাসউদ্দীনের অনুরোধে রচনা করলেও এই গান নজরুলের জীবনব্যাপী সংগ্রামেরই অংশ যেখানে তিনি স্বজাতির বেদনা ও মুক্তির তাড়নায় প্রতিনিয়ত সৃষ্টির আনন্দে মেতে ছিলেন।
কবি তার কালজয়ী এ গানটি রচনা করেন ১৯৩১ সালে। লেখার মাত্র চারদিন পর শিল্পী আব্বাসউদ্দীনের গলায় গানটি রেকর্ড করা হয়। রেকর্ড করার দুই মাস পর ঈদের ঠিক আগে আগে এই রেকর্ড প্রকাশ করা হয়। আব্বাসউদ্দীনের ‘দিনলিপি ও আমার শিল্পী জীবনের কথা’র এ গান সম্পর্কে আব্বাসউদ্দীন লিখেন,
‘কাজীদার লেখা গান ইতোমধ্যে অনেকগুলো রেকর্ড করে ফেললাম। তার লেখা ‘ বেণুকার বনে কাঁদে বাতাস বিধুর’, ‘অনেক কিছু বলার যদি দুদিন আগে আসতে’, ‘গাঙে জোয়ার এল ফিরে তুমি এলে কই’, ‘বন্ধু আজও মনে পড়ে আম কুড়ানো খেলা’ ইত্যাদি রেকর্ড করলাম। একদিন কাজীদাকে বললাম, ‘কাজীদা, একটা কথা মনে হয়। এই যে পিয়ারু কাওয়াল, কাল্লু কাওয়াল- এরা উর্দু কাওয়ালি গায়, এদের গানও শুনি অসম্ভব বিক্রি হয়। এ ধরনের বাংলায় ইসলামি গান দিলে হয় না? কথাটা তার মনে লাগল। তিনি বললেন, ‘আব্বাস, তুমি ভগবতীবাবুকে বলে তার মত নাও। আমি ঠিক বলতে পারব না’। আমি ভগবতী ভট্টাচার্য অর্থাৎ গ্রামোফোন কোম্পানির রিহার্সেল-ইনচার্জকে বললাম। তিনি তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন, ‘না না না, ওসব গান চলবে না। ও হতে পারে না’। মনের দুঃখ মনেই চেপে গেলাম।
এর প্রায় ছয় মাস পর। একদিন দুপুরে বৃষ্টি হচ্ছিল, আমি অফিস থেকে গ্রামোফোন কোম্পানির রিহার্সেল ঘরে গিয়েছি। দেখি, একটা ঘরে আশ্চর্যময়ী আর ভগবতীবাবু বেশ রসালো গল্প করছেন। আমি নমস্কার দিতেই বললেন, ‘বসুন, বসুন’। আমি তার রসাপ্লুত মুখের দিকে চেয়ে ভাবলাম, এ-ই উত্তম সুযোগ। বললাম, ‘যদি কিছু মনে না করেন, তাহলে বলি। সেই যে বলেছিলাম ইসলামি গান দেওয়ার কথা। আচ্ছা; একটা এক্সপেরিমেন্টই করুন না, যদি বিক্রি না হয় আর নেবেন না, ক্ষতি কী’? তিনি হেসে বললেন, ‘নেহাতই নাছোড়বান্দা আপনি, আচ্ছা আচ্ছা, করা যাবে’।
শুনলাম, পাশের ঘরে কাজীদা আছেন। আমি কাজীদাকে বললাম, ভগবতীবাবু রাজি হয়েছেন। তখন সেখানে ইন্দুবালা কাজীদার কাছে গান শিখছিলেন। কাজীদা বলে উঠলেন, ‘ইন্দু, তুমি বাড়ি যাও, আব্বাসের সঙ্গে কাজ আছে’। ইন্দুবালা চলে গেলেন।
এক ঠোঙা পান আর চা আনতে বললাম দশরথ থেকে। তারপর দরজা বন্ধ করে আধঘণ্টার ভেতরই লিখে ফেললেন, ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’।
তখনই সুর সংযোগ করে শিখিয়ে দিলেন। পরের দিন ঠিক এই সময় আসতে বললেন। পরের দিন লিখলেন, ‘ইসলামের ওই সওদা লয়ে এল নবীন সওদাগর’। গান দু’খানা লেখার ঠিক চার দিন পরই রেকর্ড করা হল। কাজীদার আর ধৈর্য মানছিল না। তার চোখেমুখে কী আনন্দই যে খেলে যাচ্ছিল! তখনকার দিনে যন্ত্র ব্যবহার হতো শুধু হারমোনিয়াম আর তবলা। গান দু’খানা আমার তখন মুখস্থ হয়নি। তিনি নিজে যা লিখে দিয়েছিলেন, মাইকের পাশ দিয়ে হারমোনিয়ামের ওপর ঠিক আমার চোখ বরাবর হাত দিয়ে কাজীদা নিজেই সেই কাগজখানা ধরলেন, আমি গেয়ে চললাম। এই হল আমার প্রথম ইসলামি রেকর্ড। শুনলাম; দুই মাস পর ঈদুল ফিতররের সময় গান দু’খানা তখন বাজারে বের হবে। ঈদের বাজার করতে একদিন ধর্মতলার দিকে গিয়েছি। বিএন সেন অর্থাৎ সেনোলা রেকর্ড কোম্পানির বিভূতিদার সঙ্গে দেখা। তিনি বললেন, ‘আব্বাস, আমার দোকানে এস’। তিনি এক ফটোগ্রাফার ডেকে নিয়ে এসে বসলেন, ‘এর ফটোটা নিন তো’। আমি তো অবাক! বললাম, ‘ব্যাপার কী’? তিনি বললেন, ‘তোমার একটা ফটো নিচ্ছি, ব্যস, আবার কী’?
ঈদের বন্ধে বাড়ি গেলাম।…কলকাতা ফিরে এসে ট্রামে চড়ে অফিসে যাচ্ছি। ট্রামে একটি যুবক আমার পাশে গুনগুন করে গাইছে, ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে’। আমি একটু অবাক হলাম। এ গান কী করে শুনল! অফিস ছুটির পর গড়ের মাঠে বেড়াতে গিয়েছি, মাঠে বসে একদল ছেলের মাঝে একটি ছেলে গেয়ে উঠল, ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে’। আনন্দে-খুশিতে মন ভরে উঠল।… ছুটলাম কাজীদার বাড়ি। শুনলাম, তিনি রিহার্সেল রুমে গেছেন। দেখি, দাবা খেলায় তিনি মত্ত। দাবা খেলতে বসলে দুনিয়া ভুলে যান তিনি। আমার গলার স্বর শুনে একদম লাফিয়ে উঠে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন, ‘আব্বাস, তোমার গান কী যে-’ আর বলতে দিলাম না পা ছুঁয়ে তার কদমবুসি করলাম। ভগবতীবাবুকে বললাম, ‘তাহলে এক্সপেরিমেন্টের ধোপে টিকে গেছি, কেমন’? তিনি বললেন, ‘এবার তাহলে আরও ক’খানা এই ধরনের গান…’ (আব্বাসউদ্দীন, ১৯৬০)
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অজানা অনেক তথ্য জানলাম।
ঠিক বলেছেন।
গানটির ইতিহাস শোনার পর। সাথে সাথে গানটি শুনতে চলে এলাম ইউটিউবে। সেইও 1932 সালের গানটি আজো আমাদের মাঝে নতুন রয়ে আছে।ছোটবেলা চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে বিটিভিতে এই গানটি শুনতে চলে যেতাম। এই গানটি না বাজলে মনে হয় নাযে ঈদ এসেছে। এবং সারা জীবন এই গানটি ঈদের চাক চমক তৈরি করবে।
এই গান ছাড়া রোজার ঈদকে ঈদই মনে হয়না। কত আবেগ জড়িয়ে আছে এই গানের সাথে।
মাশাল্লাহ
মহান আল্লাহ ওনাদের জান্নাত নসিব করুণ
জখনি জানতে পারলাম কবির প্রথম ইসলামিক গান,,তা ও আবার আব্বাসউদ্দীন সাহেবের গলায়,, তাই গানটি শুনার লোভ সামলাতে পারলাম না,, ❤❤
গান রেকর্ডের ইতিহাস জানার পর আব্বাস সাহেবের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছে, সকল বাংগালী মুসলিমের এই ইতিহাস জানার দরকার।
ফারুকীদের ও এই ইতিহাস জানা দরকার যে মুসলমানদের কেমন অধিকার ছিল তখন। তখনকার গান বা সিনেমায় মুসলমানরা নিজেদের নামটা পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারত না।
আজ 81 বছর পরে ও গানটা হিট
ঘটনা আজকে শুনতে পেলাম শুনে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছে
নজরুল ইসলাম এবং আব্বাস উদ্দিন এক একজন কিংবদন্তি ❤
ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ❤️
Ekhon eid er e akta ongso ei gaan ta❤️
কত শত স্মৃতি জড়ানো একটি সংগীত।
আমার প্রিয় দুটি মানুষ নজরুল ও আব্বাস
আজ প্রথম আব্বাসউদ্দীন সাহেবের গলা শুনলাম।
এই সংগীতের প্রথম কন্ঠ শুনে চোখে জল এসে গেল😭😭
অসাধারন ইসলামী সংগীত।পট ভূমী আরো অসাধারণ।
স্যালুট আব্বাস উদ্দিন আহমদ
এই ♪ গানের ইতিহাস জেনে আবেগ আপ্লূত হয়ে গেলাম ❤️
Same here brother 🥰
ভাই ইতিহাসটা কি?
@@ziaulhaque3759 ভাই ইতিহাসটি কি?
আমার মনে হয় এত সুন্দর গজল আর কেউ কোন দিন রশনা ও সুর দিতে পারবেনা।
৮৯ বছর আগের লেখা ও সুর করা রামাদানের গানটি আজ আরো নতুন হয়ে ধরা দিয়েছে। নক্ষত্র সেরা কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
ঈদের খুশি আর এই গান অবিনশ্বর।
Legendary Song from Kazi Nazrul Islam❤
এই সংগীতের প্রথম রেকডিং শুনতে আসায় আপনার প্রতি রইলো ভালোবাসা।❤🎉
নজরুল ইসলাম স্যার
অসাধারণ কবি সাহিত্যিক
মাশাল্লাহ ❣❣❣
ইতিহাস জানার পর শুনতে আসলাম 🖤
কলিজাটা ঠান্ডা হয়ে গেল
তারিখ -১২/০৪/২০২৪
গজল টির ইতিহাস শুনে আজ প্রথম আব্বাস উদ্দিন স্যার কে দেখা এবং প্রকৃত সুর শুনা হলো
ঘটনাটা শোনার পরে এই প্রথম শুনলাম
গানটির পিছনের ইতিহাস এবং জনপ্রিয়তা সত্যিই অতুলনীয় 💗💗
ভাই ইতিহাসটা কি?
শুরের পাখি আব্বাসউদ্দিন , 🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
Aha koto modhur 2023 Eidul fitor
হুজুর তারেক মনোয়ার এর ওয়াজ শুনে গান টা শুনতে এলাম ০৪/১০/২০২৩ ইং বিকাল ৩টা
❤❤❤অসাধারণ
অনবদ্য সৃষ্টি এই গান।এ গান ছাড়া ঈদ অসম্পন্ন। সবাইকে ইদ মোবারক
মাশাআল্লাহ ❤❤❤
(2019-1932)= 87 বছর আগের রেকর্ড!!! অনেক ভালো লাগলো ।
Bangla Funny 88
2020
2021
2022.... 90 bosor
2023(91)
সুর সম্রাট আব্বাসউদ্দীন এর কন্ঠে অসাধারণ লাগে। নজরুলের রচনা সহস্রাধিক বছর টিকে থাকবে। ইনশাআল্লাহ। শুরু ১৯৩২ আজো মনে জীবন্ত কিংবদন্তি লেখক ও শিল্পী।