মণিপুরীদের গ্রাম আদমপুর নানা সৌন্দর্যে ভরপুর ||| MANIPURI VILLAGE ADAMPUR BANGLADESH

Sdílet
Vložit
  • čas přidán 6. 09. 2024
  • মণিপুরী (The Manipuris) বাংলাদেশের অন্যতম আদিবাসী সম্প্রদায়। প্রাচীনকালের সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং এখনকার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর এদের আদি বাসস্থান। প্রাচীনকালে মণিপুরী সম্প্রদায় ক্যাংলেইপাক (Kangleipak), ক্যাংলেইপাং (Kangkleipung), ক্যাংলেই (Kanglei), মেইত্রাবাক (Meitrabak), মেখালি (Mekhali) প্রভৃতি নামে পরিচিত ছিল। মণিপুরীদের মেইতেই নামেও অভিহিত করা হতো। মহারাজ গরীব নেওয়াজের (১৭০৯-১৭৪৮) শাসনামলে সিলেট থেকে আগত মিশনারিগণ এই স্থানকে মহাভারতে বর্ণিত একটি স্থান মনে করে এই ভূখন্ডের নাম দেন মণিপুর। এভাবেই এখানকার প্রধান অধিবাসী মেইতেইদের নাম হয়ে যায় মণিপুরী। পরবর্তীকালে অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, এখনকার মণিপুর এবং মহাভারত-এ উল্লিখিত মণিপুর একই স্থান নয়। মণিপুরীরা বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধ, সংগ্রাম এবং অন্যান্য সামাজিক, রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশে এসে বসতি স্থাপন করে।মণিপুর নামকরণের পেছনে একটা পৌরাণিক কাহিনী আছে। একদা দেবী দুর্গা মহাদেবের প্রেমে আসক্ত হয়ে আনন্দচিত্তে লীলা ও কীর্তন করার জন্য মহাদেবকে অষ্টপর্বত পরিবেষ্টিত অরণ্যময়, কুসুমে নর্তন সুরভিত এক উপত্যকা ভূমিতে উপনীত হন। বর্তমান মণিপুর ও লোকতাক হ্রদ। মহাদেব ত্রিশূলাঘাতে পর্বত ছিদ্র করে জল বের করেন। মহাদেব ও দুর্গা আহ্লাদে লীলাখেলা করছেন এমন সময় নাগপতি অনন্ত দুর্গা ও মহাদেবকে লীলাখেলার আনন্দে বিমূঢ় দেখে সেও আনন্দে আনন্দিত হয়ে মস্তকসমূহে মণি রাজি ছড়িয়ে দেয়। মণিসমূহে উপত্যকা ভূমি উজ্জ্বলময় আলোকে আলোকিত হয়েছিল বলে ওই ভূভাগের নাম পরবর্তী সময় ‘মণিপুর’ নামে আখ্যায়িত হয়। মণিপুরের আদিবাসীদের মণিপুরী বলা হয়।ধর্মীয় বিচারে সকল মণিপুরী বর্তমানে চৈতন্য ধারার সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। তবে অষ্টাদশ শতাব্দীতে সনাতন ধর্মগ্রহণের পূর্বে মণিপুরীরা অপক্পা (Apokpa) ধর্মচর্চা করত। পরবর্তীকালে যদিও সনাতন বৈষ্ণব ধর্মের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য মণিপুরীদের মন জয় করে নেয়, কিন্তু তারা তাদের পূর্বের বিশ্বাস একেবারে বির্সজন দেয়নি। ফলে এই দুই বিশ্বাসের সংশ্লেষণে তৈরি হয়েছে একটি নব ধারার যার বহিরঙ্গে চৈতন্য ধারার প্রেমাবেগ সৌন্দর্য আর অন্তরঙ্গে রয়েছে পুরানো বিশ্বাস ও অনুভূতি। মণিপুরীরা একদিকে জাঁকজমক ভাবে সনাতন ধর্মের বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি, যেমন রথযাত্রা, রাসপূর্ণিমা, ঝুলনযাত্রা ইত্যাদি পালন করে, একইসঙ্গে তারা পূর্বের ধর্মীয় অনুষ্ঠান লাইহারাওবা (Laiharaoba), সাজিবু চেইরাওবা (Sajibu Chairaoba) ইত্যাদিও পালন করে। তারা সানামাহি (Sanamahi), পাকাংবা (Pakangba) এবং লেইমারেন (Leimaren) প্রভৃতি গৃহ দেবদেবীর পূজাও করে থাকে। এছাড়া অনেক মণিপুরী আছে যারা একইসঙ্গে আগের বিশ্বাস এবং ইসলাম ধর্ম পালন করে। এদের বলা হয় মেইতেই পানগন (Meitei Pangon) বা মণিপুরী মুসলমান। মণিপুরীদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে ধর্মবিশ্বাস, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীবনের বিশেষ বিশেষ সন্ধিক্ষণে, যেমন জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে ইত্যাদিতে তারা নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও প্রচলিত আচারাদি পালন করে থাকে।মণিপুরী নৃত্যকে বলা হয় লাস্য (Lashya) বা কোমল ধরনের নাচ। কোমলতা ও নম্রতা হচ্ছে এই নৃত্যের বিশেষত্ব, লাইহারাওবা-তে দেখা যায় চমৎকার রুচিশীল শারীরিক ভঙ্গিমা, সৌন্দর্য ও নিবেদনের আকুতি। মৃদঙ্গ নৃত্যেও এরকম ভাবপ্রকাশ লক্ষণীয়। আবার শ্রীকৃষ্ণ-নর্তনে ফুটে ওঠে অসীমতার প্রতি জীবনের আকুতি প্রকাশ। খাম্বা-থইবি নৃত্যে এই দুয়ের অর্থাৎ টানভা (শক্তিমত্ততা) ও লাস্যময়তার সংমিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়।
    #মণিপুরী #manipuri_village_adampur
    For More Visit:
    Website: infohunterbd.b...
    Facebook: / bdinfohunter

Komentáře • 174