কবি সুব্রত মিত্রের কলমের খোঁচায়;কে•এম•ডি এর উদ্যোগে বিজন সেতুতে বিজন কুমার বসুর নামের ফলক সংস্কার।

Sdílet
Vložit
  • čas přidán 11. 09. 2024
  • সোশ্যাল মিডিয়ার কবি সাহিত্যিকেরাও যে সমাজ চেতনার বার্তা দিয়ে সমাজকে এক অন্য ধারায় ধাবিত করছে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ আজকের দিনে অন্তত নেই। সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে লেখনি এবং ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সমাজকে সচেতন করার সোশ্যাল মিডিয়া এক অত্যাধুনিক মুক্তমঞ্চ। এই মুক্ত মঞ্চকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তবে এর ফল অত্যন্ত সুফলে পরিনত হয় এ কথা প্রমাণিত। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিজন কুমার বসুর নামে নমাঙ্কিত বিজন সেতুর উপরের চারটি ফলককে অত্যন্ত অনাদর ও অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখে তা আমি আমার ফেসবুক একাউন্ট থেকে বিষয়টি লিখিত আকারে ও ভিডিও আকারে প্রকাশ করি। সৌভাগ্যক্রমে আমার সেই ভিডিও বার্তা এবং লেখা সুদূর আসানসোলে বিজন কুমার বসুর পরিবারের সদস্যদের সামনে পৌঁছয়। অতঃপর তারা বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত তৎপরতার সহিত কলকাতা মেট্রোপলিটন অথরিটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট যোগাযোগ করেন। মাঝে কয়েকটি মাস অতিক্রম হল। ইতিমধ্যে আমার সেই পোস্ট আরো কয়েকজন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিরা পোস্ট করেন। এদিকে প্রয়াত বিজন কুমার বসুর ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন এগিয়ে আসে দোসরা আগস্ট ২০২৪। ফলক গুলি এই তারিখের মধ্যে সংস্কার হয়ে গেলে খুবই ভালো হয়। চিন্তিত ছিলেন বিজন কুমার বসুর পরিবারের সকল সদস্যেরা। চিন্তিত ছিলাম আমিও। এত লেখালেখি এত বলাবলি এসবের সুফল স্বরূপ কিছু কাজ নিশ্চয়ই হয়েছে। হ্যাঁ, আজ বিজন কুমার বসুর ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিজন কুমার বসুর নামের কয়েকটি নতুন ফলক তৈরি করা হলো কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তরফ থেকে। যদিও বা আগের ক্যালকাটা ইমপ্রুভমেন্ট রাষ্ট্রের তৈরি করা ফলক গুলি সংস্কার করা বা নতুন করে রং করা হয়নি। আজকের এই বিশেষ দিনটিতে বিজন কুমার বসুর পরিবারের সদস্যবৃন্দরা তার মৃত্যুর ৫০ তম দিনটি পালন করলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে এই বিজন সেতুর ফলকের সামনেই। আজকের দিনে আমিও ওখানে উপস্থিত থাকতে পারলে খুবই ভালো লাগতো। এই নবনির্মিত ফলকের পেছনে আমার কোন ভূমিকাই হয়তো নেই তবুও আমি আনন্দিত। আমি আনন্দিত যে প্রসঙ্গটি আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলাম তা বিন্দুমাত্র হলেও কাজে লেগেছে। তবে পুরনো ফলক গুলি যদি সম্ভব হয় পাথরের খোদাই করে লেখাগুলিকে একটু উজ্জ্বল করে লিখে দেয়ার জন্য আমি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতি আরো একবার অনুরোধ করবো। কারণ, ঐতিহ্যবাহী এই ফলক গুলির সংস্কারের মধ্য হতে বিজন কুমার বসুর স্মৃতিচারণায় আগামী প্রজন্মের কাছে আরো বেশি শ্রদ্ধার সহিত বিষয়টি স্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আমার ধারণা। আর যে প্রসঙ্গে সঙ্গে কথা বলছিলাম, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লেখালেখি করা এবং গঠনমূলক কোন কন্টেইন ক্রিয়েট করা সমাজের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আজ। আসুন এভাবেই আমরা সমাজকে সংস্কার মুখী করি, আরো আরো নতুনভাবে বিকশিত হই।
    ✍️কবি সুব্রত মিত্র

Komentáře •