Video není dostupné.
Omlouváme se.

Maradona 😭🙏 ম্যারাডোনা। Rest In peace 😭 Ekattor Tv

Sdílet
Vložit
  • čas přidán 24. 11. 2020
  • কীর্তিমানের মৃত্যু নাই! 🥀🌸
    যুগের পর যুগ বেঁচে থাকবেন উনি সকলের হৃদয়ে। 🌸😞
    বিদায় কিংবদন্তী❤️❤️ ভালো থাকবেন। সবার ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন আপনি সবার মাঝে😞
    #Maradona #ম্যারাডোনা
    যখনই খেলেছে তখনই জিতেছে। কেবল হেরে যাওয়া মূত্রত্যাগের কাছে!
    তার শরীরে পাওয়া গেল এফেড্রিন আর নিমেষে তাকে ছুঁড়ে ফেলা হল ১৯৯৪ বিশ্বকাপ থেকে। আমেরিকা সহ অনেক দেশের ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা এফেড্রিনকে শক্তিবর্ধক হিসেবে না দেখলেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে এই জিনিসটা ছিলো নিষিদ্ধ।
    বিস্ফোরণ ঘটলো দুনিয়ায়। হঠকারি আর কলঙ্কজনক সব শব্দ আর নিন্দার ঝড়ে বধির হয়ে গেলো যেন বিশ্ব। কিন্তু নিন্দিত নক্ষত্রের সমর্থনে তখনও কিভাবে যেন কিছু আওয়াজ উঠলো। ফিফার প্রতি অনাস্থা আর ম্যারাডোনার প্রত্যাবর্তনের দাবিতে শুধু আহত ও বাকরুদ্ধ বুয়েন্স আয়ার্সই না, কেঁপে উঠলো জগতের দূরতম স্থান বাংলাদেশের রাজপথও। তবে জাজ করা ও নিন্দা করা সবসময়ই সহজ। সেরা হবার যে পাপটা ম্যারাডোনা করে গেছেন বছরের পর বছর তা ভুলে যাওয়া সে তুলনায় বেশ কঠিন। যেমন কঠিন, ক্ষমতাশালীরা যেসব কথার উচ্চারণে ভয় পায় সে কথাগুলোই উচ্চস্বরে বলে ম্যারাডোনা যে অন্যায় করেছে তা ভুলে যাওয়াটাও। তাছাড়া বাম পায়ে খেলাটাও যেন তার বিশাল অপরাধ! খেলার যে ধরনটা অক্সফোর্ড ডিকশনারি মতে অর্থ শুধুই “বা হাত-পা সম্পর্কিত”ই না বরং যার মানে অশুভ ও সন্দেহজনক।
    দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা কখনই ম্যাচের আগে শক্তিবর্ধক ড্রাগ নেয়নি। এটা সত্যি যে সে কোকেনে আসক্ত ছিলো। কিন্তু কখন নিতো কোকেন? যখন ম্যারাডোনাকে যেতে হতো বিষণ্ণ সব পার্টিতে আর তার মন চাইতো সেখান থেকে উধাও হয়ে এমন কোথাও চলে যেতে যেখানে সব ভুলে থাকা সহজ, আর কেউ তাকে চিনবেও না। কিন্তু সবার চোখ আর সবগুলো ফ্ল্যাশলাইটের ধাক্কা তাকে নিয়ে গেছিলো সেরাদের সেরার জন্য রাখা এমন এক বদ্ধ স্থানে যেখানে বাস করে ম্যারাডোনা অন্তত সুখী হতে পারছিলো না। এটা মনে রাখা তাই খুব জরুরী যে কোকেন নেয়ার কারনে না, কোকেন নেয়া সত্ত্বেও ফুটবলার ম্যারাডোনা ছিলো যে কারো চেয়ে সেরা।
    নিজের ব্যক্তিত্বের ভারে সর্বক্ষণ মগ্ন থাকা লোক সে না হলেও তা অনুভব করতো সব সময়ই। সেই অনেক বছর আগে, প্রথম কোন ফ্যান যখন তার নামে চিৎকার করে প্রকাশ করেছিল উল্লাস; সেদিন থেকেই ম্যারাডোনার পিঠে ভার চেপেছে। ম্যারাডোনা নামের পাহাড়সম বোঝার ভারে বেঁকে যেতে লাগলো ব্যক্তি ম্যারাডোনার কাঁধ। শরীরের কথা শুধু রূপকার্থেই না, বাস্তবেই এমনটা ছিলো তার জন্য। ব্যথানাশক ছাড়া ঘুমাতে পারতো না পায়ের যন্ত্রনার কারনে। ‘ফুটবল মাঠের ঈশ্বর’এর দায়িত্ব নিয়ে বেঁচে থাকা যে সম্ভব না তা বুঝতে বেশি দেরি হয়নি তার। কিন্তু প্রথম থেকে এও জানা ছিলো যে থেমে যাবার কোন্ সুযোগই আসলে নেই। অতিমানবীয় পারফর্মেন্সের অভূতপূর্ব চক্র শেষ করার অনেক পর; কর্টিজোন, বেদনানাশকের সাথে প্রশংসায় ফুলে উঠার সময়ের পর; ভক্ত পূজারীদের চাওয়ার কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হবার এবং হেটারদের বাক্যবাণে আহত হবার সেই দিনগুলোর ম্যালাদিন পরে অবশ্য স্বীকার করেছিলো যে মানুষের প্রত্যাশা আদতে তারও কাঙ্ক্ষিতই ছিলো।
    কোন মহাকাব্যকে পুড়িয়ে ফেলার আনন্দ সরাসরি একটা মহাকাব্য রচনার তাগিদেরই সমানুপাতিক। স্পেনে এক ম্যাচে ম্যারাডোনার পায়ে যখন বলই ছিলো না সেই অবস্থায় গয়কয়চার পেছন থেকে করা আঘা্ত তাকে সাইডলাইনে ঠেলে নিয়ে গিয়েছিলো কয়েক মাসের জন্য। সে অবস্থায় কিছু ফ্যানাটিক যেন তাদের কাঁধেই বহন করেছিলো এই পূর্বপরিকল্পিত খুনের অপরাধীকে। আর দুনিয়াজুড়ে কিছু মানুষ প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছিলো ক্ষুধার রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে বিশ্বের রাজা বনে যাওয়া উদ্ধত অপাংক্তেয় এই অনুপ্রবেশকারীর পতন উদযাপন করার জন্য। ভদ্রবেশির দুনিয়ায় এবার পতন ঘটবে বদ ছেলেপুলের বাইক গ্যাং-এর ঝাঁকরা চুলের এমন এক বেয়াদব ছোকরার, যার ছিলো সত্য বলার দুঃসাহস।...
    এবার অনেক পরের ঘটনায় আসি, নেপলসে। ম্যারাডোনা ওখানে সান্তা ম্যারাডোনা। আর নেপলসের প্রধান সেইন্ট সান গেনারোকে স্থানীয়রা ম্যারাডোনার নামের আরমান্দোর সাথে মিলিয়ে ডাকছে সান গেনারমান্দো বলে। ম্যারাডোনাই তখন নেপলসের ঈশ্বর। নেপলসের রাস্তায় বিক্রি হচ্ছে এমন সব ছবি যেখানে ম্যারাডোনা যেন জেসাস! তার মাথায় আলোক বৃত্ত। অথবা লম্বা হুডি পরিহিত রহস্যময় কোন দেবতা, ঈশ্বরের প্রতি অর্ঘ্য নিবেদনে নিজ রক্ত ঝরান যিনি ছয় মাস পরপর। উত্তর ইতালীর কুলীন ক্লাবগুলোর জন্য কফিনও বিক্রি করেছে তখন নেপলসবাসী। আর ছিলো ছোট্ট কিছু বোতল; সিল্ভিও বার্লুস্কোনির অশ্রু বিক্রি হতো স্বল্প মূল্যে। বাচ্চাদের তখন খুব প্রিয় ‘ম্যারাডোনা পরচুলা’। সেই সময়েই দান্তের ভাস্কর্যের পায়ের কাছে কে যেন রেখে গিয়েছিলো একটা ফুটবল। আর মাল্টার বিখ্যাত ট্রাইটন ফাউন্টেনকে পরিয়ে দেয়া হয়েছিল নাপোলীর নীল জার্সি।
    সর্বশেষ কোন চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর তখন কেটে গেছে প্রায় একটা শতাব্দী। ভিসুভিয়াসের আক্রোশ আর ফুটবল মাঠে শাশ্বত পরাজয়ের অনলে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া নেপলবাসীরা তাই ম্যারাডোনার প্রতি নিবেদন করলো ঈশ্বরের ভক্তি। কারন এতোদিন পর ডিয়েগো ম্যাজিকেই অন্ধকার অনুন্নত দক্ষিণ ইতালির কাছে ফুটবল মাঠে রীতিমতো অপমানিত হলো উত্তরের শ্বেতাঙ্গরা। শুধু ইতালির স্টেডিয়ামেই না, ইউরোপজুড়ে নাপোলি জিততে থাকলো ম্যাচের পর ম্যাচ, কাপের পর কাপ। এবং নাপোলির প্রতিটি গোলে ঝরে পড়ছিল প্রতিষ্ঠিত শৃঙ্খলা ও ইতিহাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের স্পর্ধা। মিলানবাসী ঘেন্না করা শুরু করলো ম্যারাডোনাকে। একমাত্র যে লোকের কারণে উদ্ধত চাষাদের সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে হারতে হয়েছে ন্যাক্কারজনকভাবে, তার জন্য রোষ ভিন্ন অন্যকিছু বরাদ্দ থাকার কথাও নয় অবশ্য। শুধুমাত্র মিলানেই না; ইতালিতে অনুষ্ঠিত হওয়া ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে দর্শকেরা ছিল ডিয়েগোর বিরুদ্ধে একদম মারমুখী অবস্থানে। ম্যারাডোনার পায়ে বল যেতেই শুরু হয়ে যেত কর্কশ হুইসেল আর ফাইনালে জার্মানির কাছে আর্জেন্টিনার পরাজয়ে তাদের উল্লাস দেখে মনে হয়েছে বিশ্বকাপটা জার্মানি না, ইতালিই পেয়েছে!
    তারপর ম্যারাডোনা যখন নেপলস ছাড়তে চাইলেন, বেঁকে বসলো পুরো শহর। মোমের পুতুলে পিন ফুটিয়ে ম্যারাডোনার জানালায় ছুঁড়তে লাগলো অতি আবেগীরা। যে শহরের

Komentáře • 11

  • @shuvobiswas2890
    @shuvobiswas2890 Před 3 lety +5

    I love you Maradona

  • @alvirakabir3070
    @alvirakabir3070 Před rokem +1

    এত সুন্দর প্রতিবেদন
    সত্যি মেরাডনার প্রতি ভালোবাসার প্রতিফলনই হলো এই সুন্দর প্রতিবেদন টি

  • @polyroy5718
    @polyroy5718 Před 2 lety +4

    সত্যিই/তুমি/৮৬/এির/নায়কের /নায়ক

  • @masudmasud4353
    @masudmasud4353 Před 2 měsíci

    ❤ফুটবল বিশ্বের জনপ্রিয়তার শীর্ষে ম্যারাডোনা এবং মেসি

  • @Mirzamahdin
    @Mirzamahdin Před 11 měsíci

    Messi maradona Di maria ♔. tader tulona karu sate chole naa tader tulona tara nijeiii❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤

  • @emongolder3287
    @emongolder3287 Před 3 lety +1

    😭😭😭