এই নবগুণের দ্বারা একজন শূদ্র ও ব্রাহ্মণ হয়ে উঠতে পারে

Sdílet
Vložit
  • čas přidán 27. 08. 2024

Komentáře • 254

  • @jayantachatterjee2841
    @jayantachatterjee2841 Před rokem +7

    হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
    👃👃

  • @debobrotochatterjee4719
    @debobrotochatterjee4719 Před rokem +1

    Jai radhe shyam

  • @nabarunchakraborty7387
    @nabarunchakraborty7387 Před rokem +4

    আমার ১৩ বছর বয়সে পৈতে হয়েছিল। আজ আমার ৫৩ বছর। অনেককেই নয় গুণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেউই উত্তর দিতে পারেন নি। আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন !

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ সবই ঈশ্বরের কৃপা শুধু সময়ের অপেক্ষা জয় শ্রী হরি জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

  • @rajasain4898
    @rajasain4898 Před rokem +6

    এই ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খুব সুন্দর খুব মধুর যা শুনলে শ্রীকৃষ্ণের কথা মনে পড়ে যায়❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤ জয় শ্রীকৃষ্ণ

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @debobrotochatterjee4719
    @debobrotochatterjee4719 Před rokem +2

    Hari Om tath sath

  • @debobrotochatterjee4719
    @debobrotochatterjee4719 Před rokem +1

    Om namah narayana nah namo

  • @praloychatterjee8637
    @praloychatterjee8637 Před rokem +5

    খুব ভালো লাগলো অতি জ্ঞানের কথা বললেন ধন্যবাদ আরও কিছু তথ্য দিলে উপকৃত হব

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সব ঈশ্বরের কৃপা। জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

  • @rajada033
    @rajada033 Před rokem +1

    You are right
    Jai GURU...

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @sowmenhalder4858
    @sowmenhalder4858 Před rokem +12

    খুব সুন্দর উপস্থাপনা ও ব্যাখ্যা।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @007apurbapal
    @007apurbapal Před rokem +11

    আজ পর্যন্ত কোনো ব্রাহ্মণ এর মধ্যে মধ্যে এই গুণগুলো দেখিনি।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +4

      যথার্থই বলেছেন কিন্তু সংখ্যায় সেটা হয়তো কম কিন্তু এখনো আছে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @goal1194
      @goal1194 Před rokem +2

      ব্রাহ্মণ মাত্রই এই গুণ থাকবেই। আমরা যাদের দিয়ে পূজো করাই বা টাইটেল দেখে যাদের আমরা ব্রাহ্মণ বলি তারা কেউ ব্রাহ্মণ নয়।

    • @utpalbarman9334
      @utpalbarman9334 Před rokem

      অভাবে স্বভাব স্বভাব নষ্ট

    • @tipsuseful479
      @tipsuseful479 Před rokem +1

      কাদের মধ্যে দেখলেন ?

  • @mintumaji6683
    @mintumaji6683 Před rokem +5

    আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।এই ধরনের ভিডিও তৈরী করে যে সমাজ সেবা করলেন তা অতুলনীয়।এমনি করেই বিভিন্ন ভিডিও আনবেন এই আসা রাখলাম। ধন্যবাদ।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের ভালো লাগাটাই আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার এবং আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় কৃপালু হন এটা আমার উদ্দেশ্য জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @mintumaji6683
      @mintumaji6683 Před rokem +2

      @@anilchakraborty7418 এমনই করে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেবার জন্য ধন্যবাদ নামক শব্দটি দিয়ে আপনাকে ছোট করতে চাই না। এই ধরনের ভিডিও দিয়ে কৃপা বর্ষন করায় আমরা প্রকৃত অর্থে হিন্দুত্বকে জানবার সঠিক সুযোগ পেলাম। তবে ধৃষ্টতা না রেখে একটি কথা কেবল বলি, ব্যাখ্যাগুলি একটু অন্তরগ্ৰাহী হলে খুব ভালো হয়।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অবশ্যই চেষ্টা করব জয় রাধে🙏🙏🙏

  • @shyamalkanti7691
    @shyamalkanti7691 Před rokem +1

    Ami sabsomoy. Manechola chestakori. But kui annoy korle. Khamar joyagho nai. He / she will be getting the punishment. Gobinda kripya. Hare Krishna hare Krishna. Joy MAA Tara. Kali devi b

  • @debobrotochatterjee4719
    @debobrotochatterjee4719 Před rokem +1

    Radhe Radhe

  • @debobrotochatterjee4719
    @debobrotochatterjee4719 Před rokem +1

    Jai radhe

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @sbannerjee129
    @sbannerjee129 Před rokem +2

    Khub valo laglo.. upokrito holam.. dhanyawad 🙏🙏

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏

  • @kolkattakolkatta6132
    @kolkattakolkatta6132 Před rokem +1

    Hara krrishno

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @RANJITROY-uj2ne
    @RANJITROY-uj2ne Před rokem +1

    Joy guru dada oti sundor lagche apnar gyan abong upodesta porom pita apnrmongol koruk Thakur

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ এইভাবে পরম পিতা পরমেশ্বর এর কাছে কামনা করুন যেন তাকে এইভাবে জানতে পারি আর সেই জানার সঙ্গে সঙ্গে এই জ্ঞান যেন এই সাধারন মানুষের মধ্যে আমি দিতে পারি এই কামনা করি আর কামনা করি সবার মঙ্গল হোক জয় রাধে জয় শ্রীকৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @subenhindustani3083
    @subenhindustani3083 Před rokem +10

    সত্য কথা মানুষ কে বোঝানো খুব কঠিন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +2

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আসলে কি জানেন মানুষ অন্তর দিয়ে চিন্তা করে না তাই সে বুঝতেও পারে না জয় রাধে। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

    • @gopalroy922
      @gopalroy922 Před rokem

      মানুষ যে হয়...তার "সত্য কথা..". অর্থাৎ ভগবানের কথা অবশ্যই ভালো লাগবে...!! কিন্তু মানুষের মতো আকৃতি যাদের কিন্তু আসলেই পশু...তাদের ইহা ভালো লাগবে না..কারণ উহাদের পশু ভাব এখনো বর্তমান...মস্তিষ্কও উন্নত নয়...শ্রী ভগবানের বিষয় বোঝার মত...!! তারা আহার, নিদ্রা, মৈথুন, ও ভয় এই সব নিয়েই বাস্ত...সঙ্গে নেশা ও অবৈধ ক্রিয়া কলাপ...!! হরি ওম তৎ সত ।

  • @sanchimun27
    @sanchimun27 Před rokem +1

    আস্তিক কথার অর্থ হলো পসিটিভ থিংকিং।। যা তোমার কাছে আসছে তাকে আসতে দাও আর সেটাই তোমার নিয়তি বলে মেনে নাও,, নিয়তি অর্থাৎ ঈশ্বরের কোনো ভালো অন্য কোনো উদ্যেশ আছে।। কেঁদে কেটে ঈশ্বর কে ডাকলেই আস্তিক হওয়া যায় না।। তুমি সময় কে বদলাতে পারবে না কিন্তু নিজ কর্ম কে সঠিক দিশা বা নিষ্কাম ভাবে করে যেতে পারো কারণ তার উপর তোমার নিয়ন্ত্রণ আছে 🙏🙏

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +1

      জয় রাধে, যথার্থ বলেছেন স্বামীজি বলেছিলেন নিজের উপর বিশ্বাস না আসিলে ঈশ্বরে বিশ্বাস আসে না জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @sanchimun27
      @sanchimun27 Před rokem +1

      @@anilchakraborty7418 রাধে রাধে,, প্রণাম নেবেন 🙏🙏

  • @horidashkumardebnath6104

    খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @kanchanganguly6259
    @kanchanganguly6259 Před rokem +2

    ওম্ শান্তি, আপন কে জানাই আমার আনন্তরিক ভালো বাসা ও প্রনাম

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

  • @avijitray2334
    @avijitray2334 Před rokem +1

    Bhaah..... Beautiful Video 🙏

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      জয় রাধে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের এই উৎসাহের জন্যই আমি ভিডিও বানাতে প্রেরণা পাই জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @rajkumarbhattacharjee5555

    Jai srikrishna.

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @sanskritboi
    @sanskritboi Před rokem +2

    খুব সুন্দর লাগলো, তাই সদস্য হয়ে গেলাম

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে অনেক অনেক স্বাগতম জয় রাধে। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @dinbandhudas9765
    @dinbandhudas9765 Před rokem +1

    Hare Krishna Bhub Bhalo

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @gurudasnath8090
    @gurudasnath8090 Před rokem +4

    ভালো লাগল ।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @danielobrayen6671
    @danielobrayen6671 Před rokem +1

    Very very informative

  • @chandrakantamondal507
    @chandrakantamondal507 Před rokem +1

    HARA KRISHNA

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় রাধে🙏🙏🙏

  • @brojogopalpaul7617
    @brojogopalpaul7617 Před rokem +1

    Hare Krishna..🚩🙏📿
    Ami kasyap gotrs thaka (Paul murti gora pal na amra Rudra paul pubra kal a ghot sthapon pracholito chilo na tokhon narakar nirgun tattva te sakar man bigraha ar jonno amader bongser kauke sthapit kora puja kora hoto akhon jodio Ai rudra paul jati onek lupto peya gacha...) ...Amar baba ma jonmo hote niramishvogi (prasadvoji) (barite Jugal o gopal ar osto kalin seva hoy sadhok o siddhi te gopi anugotte ) ...Suchi grostho...pratosnan..pratokriya o toilet ar por soucho o komor obdhi dhouto....jehetu amra vaishnav ...barite nitya puja...Chaitanya dev ar vog arati hoy abong ami oi nsvadeep ar prasad grshan kori...baba veindavan ar prasad nen nitya...
    Akadoshi..(dadoshi sanjukta) ami goswami mot a dikkhito ...kam bij(18 akshar) ..kam gayetri ..radha gayetri...panchya tatva gayetri jop kori...sondhya ahnik kori....abkng amar braja manjari swarupa manjari nama acha...ami visakha sakhi anugotoo ....(jini krishna sukh a sukhi) ..Janmastomi...Radhaostomi..Nirisigha chaturdashi somosto upabas o barite vaishnav dara nam kirtan hoy ...kno stree ar proti asokti nei...moithun kori na....bhagawan shiv amar paramasthi gurudev guru pranalite.....bari sakkhat pratisthito mahaprabhu ar seva hoy
    Ami ki vaishnav poita nita pari?

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      জয় রাধে আমার প্রণাম নেবেন আপনি যে ক্রিয়া কর্মকাণ্ডগুলো করছেন তা অতি উত্তম যা পরম বৈষ্ণবরা করে থাকে অর্থাৎ আপনি অন্তরে একজন বৈষ্ণবী বটে এবং আপনার পৈতা নেওয়ার যোগ্যতাও আছে তবে সনাতন ধর্মের একটি কথা আছে সংসারী হইওনা সংসারী সেজ সন্ন্যাসী সেজনা সন্ন্যাসী হয়ও অর্থাৎ আপনি অন্তরে সন্ন্যাসী হলেই হবে এর জন্য পৈতার দরকার হয় না তবুও বলবো আপনি যে সংঘের দীক্ষিত সেই গুরুর কাছে আপনি পরামর্শ নিতে পারেন আমাদের স্বামীজিকে লক্ষ্য করবেন ওনার পৈতা ছিল না। কিন্তু সবার কাছে পূজিত হতেন জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @bhubaneswarkalita1735
    @bhubaneswarkalita1735 Před rokem +1

    Rightly illustrated, thank you

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @tulsiadhikary7559
    @tulsiadhikary7559 Před rokem +1

    Khub sundar...

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @biswajitsharma3882
    @biswajitsharma3882 Před rokem

    Good Advice...

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @kandanbouri5581
    @kandanbouri5581 Před rokem +1

    Apnake anek dhannyabad

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @roumitachakraborty7389
    @roumitachakraborty7389 Před rokem +11

    সত্যিই এই ভিডিওটা দেখে বুঝতে পারলাম যে ব্রাহ্মণ হওয়ার কি গুন আর পইতে গ্রহণ করার অর্থ কি.আজ বুঝতে পারলাম পৈতে পরার কি মানে.
    জয় কৃষ্ণ জয় রাধে🙏🙏🙏

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +1

      জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @sanskritboi
      @sanskritboi Před rokem +1

      সত্যি

    • @mitaligoswami5099
      @mitaligoswami5099 Před rokem

      Akta kare paite pare nau sabai brambhan haye jabe R barite puja karar jannya Brambhaner avab habena Joy Nitai

    • @roumitachakraborty7389
      @roumitachakraborty7389 Před rokem +1

      @@mitaligoswami5099 পৈতে পড়লেই কেউ ব্রাহ্মণ হয়ে যায় না ব্রাহ্মণ হতে গেলে ব্রাহ্মণ কুলে জন্ম আর নয়টি গুণ তার মধ্যে থাকতে হয় তবেই সে একজন ব্রাহ্মণ আর আপনার যদি লোক হাসানোর জন্যে পৈতে পড়ে ঘুরতে ইচ্ছা করে তাহলে আপনি ঘুরতে পারেন

  • @shibnandan7005
    @shibnandan7005 Před rokem +1

    Best to try everyday reading part all kinds of school.

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @payeldey3988
    @payeldey3988 Před rokem +1

    Joy ❤️ Govinda Ram Thakur Maa Laxmi Rakesh Majumder Jibon Bharat Tripura Belonia Amjad Nagar namaskar Dada 03--05--2023

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ আমারও প্রণাম নেবেন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণা🙏🙏🙏

  • @sumanbiswas345
    @sumanbiswas345 Před rokem +1

    Radhe radhe

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @dulalchandrarakshit-zf9fk

    Great thank

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @sukhendupatra4999
    @sukhendupatra4999 Před rokem +1

    সত্য রজ তমো গুন নিয়ে একটা video দিন bistaritovabe

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ অবশ্যই আমি চেষ্টা করব জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @samujjwalmajumdar7640
    @samujjwalmajumdar7640 Před rokem +11

    গীতার ১৮ অধ্যায়ের ৪২তম শ্লোকের কথা বলছো কিন্তু উল্লেখ করছো না কেন ?
    উপবীত নয়টি স্বভাবাশ্রিত গুনের দ্যোতক। তাই উপবীতধারী হলেই ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। অধিকাংশ উপবীতধারীরাই স্বভাবতঃ শুদ্র । -- S.M.

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +3

      সবার আগে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার প্রণাম নেবেন আপনি যথার্থই বলেছেন এটা আমার উল্লেখ করা উচিত ছিল বাট একটু ভুল হয়ে গেছে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏🙏🙏

    • @sanskritboi
      @sanskritboi Před rokem

      👍👍👍

    • @YN-ld7rv
      @YN-ld7rv Před rokem

      Nichhu mon r nichu manushikotar porichoy jotharta prokashito, dhonnobaad 😂😂😂😂😂❤❤❤❤

    • @samujjwalmajumdar7640
      @samujjwalmajumdar7640 Před rokem

      @@YN-ld7rv
      Whose 'Nichhu mon r nichu manushikotar porichoy' are you talking about?
      If you are talking about mine be blessed with your mind set.

    • @rahulroychowdhury5280
      @rahulroychowdhury5280 Před rokem

      একদম ঠিক বলেছেন

  • @amzadhossain176
    @amzadhossain176 Před rokem +4

    আমি মুসলমান হিসাবে আপনার VIDEO থেকে পরিস্কার মন্তব্য করতে সাহস পাচ্ছি ০১ জন ব্রাম্মন অর্থই একজন ঈমানদার মুসলমান। আলোচনাটা ভীষণ ভালো লাগলো। ০৯ টি সূতার পবিত্রতার কথা বল্লেন। লগুনে কয়েকটি গিঁট থাকে তার পবিত্রতা বা মাহিত্যে কথা আলোচনা করলেন না কেন । অথবা ব্রাম্মন পবিত্র লগুনে কি ০৯ টি গিটঁ থাকে?

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +1

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গীতা বা কোরআন শুধু ধর্মগ্রন্থ নয় আমরা হিন্দু বা মুসলিমরা প্রকৃতভাবে আমরা গীতা বা কোরআনের মূল্য বুঝিনা তাই আমাদের মধ্যে এত ভেদাভেদ একটু ভেবে দেখুন। ব্যাপারটা কিন্তু সবই একই একই রাস্তা তাকে জানা তাকে চেনা তবুও আমরা লাঠালাঠি করি গীতা বা কোরআন আমাদের মানুষ হতে শেখায় এবং মানুষ থেকে ভগবান হতে শেখায় আমাদের স্বামীজি বলেছেন প্রথমে পশু ছিলাম এখন মানুষ হইয়াছি পরে ভগবান হইতে হইবে। অর্থাৎ ঈশ্বরের মত চিন্তাভাবনা আপনাকে করতে হবে তবেই আপনি তার সন্তানের পরিণত হবেন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @bidyutpanday7296
      @bidyutpanday7296 Před rokem

      ইসলাম ত্যাগ করলে হত্যা কর।

  • @dilipbanerjee3359
    @dilipbanerjee3359 Před rokem +1

    7

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      সবার আগে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সঙ্গে আপনি জানতে চেয়েছিলেন পৈতার গ্রন্থির সাতটি সুতোর গুণাবলী কি কি তা আমি ভিডিওর মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @bidyutpanday7296
    @bidyutpanday7296 Před rokem

    হরি বোল।

  • @bikramchatterjee4504
    @bikramchatterjee4504 Před rokem +46

    এটা কোনো নতুন কথা নয় । যে কেউ ব্রাহ্মণ হাতে পারে । গিটার মধ্যেই পাওয়া যায় । চাতুর্বর্নম ময়া সৃষ্টম গুণ কর্ম বিভাগ স: । অর্থাৎ জন্ম গত ভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না ।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +6

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা গীতার সেই আত্মাতিক কথার জ্ঞান আমরা জানার চেষ্টা করি না। তাই আমার এই ছোট্ট প্রচেষ্টা🙏🙏🙏🙏

    • @roumitachakraborty7389
      @roumitachakraborty7389 Před rokem +2

      সত্যিই এই ভিডিওটা দেখে বুঝতে পারলাম যে ব্রাহ্মণ হওয়ার কি গুন আর পইতে গ্রহণ করার অর্থ কি.আজ বুঝতে পারলাম পৈতে পরার কি মানে.
      জয় কৃষ্ণ জয় রাধে🙏🙏🙏

    • @tanmoyroy4813
      @tanmoyroy4813 Před rokem +1

      sobi manlam...kintu akta kotha ki janen...makal gache makal fol r aam gache aam dhore...ETA kokhonoi Ossikar korte parben na...boro boro kotha sobai bolte pare kintu segulo oto sohoje bastob jibone hoy na

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +2

      পাঁকেই কিন্তু পদ্ম ফোটে কোনদিন জানার চেষ্টা করেছেন যেদিন জানার চেষ্টা করবেন সেদিন আপনার কথার উত্তর নিজেই পেয়ে যাবে। জয় রাধে একটু সৎসঙ্গ করুন কারোর কাছে যেতে হবে না নিজের মনের মধ্যে নিজের উত্তর পেয়ে যাবেন। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @tivo3720
      @tivo3720 Před rokem +1

      ​@@tanmoyroy4813umi ki nijeke Krishna er upore mone kato ?!!!
      Krishna jakhn bolechen kaj er dara thik hbe .... Tahole kaj er dara hbe ... Janmo er dara noy

  • @lifeisdivine1584
    @lifeisdivine1584 Před rokem

    যে কেউ ব্রাহ্মণ হতে পারে , এই আইন পাস করতে হবে এবারে

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি বললেন ব্রাহ্মণ হতে গেলে আইন পাস করতে হবে আপনাকে আইন পাস করতে হবে না উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমাদের স্বামীজি তিনি মহান কার্যের দ্বারা মানুষ ওনাকে ব্রাহ্মণ বলেই জানতো কারণ উনি ব্রম্ভজ্ঞান লাভ করেছেন অর্থাৎ কোন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন নেই নিজের কর্মের মাধ্যমে সেটি আপনিও করতে পারেন এখন বর্তমানে বেশিরভাগ কীর্তনিয়ায় কিন্তু ব্রাহ্মণ নন কিন্তু তারা আসরে উঠলে তারা প্রণাম পান জয় রাধে। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @kousicksamanta9163
      @kousicksamanta9163 Před rokem

      তবে তার আগে sc st র সুবিধা গুলো তুলতে হবে

  • @sanjitkarmakar4148
    @sanjitkarmakar4148 Před rokem +3

    Vvvv nice

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় রাধ🙏🙏🙏

  • @villagegirlmoubani5953
    @villagegirlmoubani5953 Před rokem +1

    Valo kichu jante parlm

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অনেক অনেক ধন্যবাদ দেখতে থাকুন আমি পরবর্তীকালে এরকম আরো কিছু তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করব। জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏

  • @praloychatterjee8637
    @praloychatterjee8637 Před 7 měsíci

    অনেক দিন হল কিছু তথ্য উপস্থাপন করুন অপেক্ষা করে আছি

  • @user-tb2vp6lw6k
    @user-tb2vp6lw6k Před rokem +2

    একটু সংশোধন করার ধৃষ্টতা করছি। প্রথমটি শম, অর্থাৎ অন্তঃ ইন্দ্রিয় সংযম। সবাইকে সমান চোখে দেখা অবশ্যই তার অন্তর্গত।🙏🙏🙏

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +1

      সবার আগে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আর ধৃষ্টতা বলে আমাকে লজ্জা দেবেন না কারণ মানুষ মাত্রই ভুল হয় জয় রাধে, জয় রাধে

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

  • @kamalkrishnamandal7809
    @kamalkrishnamandal7809 Před rokem +5

    ভাই, দেবীভাগবতম গ্রন্থটি একবার ভালো করে পড়ার জন্য বলছি ।তবে অনেক কিছু জানতে পারবে।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +1

      ধন্যবাদ আমি চেষ্টা করব আপনি বলেছেন আমি নিশ্চয়ই দেখব জয় রাধে। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @lifeisdivine1584
    @lifeisdivine1584 Před rokem +1

    কজন ব্রাহ্মণ এই কথা মানে? রাতে খায় মদ আর পুজো পাঠ করে সংসার চালায় বেশির ভাগ পুরোহিত রাই

    • @budhhadebroy8708
      @budhhadebroy8708 Před rokem

      হিসেবটা যদি আপনার থেকেথাকে দয়া করে জানাবেন খুশি হবো।চাতুর্বর্নে,ব্রাহ্মণ শ্রেষ্ট আর এই শ্রেষ্টত্বের শিরোপা,ব্রাহ্মণ নিজগুনে কর্মে লাভ করেছেন,করো দোয়ায় নয়, দ্বাপর এ ভগবান বিষ্ণু ব্রাহ্মণ কে,ব্রাহ্মণ দেবতা বলেছেন,দেবরাজ ইন্দ্র পুজো পাঠের জন্য ব্রাহ্মণ রেখেছিলেন,আর ত্রেতায় রাম অবতারে যোগ্য ব্রাহ্মণ ছাড়া অকাল বোধন সফল হতনা।এখন কিছু ব্রাহ্মণ চণ্ডাল এর মত ব্যাবহার করছেন বলে আমরা রাতা রতি সবাই ব্রাহ্মণ হওয়ার স্বপ্ন না দেখাই ভালো।

  • @bisweswarhalder2219
    @bisweswarhalder2219 Před rokem +1

    Sorry to say j aj ek Jon k khuje paua equal to god k paua.💐

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      যথার্থই বলেছেন কিন্তু এখনো এরকম মানুষ আছে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @sujonsharma5662
    @sujonsharma5662 Před rokem +1

    🙏🙏🙏🙏🙏

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অনেক অনেক ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @tulsidasmukherjee3186
      @tulsidasmukherjee3186 Před rokem +1

      কথাটি অর্যম নয় শুদ্ধ রূপ হবে আর্যব।অর্থ। হল সরলতা ।ধন্যবাদ।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @manjusaha1289
      @manjusaha1289 Před rokem

      ​¹kx❤j😮

  • @kanchankarmakar7815
    @kanchankarmakar7815 Před rokem +1

    😊😊

  • @gourangachakraborty623

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

  • @niladrimalakar7000
    @niladrimalakar7000 Před rokem

    বা্মণ কাকে বলে

  • @sujanbiswas8039
    @sujanbiswas8039 Před rokem

    Phychological problem

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      You have to go ranchi
      জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণা 🙏

  • @abhishekchakraborty4919
    @abhishekchakraborty4919 Před rokem +1

    Sig ificant discussion

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

  • @chanelc.b6781
    @chanelc.b6781 Před rokem +1

    যে কথাগুলো বলছেন। এটা কি আপনার মনের ধর্মগ্রন্থের কথা। পুরান সম্বন্ধে আপনার কি কোন ধারনা আছে। ভগবত গীতার মাহাত্ম্য কি জানেন। জানলে এর সঠিক উত্তরটা একটু দিবেন।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      সবার আগে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আমাকে বললেন এটা কি আমার মনের ধর্ম গ্রন্থের কথা আপনি যথার্থ বলেছেন আসলে কি জানেন মানুষ বর্তমানে এখন অহংকার স্থিত একটা কথা আছে অল্প শিক্ষা অতি ভয়ংকরী তো আমি একজন ব্রাহ্মণের সন্তান আমার অনুচিত বক্তব্য রাখা উচিত নয়। তাই আপনাকে বলি আমি যে ব্যাখ্যাটা করেছি গীতার ১৮ অধ্যায় ৪২ তম শ্লোক পারলে একটু দেখে নিন ঘরে যদি গীতা থাকে আপনি বললেন তো গীতার মাহাত্ম্য কি সেজন্য আশা করি নিশ্চয়ই আপনার কাছে গীতা আছে দয়া করে একটু দেখে নেবেন। যদিও আমার চ্যানেলে বেদ ও পুরান নিয়ে একটি ভিডিও আছে সেটি পারলে একটু দেখে নেবেন আমি সেখানে বেদ ও পুরান নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করি আপনার সংশয় অনেকটাই দূর হবে জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @debprasadhalder6268
    @debprasadhalder6268 Před rokem

    যারা হালদার তারা কি ব্রাহ্মন

  • @Uranta_Pakhi
    @Uranta_Pakhi Před rokem

    এতো মিউজিক চালালেন কেনো? নিজে শুনে দেখেছেন?

  • @dipakchakraborty6327
    @dipakchakraborty6327 Před rokem +2

    এইটা তোমার ভুল ধারণা তুমি বাবু আসলে বেখ্যা করেছ ঠিক তুমি জতটুকু জান ,কিন্ত ৯,গুনের মধ্য ৯,দেবতা থাকে তাকি জান জদি জান তাহলে ১ বার বল, আজে,বজে বেখ্য,করে কোনো লাভ নেই কারণ তোমার ভুল বেখ্য এটা

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +1

      সবার আগে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আমি একজন ব্রাহ্মণ হওয়ার কারণে আমাকে অনুচিত বক্তব্য করা উচিত নয়। তাই আমি যে বক্তব্যটা রেখেছি গীতার 18 অধ্যায় ৪২ তম শ্লোক আপনি একটু দেখে নিতে পারেন আর আপনি যে নয়টি সূত্র নয়টি দেবতার কথা বললেন তা প্রকৃতপক্ষে গীতার 18 অধ্যায় ৪৩ তম শ্লোকে বর্ণিত আছে তা কি কি দেবতা আমি চেষ্টা করছি আমি জানি না আমি কতটা সঠিক তাও আমি চেষ্টা করছি ১ম সূত্র ব্রাহ্মণের গুণ বেদ জ্ঞান ও ব্রহ্ম জ্ঞান ২য় সূত্র অগ্নি দেবতা যা ব্রাহ্মণের গুণ তেজ ৩য় সূত্র নাগ দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ ধৈর্য ৪র্থ দেবতা চন্দ্র ব্রাহ্মণের গুণ সর্বপ্রিয়তা ৫ম পিতৃগণ দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ স্নেহশীলতা ৬ষ্ঠ সূত্র প্রজাপতি দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ প্রজাপালন ৭ম সূত্র মনু দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ স্বধর্মে স্থিতি ৮ম সূত্র যজ্ঞ দেবতা ব্রাহ্মণের গুন ন্যায় পরায়ণতা ৯ম সূত্র শিব দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ বিষয়ে অনাশক্তি

  • @prikainikhorangvoiceofprik4010

    আরযবম বলে মনে হয়।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @jayantabanerjee4370
    @jayantabanerjee4370 Před rokem

    Khub akta bhalo laglo na .paita r nota debota ache ai nota tarer. Janen ki ?Jadi pai ter som mondhye orthat jog go ubobeto r som mondhye jante chan ta hole aie nom
    .Jane nin .

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @sirsendupatra8155
    @sirsendupatra8155 Před rokem

    মিউজিক এর গুঁতোয় পৈতার সুতো ছিঁড়ে যাওয়ার জোগাড়, কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      পৈতার সুতো ছিঁড়ে যাচ্ছে কিনা জানিনা কিন্তু আপনার কানের পর্দাটা যে ছিঁড়ে গেছে তা বুঝতে পারছি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

    • @Maynak-dq4nb
      @Maynak-dq4nb Před rokem

      ​@@anilchakraborty7418 thik bolechen

  • @subratabhattacharyya2559

    BAL

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +1

      মহাশয় আপনাকে দেখে যা মনে হচ্ছে আপনারটা পেকে গেছে তো এখনো কি সদ বুদ্ধি হয়নি ঈশ্বর আপনার প্রতি কৃপা করুক এক পা শ্মশানে চলে গেছে। আর একটা বাকি, জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @sanjoymondal5184
    @sanjoymondal5184 Před rokem +1

    বংশ পরম্পরায় যারা ব্রাহ্মণ হচ্ছে তাদের কি জ্ঞান আছে এটা কবে বন্ধ হবে।

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem +1

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem +1

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অবশ্যই আপনারা এই কোশ্চেনটা করতে পারেন কিন্তু একটু খানি মনে রাখবেন একটা ব্রাহ্মণ যখন পুজো করে তার এই আধ্যাত্মিক জ্ঞানটি যদি না থাকে সে পুজো করতে পারে না পরিবারে বংশ পরস্পর তারা কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রাদী দ্বারা এবং নিয়ম নিষ্ঠা দ্বারা তারা কিন্তু পূজা করে আসছে তো তারা একেবারে কিছু জানে না এই প্রশ্নটা করা অনুচিত তা নাহলে যে কোন অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণদের এত গুরুত্ব থাকতো না অনেকে এটাকে ভুল জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন বা ভুল চিন্তা ভাবনা করছে আমার এই ভিডিওটা করার আসল উদ্দেশ্য হল এখন এই বর্তমানে চুরি ঠকবাজ মিথ্যা কথা বলা কুকর্ম করা এটি যেন আসল পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে একটা মানুষের আমার এই ভিডিওটা নয়টি গুণের কথা এ কারণেই বলা যাতে মানুষের গুণের দ্বারা একটু প্রভাবিত হয়ে এই কর্ম থেকে সে দূরে থাকতে পারে এবং প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে সেই চিন্তাভাবনা নেই কিন্তু আমি ভিডিও করেছিলাম ব্রাম্ভনই হতে হবে এরকম কিন্তু কোন ব্যাপার নয় আপনি চিন্তা করুন এই নটি গুন যদি কোন মানুষের মধ্যে থাকে সে কি কোন খারাপ কাজের দিকে অগ্রসর হতে পারে, একটু চিন্তা করবেন। জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @gobindadutta8825
    @gobindadutta8825 Před rokem

    আচ্ছা সূত্রধর এরা পৈতে পরে কেন?

  • @debabrotamukherjee595

    Ki mantra bole suta gulo git bade.

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

  • @supriyasaha8594
    @supriyasaha8594 Před rokem +1

    Dada girl ra poita poridhan korte prena

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      স্বামীজীর ও পৈতা ছিল না কিন্তু তিনি ব্রাহ্মণে পরিণত হয়েছিলেন ব্রহ্ম জ্ঞানটাই আসল এই গুণগুলি আপনার ভেতরে থাকা উচিত। তাহলেই হবে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏

    • @castetraitor
      @castetraitor Před rokem

      apnar caste ki sunri(sc) na teli(obc)?

  • @narendranathhazra1978
    @narendranathhazra1978 Před rokem +3

    এসব কথা শুনতে খুব ভালো লাগে... কিন্তু আপনার ব্রাহ্মণ বাড়ির একটি মাত্র মেয়েকে আপনি একজন সৎ শুদ্রের সাথে বিয়ে দিতে পারবেন?? পারবেন না তখন আপনারা প্রতিলোম বিবাহ মেনে নিতে পারেন না... কোথায় যাই তখন আপনাদের এই "সম"... আবার চাকরি না পাওয়া ব্রাহ্মনেরা বলবে সব SC, ST রা JOB নিয়ে নিলো, কাস্ট ভেদ তুলে দাও... আমরা সবাই সমান... আসলে ব্রাহ্মনেরা সারাজীবন নিজের স্বার্থের জন্য নিয়ম নিয়ন্ত্রন করে গিয়েছে... যারা যেসব ব্রাহ্মনেরা আপনার কথাই সম্বতি জানাচ্ছে তারা নিজের বুকে হাত রেখে বলুন আপনার বাড়ির মেয়েকে একজন শুদ্রের ছেলের সাথে বিয়ে দেবেন.?.. যান দাদা যান 🙏🏻

  • @masterkripa.5656
    @masterkripa.5656 Před rokem +1

    কে বেশী বড়: শূদ্র না ব্রাহ্মণ? আমি শূদ্র। তুমি?

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      সবার আগে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রশ্নটা আপনার অতি সুন্দর গীতায় শ্রী ভগবান বলছেন চর্তুবর্ণম ময়া সৃস্টম গুণঃ কর্ম বিভাগ সহঃ অর্থাৎ মানুষের কর্মই ঠিক করে কে মহান কে বড় জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @sadhanmehena7649
    @sadhanmehena7649 Před rokem +1

    ফটক আলোচনা যজ্ঞের পৈতা গ্রহণ করার পর। ব্রাহ্মণ বলে থাকি কইতে হবার আগে মা

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      আপনার প্রশ্নটা ঠিক বুঝতে পারলাম না ক্ষমা করবেন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @PratikMajhi-id3cf
    @PratikMajhi-id3cf Před rokem +2

    Mane Sudra ar brahman kotha duto adjective....kono caste naa..

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ মানেটা আগে ভালো করে বুঝুন তারপরে বলুন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @manindranathchakraborty2979

    Samo Na shamo ,antar indrio damoner khamota

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      অসংখ্য ধন্যবাদ জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

  • @pradipmukherjee6105
    @pradipmukherjee6105 Před rokem

    Brahman kotha ke babay?Amra to vikiri

  • @basudevkhan5362
    @basudevkhan5362 Před rokem +1

    Very slow speech!

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @debiprashad5553
    @debiprashad5553 Před rokem +1

    আমি নাস্তিক কিন্তুু ব্রাহ্মনের সন্তান।।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +3

      আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন সেটা আপনার ব্যাপার কিন্তু মনে রাখবেন আপনার কোন আগের জন্মে সুকৃতির জন্যই আপনি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নিয়েছেন তো অনেক কষ্টের এই ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নেওয়া সেই সঙ্গে মানুষের জন্ম এইভাবে এই জন্মটাকে বৃথা যেতে দেবেন না ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏

    • @debiprashad5553
      @debiprashad5553 Před rokem

      তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে হিন্দুত্ববাদী। মানে হিন্দু জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসী, বিশেষ করে যারা হিন্দু বিদ্বেষী তাদের কে আমি ভারত থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চাই।।

    • @kakolikarmakar8029
      @kakolikarmakar8029 Před rokem

      @@anilchakraborty7418 khub dami kotha bolechen 🙏

    • @kakolikarmakar8029
      @kakolikarmakar8029 Před rokem +1

      @@debiprashad5553 amio hinduttya badi.

    • @bidyutpanday7296
      @bidyutpanday7296 Před rokem

      আমি ও তাই চাই।

  • @durgaqpadaacharjya8663
    @durgaqpadaacharjya8663 Před rokem +1

    গীতা, গীটা নয়।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

  • @raghupatichakraborty4177

    সংসারিক নিজ স্বার্থে এই উপদেশ গ্রহণ করা কোন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয় জে সন্যাসী ধর্ম গ্রহন করেছেন তারাই পারলেও পর তে পারে

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      যথার্থই বলেছেন কিন্তু আমরা আংশিক চেষ্টাটুকু করতে পারি যদি তার কৃপা হয় জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

  • @বাংলাকিচাই

    জ্ঞান এর ওপর জ্ঞান = অজ্ঞান

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +1

      হ্যাঁ মহাশয় একদম ঠিক বলেছেন যেটা ঠিক এখন আপনার অবস্থা হয়েছে জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏

    • @বাংলাকিচাই
      @বাংলাকিচাই Před rokem

      এত যখন জ্ঞান আপনার রাত্রি তে গুম হয় তো ঠিক করে 😄😄😄

    • @বাংলাকিচাই
      @বাংলাকিচাই Před rokem

      CZcams a asea boro boro lakchar dile hobe view paor r taka income korar jonno. Nijer moddhe ache ai gan to ব্রাহ্মণ hoyea dakhan dakhi koto khomota.

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +1

      প্রথমে বলি গুম না ঘুম তা রাতে আমার ঘুম ভালই হয়, এক কথায় বলা যায়। এক ঘুমে রাত কাবার তো আপনার মত অন্তত অজ্ঞান হয়ে যাই না আর জ্ঞানের কথা বলছেন আমার জ্ঞান আছে কিনা আমি বলতে পারব না সেটা দর্শকই বলবেন আর আপনি কি নিজেকে খুব জ্ঞানী ভাবছেন তা ভালো আমার জ্ঞান আছে কিনা আপনাকে দেখাতে যাব না সেটা অন্তরের ব্যাপার যা আপনাদের মত নাস্তিকদের চোখে পড়ার মতো নয় আর আপনি কে মশাই আপনাকে দেখাতে যাব নিজের এখতিয়ারে থাকুন পারলে মানুষকে ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করুন সারাটা জীবন পি এন পি সি করে কাটিয়ে দিচ্ছেন এইগুলো বন্ধ করুন

    • @বাংলাকিচাই
      @বাংলাকিচাই Před rokem

      আর এ মশাই ধর্ম কোথা চ্যানেল খুলে নিলে কেন ধার্মিক হয়ে যায় না okk, নিজের জ্ঞান নিজের কাছে রাখুন মশাই লোক দের কেন জ্ঞান দিতে আসবেন না। আর মশাই আমি নাস্তিক এটা কি করে জানলেন আপনি কি জোতিষী নাকি?? বা বা সব কিছুই করেন দেখছি।আপনার মনের মতো কোথা যায় না বলবে তাহলে কি সেই আপনার কাছে নাস্তিক নাকি 😄😄😄। আপনাকে ধর্মের কোথা বলতে কেন বলেছে যে এত জ্ঞান দিচ্ছেন। চ্যানেল টা কি বন্ধ করবো দেখবেন স্ট্রাইক মেরে।

  • @sujoydas4063
    @sujoydas4063 Před rokem

    মানুষকে বোকা আর বানাতে পারবে না

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      হায়রে মানুষ ভগবানের বাণীকেও আজ শুনতে হচ্ছে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে মহাশয় জানিনা আপনার কাছে গীতা আছে কিনা যদি থাকত এই ধরনের কথা বলতে পারতেন না যদি কারোর কাছে থাকে ১৮ অধ্যায় ৪২ তম শ্লোক দেখে নিতে পারেন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @bijaymojumder8245
    @bijaymojumder8245 Před rokem +3

    ব্রাহ্মণ কি?,, জিনি মিথ্যাবাদী তিনি ব্রাহ্মণ?

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem

      যথার্থই বলেছেন কিন্তু সংখ্যায় হয়তো সেটা বেশি কিন্তু এখনো ভালো কিছু আছে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏

  • @subratabhattacharyya2559

    BHUL BHAL

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

    • @pravashchandradhar2067
      @pravashchandradhar2067 Před rokem

      প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
      উত্তরঃ
      কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
      ১) সমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
      ২) দমঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
      ৩) তপঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
      ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
      ৫) ক্ষান্তীঃ
      একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
      ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
      ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
      ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
      ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
      ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
      এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
      প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
      সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
      "শুরু হোক পরিবর্তন।
      জাগ্রত হোক সনাতন"।।

  • @gopalchandrabiswasassistan7769

    এই ৯গুণ কারো নেই। সুতরাং কোন
    ব্রাহ্মণ ছিল না এবং নাই।

    • @anilchakraborty7418
      @anilchakraborty7418  Před rokem +1

      ভালো বলেছেন এ নয় গুণ কারো ছিল না। আমার মনে হয় না আপনি কোনদিন মহাপুরুষের চরিত্র পড়েছেন স্বামীজি ঠাকুর রামকৃষ্ণ বলতে চান এদের ৯ গুন ছিল না ও আসলে তো আপনি মনে হয় এসব কোনদিন দেখেনিনি বা শোনেননি না ওটা আপনার ভুল নয়, আপনার ঘরে মনে হয় পূজা পাঠ হয় না। কারণ ব্রাহ্মণ তো ছিলই না এখনও নেই