প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
@@anilchakraborty7418 এমনই করে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেবার জন্য ধন্যবাদ নামক শব্দটি দিয়ে আপনাকে ছোট করতে চাই না। এই ধরনের ভিডিও দিয়ে কৃপা বর্ষন করায় আমরা প্রকৃত অর্থে হিন্দুত্বকে জানবার সঠিক সুযোগ পেলাম। তবে ধৃষ্টতা না রেখে একটি কথা কেবল বলি, ব্যাখ্যাগুলি একটু অন্তরগ্ৰাহী হলে খুব ভালো হয়।
Ami sabsomoy. Manechola chestakori. But kui annoy korle. Khamar joyagho nai. He / she will be getting the punishment. Gobinda kripya. Hare Krishna hare Krishna. Joy MAA Tara. Kali devi b
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ এইভাবে পরম পিতা পরমেশ্বর এর কাছে কামনা করুন যেন তাকে এইভাবে জানতে পারি আর সেই জানার সঙ্গে সঙ্গে এই জ্ঞান যেন এই সাধারন মানুষের মধ্যে আমি দিতে পারি এই কামনা করি আর কামনা করি সবার মঙ্গল হোক জয় রাধে জয় শ্রীকৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
মানুষ যে হয়...তার "সত্য কথা..". অর্থাৎ ভগবানের কথা অবশ্যই ভালো লাগবে...!! কিন্তু মানুষের মতো আকৃতি যাদের কিন্তু আসলেই পশু...তাদের ইহা ভালো লাগবে না..কারণ উহাদের পশু ভাব এখনো বর্তমান...মস্তিষ্কও উন্নত নয়...শ্রী ভগবানের বিষয় বোঝার মত...!! তারা আহার, নিদ্রা, মৈথুন, ও ভয় এই সব নিয়েই বাস্ত...সঙ্গে নেশা ও অবৈধ ক্রিয়া কলাপ...!! হরি ওম তৎ সত ।
আস্তিক কথার অর্থ হলো পসিটিভ থিংকিং।। যা তোমার কাছে আসছে তাকে আসতে দাও আর সেটাই তোমার নিয়তি বলে মেনে নাও,, নিয়তি অর্থাৎ ঈশ্বরের কোনো ভালো অন্য কোনো উদ্যেশ আছে।। কেঁদে কেটে ঈশ্বর কে ডাকলেই আস্তিক হওয়া যায় না।। তুমি সময় কে বদলাতে পারবে না কিন্তু নিজ কর্ম কে সঠিক দিশা বা নিষ্কাম ভাবে করে যেতে পারো কারণ তার উপর তোমার নিয়ন্ত্রণ আছে 🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
Hare Krishna..🚩🙏📿 Ami kasyap gotrs thaka (Paul murti gora pal na amra Rudra paul pubra kal a ghot sthapon pracholito chilo na tokhon narakar nirgun tattva te sakar man bigraha ar jonno amader bongser kauke sthapit kora puja kora hoto akhon jodio Ai rudra paul jati onek lupto peya gacha...) ...Amar baba ma jonmo hote niramishvogi (prasadvoji) (barite Jugal o gopal ar osto kalin seva hoy sadhok o siddhi te gopi anugotte ) ...Suchi grostho...pratosnan..pratokriya o toilet ar por soucho o komor obdhi dhouto....jehetu amra vaishnav ...barite nitya puja...Chaitanya dev ar vog arati hoy abong ami oi nsvadeep ar prasad grshan kori...baba veindavan ar prasad nen nitya... Akadoshi..(dadoshi sanjukta) ami goswami mot a dikkhito ...kam bij(18 akshar) ..kam gayetri ..radha gayetri...panchya tatva gayetri jop kori...sondhya ahnik kori....abkng amar braja manjari swarupa manjari nama acha...ami visakha sakhi anugotoo ....(jini krishna sukh a sukhi) ..Janmastomi...Radhaostomi..Nirisigha chaturdashi somosto upabas o barite vaishnav dara nam kirtan hoy ...kno stree ar proti asokti nei...moithun kori na....bhagawan shiv amar paramasthi gurudev guru pranalite.....bari sakkhat pratisthito mahaprabhu ar seva hoy Ami ki vaishnav poita nita pari?
জয় রাধে আমার প্রণাম নেবেন আপনি যে ক্রিয়া কর্মকাণ্ডগুলো করছেন তা অতি উত্তম যা পরম বৈষ্ণবরা করে থাকে অর্থাৎ আপনি অন্তরে একজন বৈষ্ণবী বটে এবং আপনার পৈতা নেওয়ার যোগ্যতাও আছে তবে সনাতন ধর্মের একটি কথা আছে সংসারী হইওনা সংসারী সেজ সন্ন্যাসী সেজনা সন্ন্যাসী হয়ও অর্থাৎ আপনি অন্তরে সন্ন্যাসী হলেই হবে এর জন্য পৈতার দরকার হয় না তবুও বলবো আপনি যে সংঘের দীক্ষিত সেই গুরুর কাছে আপনি পরামর্শ নিতে পারেন আমাদের স্বামীজিকে লক্ষ্য করবেন ওনার পৈতা ছিল না। কিন্তু সবার কাছে পূজিত হতেন জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
@@mitaligoswami5099 পৈতে পড়লেই কেউ ব্রাহ্মণ হয়ে যায় না ব্রাহ্মণ হতে গেলে ব্রাহ্মণ কুলে জন্ম আর নয়টি গুণ তার মধ্যে থাকতে হয় তবেই সে একজন ব্রাহ্মণ আর আপনার যদি লোক হাসানোর জন্যে পৈতে পড়ে ঘুরতে ইচ্ছা করে তাহলে আপনি ঘুরতে পারেন
গীতার ১৮ অধ্যায়ের ৪২তম শ্লোকের কথা বলছো কিন্তু উল্লেখ করছো না কেন ? উপবীত নয়টি স্বভাবাশ্রিত গুনের দ্যোতক। তাই উপবীতধারী হলেই ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। অধিকাংশ উপবীতধারীরাই স্বভাবতঃ শুদ্র । -- S.M.
সবার আগে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার প্রণাম নেবেন আপনি যথার্থই বলেছেন এটা আমার উল্লেখ করা উচিত ছিল বাট একটু ভুল হয়ে গেছে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏🙏🙏
আমি মুসলমান হিসাবে আপনার VIDEO থেকে পরিস্কার মন্তব্য করতে সাহস পাচ্ছি ০১ জন ব্রাম্মন অর্থই একজন ঈমানদার মুসলমান। আলোচনাটা ভীষণ ভালো লাগলো। ০৯ টি সূতার পবিত্রতার কথা বল্লেন। লগুনে কয়েকটি গিঁট থাকে তার পবিত্রতা বা মাহিত্যে কথা আলোচনা করলেন না কেন । অথবা ব্রাম্মন পবিত্র লগুনে কি ০৯ টি গিটঁ থাকে?
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গীতা বা কোরআন শুধু ধর্মগ্রন্থ নয় আমরা হিন্দু বা মুসলিমরা প্রকৃতভাবে আমরা গীতা বা কোরআনের মূল্য বুঝিনা তাই আমাদের মধ্যে এত ভেদাভেদ একটু ভেবে দেখুন। ব্যাপারটা কিন্তু সবই একই একই রাস্তা তাকে জানা তাকে চেনা তবুও আমরা লাঠালাঠি করি গীতা বা কোরআন আমাদের মানুষ হতে শেখায় এবং মানুষ থেকে ভগবান হতে শেখায় আমাদের স্বামীজি বলেছেন প্রথমে পশু ছিলাম এখন মানুষ হইয়াছি পরে ভগবান হইতে হইবে। অর্থাৎ ঈশ্বরের মত চিন্তাভাবনা আপনাকে করতে হবে তবেই আপনি তার সন্তানের পরিণত হবেন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
সবার আগে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সঙ্গে আপনি জানতে চেয়েছিলেন পৈতার গ্রন্থির সাতটি সুতোর গুণাবলী কি কি তা আমি ভিডিওর মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
এটা কোনো নতুন কথা নয় । যে কেউ ব্রাহ্মণ হাতে পারে । গিটার মধ্যেই পাওয়া যায় । চাতুর্বর্নম ময়া সৃষ্টম গুণ কর্ম বিভাগ স: । অর্থাৎ জন্ম গত ভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না ।
পাঁকেই কিন্তু পদ্ম ফোটে কোনদিন জানার চেষ্টা করেছেন যেদিন জানার চেষ্টা করবেন সেদিন আপনার কথার উত্তর নিজেই পেয়ে যাবে। জয় রাধে একটু সৎসঙ্গ করুন কারোর কাছে যেতে হবে না নিজের মনের মধ্যে নিজের উত্তর পেয়ে যাবেন। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
@@tanmoyroy4813umi ki nijeke Krishna er upore mone kato ?!!! Krishna jakhn bolechen kaj er dara thik hbe .... Tahole kaj er dara hbe ... Janmo er dara noy
আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি বললেন ব্রাহ্মণ হতে গেলে আইন পাস করতে হবে আপনাকে আইন পাস করতে হবে না উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমাদের স্বামীজি তিনি মহান কার্যের দ্বারা মানুষ ওনাকে ব্রাহ্মণ বলেই জানতো কারণ উনি ব্রম্ভজ্ঞান লাভ করেছেন অর্থাৎ কোন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন নেই নিজের কর্মের মাধ্যমে সেটি আপনিও করতে পারেন এখন বর্তমানে বেশিরভাগ কীর্তনিয়ায় কিন্তু ব্রাহ্মণ নন কিন্তু তারা আসরে উঠলে তারা প্রণাম পান জয় রাধে। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
হিসেবটা যদি আপনার থেকেথাকে দয়া করে জানাবেন খুশি হবো।চাতুর্বর্নে,ব্রাহ্মণ শ্রেষ্ট আর এই শ্রেষ্টত্বের শিরোপা,ব্রাহ্মণ নিজগুনে কর্মে লাভ করেছেন,করো দোয়ায় নয়, দ্বাপর এ ভগবান বিষ্ণু ব্রাহ্মণ কে,ব্রাহ্মণ দেবতা বলেছেন,দেবরাজ ইন্দ্র পুজো পাঠের জন্য ব্রাহ্মণ রেখেছিলেন,আর ত্রেতায় রাম অবতারে যোগ্য ব্রাহ্মণ ছাড়া অকাল বোধন সফল হতনা।এখন কিছু ব্রাহ্মণ চণ্ডাল এর মত ব্যাবহার করছেন বলে আমরা রাতা রতি সবাই ব্রাহ্মণ হওয়ার স্বপ্ন না দেখাই ভালো।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
যে কথাগুলো বলছেন। এটা কি আপনার মনের ধর্মগ্রন্থের কথা। পুরান সম্বন্ধে আপনার কি কোন ধারনা আছে। ভগবত গীতার মাহাত্ম্য কি জানেন। জানলে এর সঠিক উত্তরটা একটু দিবেন।
সবার আগে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আমাকে বললেন এটা কি আমার মনের ধর্ম গ্রন্থের কথা আপনি যথার্থ বলেছেন আসলে কি জানেন মানুষ বর্তমানে এখন অহংকার স্থিত একটা কথা আছে অল্প শিক্ষা অতি ভয়ংকরী তো আমি একজন ব্রাহ্মণের সন্তান আমার অনুচিত বক্তব্য রাখা উচিত নয়। তাই আপনাকে বলি আমি যে ব্যাখ্যাটা করেছি গীতার ১৮ অধ্যায় ৪২ তম শ্লোক পারলে একটু দেখে নিন ঘরে যদি গীতা থাকে আপনি বললেন তো গীতার মাহাত্ম্য কি সেজন্য আশা করি নিশ্চয়ই আপনার কাছে গীতা আছে দয়া করে একটু দেখে নেবেন। যদিও আমার চ্যানেলে বেদ ও পুরান নিয়ে একটি ভিডিও আছে সেটি পারলে একটু দেখে নেবেন আমি সেখানে বেদ ও পুরান নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করি আপনার সংশয় অনেকটাই দূর হবে জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
এইটা তোমার ভুল ধারণা তুমি বাবু আসলে বেখ্যা করেছ ঠিক তুমি জতটুকু জান ,কিন্ত ৯,গুনের মধ্য ৯,দেবতা থাকে তাকি জান জদি জান তাহলে ১ বার বল, আজে,বজে বেখ্য,করে কোনো লাভ নেই কারণ তোমার ভুল বেখ্য এটা
সবার আগে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আমি একজন ব্রাহ্মণ হওয়ার কারণে আমাকে অনুচিত বক্তব্য করা উচিত নয়। তাই আমি যে বক্তব্যটা রেখেছি গীতার 18 অধ্যায় ৪২ তম শ্লোক আপনি একটু দেখে নিতে পারেন আর আপনি যে নয়টি সূত্র নয়টি দেবতার কথা বললেন তা প্রকৃতপক্ষে গীতার 18 অধ্যায় ৪৩ তম শ্লোকে বর্ণিত আছে তা কি কি দেবতা আমি চেষ্টা করছি আমি জানি না আমি কতটা সঠিক তাও আমি চেষ্টা করছি ১ম সূত্র ব্রাহ্মণের গুণ বেদ জ্ঞান ও ব্রহ্ম জ্ঞান ২য় সূত্র অগ্নি দেবতা যা ব্রাহ্মণের গুণ তেজ ৩য় সূত্র নাগ দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ ধৈর্য ৪র্থ দেবতা চন্দ্র ব্রাহ্মণের গুণ সর্বপ্রিয়তা ৫ম পিতৃগণ দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ স্নেহশীলতা ৬ষ্ঠ সূত্র প্রজাপতি দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ প্রজাপালন ৭ম সূত্র মনু দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ স্বধর্মে স্থিতি ৮ম সূত্র যজ্ঞ দেবতা ব্রাহ্মণের গুন ন্যায় পরায়ণতা ৯ম সূত্র শিব দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ বিষয়ে অনাশক্তি
Khub akta bhalo laglo na .paita r nota debota ache ai nota tarer. Janen ki ?Jadi pai ter som mondhye orthat jog go ubobeto r som mondhye jante chan ta hole aie nom .Jane nin .
মহাশয় আপনাকে দেখে যা মনে হচ্ছে আপনারটা পেকে গেছে তো এখনো কি সদ বুদ্ধি হয়নি ঈশ্বর আপনার প্রতি কৃপা করুক এক পা শ্মশানে চলে গেছে। আর একটা বাকি, জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
অবশ্যই আপনারা এই কোশ্চেনটা করতে পারেন কিন্তু একটু খানি মনে রাখবেন একটা ব্রাহ্মণ যখন পুজো করে তার এই আধ্যাত্মিক জ্ঞানটি যদি না থাকে সে পুজো করতে পারে না পরিবারে বংশ পরস্পর তারা কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রাদী দ্বারা এবং নিয়ম নিষ্ঠা দ্বারা তারা কিন্তু পূজা করে আসছে তো তারা একেবারে কিছু জানে না এই প্রশ্নটা করা অনুচিত তা নাহলে যে কোন অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণদের এত গুরুত্ব থাকতো না অনেকে এটাকে ভুল জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন বা ভুল চিন্তা ভাবনা করছে আমার এই ভিডিওটা করার আসল উদ্দেশ্য হল এখন এই বর্তমানে চুরি ঠকবাজ মিথ্যা কথা বলা কুকর্ম করা এটি যেন আসল পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে একটা মানুষের আমার এই ভিডিওটা নয়টি গুণের কথা এ কারণেই বলা যাতে মানুষের গুণের দ্বারা একটু প্রভাবিত হয়ে এই কর্ম থেকে সে দূরে থাকতে পারে এবং প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে সেই চিন্তাভাবনা নেই কিন্তু আমি ভিডিও করেছিলাম ব্রাম্ভনই হতে হবে এরকম কিন্তু কোন ব্যাপার নয় আপনি চিন্তা করুন এই নটি গুন যদি কোন মানুষের মধ্যে থাকে সে কি কোন খারাপ কাজের দিকে অগ্রসর হতে পারে, একটু চিন্তা করবেন। জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
স্বামীজীর ও পৈতা ছিল না কিন্তু তিনি ব্রাহ্মণে পরিণত হয়েছিলেন ব্রহ্ম জ্ঞানটাই আসল এই গুণগুলি আপনার ভেতরে থাকা উচিত। তাহলেই হবে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏
এসব কথা শুনতে খুব ভালো লাগে... কিন্তু আপনার ব্রাহ্মণ বাড়ির একটি মাত্র মেয়েকে আপনি একজন সৎ শুদ্রের সাথে বিয়ে দিতে পারবেন?? পারবেন না তখন আপনারা প্রতিলোম বিবাহ মেনে নিতে পারেন না... কোথায় যাই তখন আপনাদের এই "সম"... আবার চাকরি না পাওয়া ব্রাহ্মনেরা বলবে সব SC, ST রা JOB নিয়ে নিলো, কাস্ট ভেদ তুলে দাও... আমরা সবাই সমান... আসলে ব্রাহ্মনেরা সারাজীবন নিজের স্বার্থের জন্য নিয়ম নিয়ন্ত্রন করে গিয়েছে... যারা যেসব ব্রাহ্মনেরা আপনার কথাই সম্বতি জানাচ্ছে তারা নিজের বুকে হাত রেখে বলুন আপনার বাড়ির মেয়েকে একজন শুদ্রের ছেলের সাথে বিয়ে দেবেন.?.. যান দাদা যান 🙏🏻
সবার আগে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রশ্নটা আপনার অতি সুন্দর গীতায় শ্রী ভগবান বলছেন চর্তুবর্ণম ময়া সৃস্টম গুণঃ কর্ম বিভাগ সহঃ অর্থাৎ মানুষের কর্মই ঠিক করে কে মহান কে বড় জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন সেটা আপনার ব্যাপার কিন্তু মনে রাখবেন আপনার কোন আগের জন্মে সুকৃতির জন্যই আপনি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নিয়েছেন তো অনেক কষ্টের এই ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নেওয়া সেই সঙ্গে মানুষের জন্ম এইভাবে এই জন্মটাকে বৃথা যেতে দেবেন না ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রথমে বলি গুম না ঘুম তা রাতে আমার ঘুম ভালই হয়, এক কথায় বলা যায়। এক ঘুমে রাত কাবার তো আপনার মত অন্তত অজ্ঞান হয়ে যাই না আর জ্ঞানের কথা বলছেন আমার জ্ঞান আছে কিনা আমি বলতে পারব না সেটা দর্শকই বলবেন আর আপনি কি নিজেকে খুব জ্ঞানী ভাবছেন তা ভালো আমার জ্ঞান আছে কিনা আপনাকে দেখাতে যাব না সেটা অন্তরের ব্যাপার যা আপনাদের মত নাস্তিকদের চোখে পড়ার মতো নয় আর আপনি কে মশাই আপনাকে দেখাতে যাব নিজের এখতিয়ারে থাকুন পারলে মানুষকে ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করুন সারাটা জীবন পি এন পি সি করে কাটিয়ে দিচ্ছেন এইগুলো বন্ধ করুন
আর এ মশাই ধর্ম কোথা চ্যানেল খুলে নিলে কেন ধার্মিক হয়ে যায় না okk, নিজের জ্ঞান নিজের কাছে রাখুন মশাই লোক দের কেন জ্ঞান দিতে আসবেন না। আর মশাই আমি নাস্তিক এটা কি করে জানলেন আপনি কি জোতিষী নাকি?? বা বা সব কিছুই করেন দেখছি।আপনার মনের মতো কোথা যায় না বলবে তাহলে কি সেই আপনার কাছে নাস্তিক নাকি 😄😄😄। আপনাকে ধর্মের কোথা বলতে কেন বলেছে যে এত জ্ঞান দিচ্ছেন। চ্যানেল টা কি বন্ধ করবো দেখবেন স্ট্রাইক মেরে।
হায়রে মানুষ ভগবানের বাণীকেও আজ শুনতে হচ্ছে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে মহাশয় জানিনা আপনার কাছে গীতা আছে কিনা যদি থাকত এই ধরনের কথা বলতে পারতেন না যদি কারোর কাছে থাকে ১৮ অধ্যায় ৪২ তম শ্লোক দেখে নিতে পারেন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না? উত্তরঃ কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে--- ১) সমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না। ২) দমঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না। ৩) তপঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন। ৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান। ৫) ক্ষান্তীঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। ৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়। ৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে। ৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। ৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন। ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা- প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন, সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি। "শুরু হোক পরিবর্তন। জাগ্রত হোক সনাতন"।।
ভালো বলেছেন এ নয় গুণ কারো ছিল না। আমার মনে হয় না আপনি কোনদিন মহাপুরুষের চরিত্র পড়েছেন স্বামীজি ঠাকুর রামকৃষ্ণ বলতে চান এদের ৯ গুন ছিল না ও আসলে তো আপনি মনে হয় এসব কোনদিন দেখেনিনি বা শোনেননি না ওটা আপনার ভুল নয়, আপনার ঘরে মনে হয় পূজা পাঠ হয় না। কারণ ব্রাহ্মণ তো ছিলই না এখনও নেই
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
👃👃
জয় রাধে। জয় রাধে🙏🙏🙏
Jai radhe shyam
আমার ১৩ বছর বয়সে পৈতে হয়েছিল। আজ আমার ৫৩ বছর। অনেককেই নয় গুণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেউই উত্তর দিতে পারেন নি। আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন !
আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ সবই ঈশ্বরের কৃপা শুধু সময়ের অপেক্ষা জয় শ্রী হরি জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
এই ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খুব সুন্দর খুব মধুর যা শুনলে শ্রীকৃষ্ণের কথা মনে পড়ে যায়❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤ জয় শ্রীকৃষ্ণ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Hari Om tath sath
জয় রাধে, জয় গোবিন্দ🙏🙏🙏
Om namah narayana nah namo
খুব ভালো লাগলো অতি জ্ঞানের কথা বললেন ধন্যবাদ আরও কিছু তথ্য দিলে উপকৃত হব
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সব ঈশ্বরের কৃপা। জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
You are right
Jai GURU...
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
খুব সুন্দর উপস্থাপনা ও ব্যাখ্যা।
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
আজ পর্যন্ত কোনো ব্রাহ্মণ এর মধ্যে মধ্যে এই গুণগুলো দেখিনি।
যথার্থই বলেছেন কিন্তু সংখ্যায় সেটা হয়তো কম কিন্তু এখনো আছে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
ব্রাহ্মণ মাত্রই এই গুণ থাকবেই। আমরা যাদের দিয়ে পূজো করাই বা টাইটেল দেখে যাদের আমরা ব্রাহ্মণ বলি তারা কেউ ব্রাহ্মণ নয়।
অভাবে স্বভাব স্বভাব নষ্ট
কাদের মধ্যে দেখলেন ?
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।এই ধরনের ভিডিও তৈরী করে যে সমাজ সেবা করলেন তা অতুলনীয়।এমনি করেই বিভিন্ন ভিডিও আনবেন এই আসা রাখলাম। ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের ভালো লাগাটাই আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার এবং আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় কৃপালু হন এটা আমার উদ্দেশ্য জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
@@anilchakraborty7418 এমনই করে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেবার জন্য ধন্যবাদ নামক শব্দটি দিয়ে আপনাকে ছোট করতে চাই না। এই ধরনের ভিডিও দিয়ে কৃপা বর্ষন করায় আমরা প্রকৃত অর্থে হিন্দুত্বকে জানবার সঠিক সুযোগ পেলাম। তবে ধৃষ্টতা না রেখে একটি কথা কেবল বলি, ব্যাখ্যাগুলি একটু অন্তরগ্ৰাহী হলে খুব ভালো হয়।
অবশ্যই চেষ্টা করব জয় রাধে🙏🙏🙏
Ami sabsomoy. Manechola chestakori. But kui annoy korle. Khamar joyagho nai. He / she will be getting the punishment. Gobinda kripya. Hare Krishna hare Krishna. Joy MAA Tara. Kali devi b
Radhe Radhe
Jai radhe
জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Khub valo laglo.. upokrito holam.. dhanyawad 🙏🙏
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏
Hara krrishno
জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Joy guru dada oti sundor lagche apnar gyan abong upodesta porom pita apnrmongol koruk Thakur
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ এইভাবে পরম পিতা পরমেশ্বর এর কাছে কামনা করুন যেন তাকে এইভাবে জানতে পারি আর সেই জানার সঙ্গে সঙ্গে এই জ্ঞান যেন এই সাধারন মানুষের মধ্যে আমি দিতে পারি এই কামনা করি আর কামনা করি সবার মঙ্গল হোক জয় রাধে জয় শ্রীকৃষ্ণ🙏🙏🙏
সত্য কথা মানুষ কে বোঝানো খুব কঠিন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আসলে কি জানেন মানুষ অন্তর দিয়ে চিন্তা করে না তাই সে বুঝতেও পারে না জয় রাধে। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
মানুষ যে হয়...তার "সত্য কথা..". অর্থাৎ ভগবানের কথা অবশ্যই ভালো লাগবে...!! কিন্তু মানুষের মতো আকৃতি যাদের কিন্তু আসলেই পশু...তাদের ইহা ভালো লাগবে না..কারণ উহাদের পশু ভাব এখনো বর্তমান...মস্তিষ্কও উন্নত নয়...শ্রী ভগবানের বিষয় বোঝার মত...!! তারা আহার, নিদ্রা, মৈথুন, ও ভয় এই সব নিয়েই বাস্ত...সঙ্গে নেশা ও অবৈধ ক্রিয়া কলাপ...!! হরি ওম তৎ সত ।
আস্তিক কথার অর্থ হলো পসিটিভ থিংকিং।। যা তোমার কাছে আসছে তাকে আসতে দাও আর সেটাই তোমার নিয়তি বলে মেনে নাও,, নিয়তি অর্থাৎ ঈশ্বরের কোনো ভালো অন্য কোনো উদ্যেশ আছে।। কেঁদে কেটে ঈশ্বর কে ডাকলেই আস্তিক হওয়া যায় না।। তুমি সময় কে বদলাতে পারবে না কিন্তু নিজ কর্ম কে সঠিক দিশা বা নিষ্কাম ভাবে করে যেতে পারো কারণ তার উপর তোমার নিয়ন্ত্রণ আছে 🙏🙏
জয় রাধে, যথার্থ বলেছেন স্বামীজি বলেছিলেন নিজের উপর বিশ্বাস না আসিলে ঈশ্বরে বিশ্বাস আসে না জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
@@anilchakraborty7418 রাধে রাধে,, প্রণাম নেবেন 🙏🙏
খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
ওম্ শান্তি, আপন কে জানাই আমার আনন্তরিক ভালো বাসা ও প্রনাম
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
Bhaah..... Beautiful Video 🙏
জয় রাধে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের এই উৎসাহের জন্যই আমি ভিডিও বানাতে প্রেরণা পাই জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Jai srikrishna.
জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
খুব সুন্দর লাগলো, তাই সদস্য হয়ে গেলাম
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে অনেক অনেক স্বাগতম জয় রাধে। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Hare Krishna Bhub Bhalo
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
ভালো লাগল ।
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Very very informative
Many many Thanks Of Lots 🙏🙏🙏
HARA KRISHNA
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় রাধে🙏🙏🙏
Hare Krishna..🚩🙏📿
Ami kasyap gotrs thaka (Paul murti gora pal na amra Rudra paul pubra kal a ghot sthapon pracholito chilo na tokhon narakar nirgun tattva te sakar man bigraha ar jonno amader bongser kauke sthapit kora puja kora hoto akhon jodio Ai rudra paul jati onek lupto peya gacha...) ...Amar baba ma jonmo hote niramishvogi (prasadvoji) (barite Jugal o gopal ar osto kalin seva hoy sadhok o siddhi te gopi anugotte ) ...Suchi grostho...pratosnan..pratokriya o toilet ar por soucho o komor obdhi dhouto....jehetu amra vaishnav ...barite nitya puja...Chaitanya dev ar vog arati hoy abong ami oi nsvadeep ar prasad grshan kori...baba veindavan ar prasad nen nitya...
Akadoshi..(dadoshi sanjukta) ami goswami mot a dikkhito ...kam bij(18 akshar) ..kam gayetri ..radha gayetri...panchya tatva gayetri jop kori...sondhya ahnik kori....abkng amar braja manjari swarupa manjari nama acha...ami visakha sakhi anugotoo ....(jini krishna sukh a sukhi) ..Janmastomi...Radhaostomi..Nirisigha chaturdashi somosto upabas o barite vaishnav dara nam kirtan hoy ...kno stree ar proti asokti nei...moithun kori na....bhagawan shiv amar paramasthi gurudev guru pranalite.....bari sakkhat pratisthito mahaprabhu ar seva hoy
Ami ki vaishnav poita nita pari?
জয় রাধে আমার প্রণাম নেবেন আপনি যে ক্রিয়া কর্মকাণ্ডগুলো করছেন তা অতি উত্তম যা পরম বৈষ্ণবরা করে থাকে অর্থাৎ আপনি অন্তরে একজন বৈষ্ণবী বটে এবং আপনার পৈতা নেওয়ার যোগ্যতাও আছে তবে সনাতন ধর্মের একটি কথা আছে সংসারী হইওনা সংসারী সেজ সন্ন্যাসী সেজনা সন্ন্যাসী হয়ও অর্থাৎ আপনি অন্তরে সন্ন্যাসী হলেই হবে এর জন্য পৈতার দরকার হয় না তবুও বলবো আপনি যে সংঘের দীক্ষিত সেই গুরুর কাছে আপনি পরামর্শ নিতে পারেন আমাদের স্বামীজিকে লক্ষ্য করবেন ওনার পৈতা ছিল না। কিন্তু সবার কাছে পূজিত হতেন জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Rightly illustrated, thank you
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Khub sundar...
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Good Advice...
জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Apnake anek dhannyabad
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
সত্যিই এই ভিডিওটা দেখে বুঝতে পারলাম যে ব্রাহ্মণ হওয়ার কি গুন আর পইতে গ্রহণ করার অর্থ কি.আজ বুঝতে পারলাম পৈতে পরার কি মানে.
জয় কৃষ্ণ জয় রাধে🙏🙏🙏
জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
সত্যি
Akta kare paite pare nau sabai brambhan haye jabe R barite puja karar jannya Brambhaner avab habena Joy Nitai
@@mitaligoswami5099 পৈতে পড়লেই কেউ ব্রাহ্মণ হয়ে যায় না ব্রাহ্মণ হতে গেলে ব্রাহ্মণ কুলে জন্ম আর নয়টি গুণ তার মধ্যে থাকতে হয় তবেই সে একজন ব্রাহ্মণ আর আপনার যদি লোক হাসানোর জন্যে পৈতে পড়ে ঘুরতে ইচ্ছা করে তাহলে আপনি ঘুরতে পারেন
Best to try everyday reading part all kinds of school.
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Joy ❤️ Govinda Ram Thakur Maa Laxmi Rakesh Majumder Jibon Bharat Tripura Belonia Amjad Nagar namaskar Dada 03--05--2023
অসংখ্য ধন্যবাদ আমারও প্রণাম নেবেন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণা🙏🙏🙏
Radhe radhe
জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Great thank
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
সত্য রজ তমো গুন নিয়ে একটা video দিন bistaritovabe
অসংখ্য ধন্যবাদ অবশ্যই আমি চেষ্টা করব জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
গীতার ১৮ অধ্যায়ের ৪২তম শ্লোকের কথা বলছো কিন্তু উল্লেখ করছো না কেন ?
উপবীত নয়টি স্বভাবাশ্রিত গুনের দ্যোতক। তাই উপবীতধারী হলেই ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। অধিকাংশ উপবীতধারীরাই স্বভাবতঃ শুদ্র । -- S.M.
সবার আগে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার প্রণাম নেবেন আপনি যথার্থই বলেছেন এটা আমার উল্লেখ করা উচিত ছিল বাট একটু ভুল হয়ে গেছে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏🙏🙏
👍👍👍
Nichhu mon r nichu manushikotar porichoy jotharta prokashito, dhonnobaad 😂😂😂😂😂❤❤❤❤
@@YN-ld7rv
Whose 'Nichhu mon r nichu manushikotar porichoy' are you talking about?
If you are talking about mine be blessed with your mind set.
একদম ঠিক বলেছেন
আমি মুসলমান হিসাবে আপনার VIDEO থেকে পরিস্কার মন্তব্য করতে সাহস পাচ্ছি ০১ জন ব্রাম্মন অর্থই একজন ঈমানদার মুসলমান। আলোচনাটা ভীষণ ভালো লাগলো। ০৯ টি সূতার পবিত্রতার কথা বল্লেন। লগুনে কয়েকটি গিঁট থাকে তার পবিত্রতা বা মাহিত্যে কথা আলোচনা করলেন না কেন । অথবা ব্রাম্মন পবিত্র লগুনে কি ০৯ টি গিটঁ থাকে?
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গীতা বা কোরআন শুধু ধর্মগ্রন্থ নয় আমরা হিন্দু বা মুসলিমরা প্রকৃতভাবে আমরা গীতা বা কোরআনের মূল্য বুঝিনা তাই আমাদের মধ্যে এত ভেদাভেদ একটু ভেবে দেখুন। ব্যাপারটা কিন্তু সবই একই একই রাস্তা তাকে জানা তাকে চেনা তবুও আমরা লাঠালাঠি করি গীতা বা কোরআন আমাদের মানুষ হতে শেখায় এবং মানুষ থেকে ভগবান হতে শেখায় আমাদের স্বামীজি বলেছেন প্রথমে পশু ছিলাম এখন মানুষ হইয়াছি পরে ভগবান হইতে হইবে। অর্থাৎ ঈশ্বরের মত চিন্তাভাবনা আপনাকে করতে হবে তবেই আপনি তার সন্তানের পরিণত হবেন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
ইসলাম ত্যাগ করলে হত্যা কর।
7
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
সবার আগে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সঙ্গে আপনি জানতে চেয়েছিলেন পৈতার গ্রন্থির সাতটি সুতোর গুণাবলী কি কি তা আমি ভিডিওর মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
হরি বোল।
এটা কোনো নতুন কথা নয় । যে কেউ ব্রাহ্মণ হাতে পারে । গিটার মধ্যেই পাওয়া যায় । চাতুর্বর্নম ময়া সৃষ্টম গুণ কর্ম বিভাগ স: । অর্থাৎ জন্ম গত ভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা গীতার সেই আত্মাতিক কথার জ্ঞান আমরা জানার চেষ্টা করি না। তাই আমার এই ছোট্ট প্রচেষ্টা🙏🙏🙏🙏
সত্যিই এই ভিডিওটা দেখে বুঝতে পারলাম যে ব্রাহ্মণ হওয়ার কি গুন আর পইতে গ্রহণ করার অর্থ কি.আজ বুঝতে পারলাম পৈতে পরার কি মানে.
জয় কৃষ্ণ জয় রাধে🙏🙏🙏
sobi manlam...kintu akta kotha ki janen...makal gache makal fol r aam gache aam dhore...ETA kokhonoi Ossikar korte parben na...boro boro kotha sobai bolte pare kintu segulo oto sohoje bastob jibone hoy na
পাঁকেই কিন্তু পদ্ম ফোটে কোনদিন জানার চেষ্টা করেছেন যেদিন জানার চেষ্টা করবেন সেদিন আপনার কথার উত্তর নিজেই পেয়ে যাবে। জয় রাধে একটু সৎসঙ্গ করুন কারোর কাছে যেতে হবে না নিজের মনের মধ্যে নিজের উত্তর পেয়ে যাবেন। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
@@tanmoyroy4813umi ki nijeke Krishna er upore mone kato ?!!!
Krishna jakhn bolechen kaj er dara thik hbe .... Tahole kaj er dara hbe ... Janmo er dara noy
যে কেউ ব্রাহ্মণ হতে পারে , এই আইন পাস করতে হবে এবারে
আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি বললেন ব্রাহ্মণ হতে গেলে আইন পাস করতে হবে আপনাকে আইন পাস করতে হবে না উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমাদের স্বামীজি তিনি মহান কার্যের দ্বারা মানুষ ওনাকে ব্রাহ্মণ বলেই জানতো কারণ উনি ব্রম্ভজ্ঞান লাভ করেছেন অর্থাৎ কোন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন নেই নিজের কর্মের মাধ্যমে সেটি আপনিও করতে পারেন এখন বর্তমানে বেশিরভাগ কীর্তনিয়ায় কিন্তু ব্রাহ্মণ নন কিন্তু তারা আসরে উঠলে তারা প্রণাম পান জয় রাধে। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
তবে তার আগে sc st র সুবিধা গুলো তুলতে হবে
Vvvv nice
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় রাধ🙏🙏🙏
Valo kichu jante parlm
অনেক অনেক ধন্যবাদ দেখতে থাকুন আমি পরবর্তীকালে এরকম আরো কিছু তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করব। জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏
অনেক দিন হল কিছু তথ্য উপস্থাপন করুন অপেক্ষা করে আছি
একটু সংশোধন করার ধৃষ্টতা করছি। প্রথমটি শম, অর্থাৎ অন্তঃ ইন্দ্রিয় সংযম। সবাইকে সমান চোখে দেখা অবশ্যই তার অন্তর্গত।🙏🙏🙏
সবার আগে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আর ধৃষ্টতা বলে আমাকে লজ্জা দেবেন না কারণ মানুষ মাত্রই ভুল হয় জয় রাধে, জয় রাধে
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
ভাই, দেবীভাগবতম গ্রন্থটি একবার ভালো করে পড়ার জন্য বলছি ।তবে অনেক কিছু জানতে পারবে।
ধন্যবাদ আমি চেষ্টা করব আপনি বলেছেন আমি নিশ্চয়ই দেখব জয় রাধে। জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
কজন ব্রাহ্মণ এই কথা মানে? রাতে খায় মদ আর পুজো পাঠ করে সংসার চালায় বেশির ভাগ পুরোহিত রাই
হিসেবটা যদি আপনার থেকেথাকে দয়া করে জানাবেন খুশি হবো।চাতুর্বর্নে,ব্রাহ্মণ শ্রেষ্ট আর এই শ্রেষ্টত্বের শিরোপা,ব্রাহ্মণ নিজগুনে কর্মে লাভ করেছেন,করো দোয়ায় নয়, দ্বাপর এ ভগবান বিষ্ণু ব্রাহ্মণ কে,ব্রাহ্মণ দেবতা বলেছেন,দেবরাজ ইন্দ্র পুজো পাঠের জন্য ব্রাহ্মণ রেখেছিলেন,আর ত্রেতায় রাম অবতারে যোগ্য ব্রাহ্মণ ছাড়া অকাল বোধন সফল হতনা।এখন কিছু ব্রাহ্মণ চণ্ডাল এর মত ব্যাবহার করছেন বলে আমরা রাতা রতি সবাই ব্রাহ্মণ হওয়ার স্বপ্ন না দেখাই ভালো।
Sorry to say j aj ek Jon k khuje paua equal to god k paua.💐
যথার্থই বলেছেন কিন্তু এখনো এরকম মানুষ আছে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
🙏🙏🙏🙏🙏
অনেক অনেক ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
কথাটি অর্যম নয় শুদ্ধ রূপ হবে আর্যব।অর্থ। হল সরলতা ।ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
¹kx❤j😮
😊😊
❤
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
বা্মণ কাকে বলে
Phychological problem
You have to go ranchi
জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণা 🙏
Sig ificant discussion
জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
যে কথাগুলো বলছেন। এটা কি আপনার মনের ধর্মগ্রন্থের কথা। পুরান সম্বন্ধে আপনার কি কোন ধারনা আছে। ভগবত গীতার মাহাত্ম্য কি জানেন। জানলে এর সঠিক উত্তরটা একটু দিবেন।
সবার আগে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আমাকে বললেন এটা কি আমার মনের ধর্ম গ্রন্থের কথা আপনি যথার্থ বলেছেন আসলে কি জানেন মানুষ বর্তমানে এখন অহংকার স্থিত একটা কথা আছে অল্প শিক্ষা অতি ভয়ংকরী তো আমি একজন ব্রাহ্মণের সন্তান আমার অনুচিত বক্তব্য রাখা উচিত নয়। তাই আপনাকে বলি আমি যে ব্যাখ্যাটা করেছি গীতার ১৮ অধ্যায় ৪২ তম শ্লোক পারলে একটু দেখে নিন ঘরে যদি গীতা থাকে আপনি বললেন তো গীতার মাহাত্ম্য কি সেজন্য আশা করি নিশ্চয়ই আপনার কাছে গীতা আছে দয়া করে একটু দেখে নেবেন। যদিও আমার চ্যানেলে বেদ ও পুরান নিয়ে একটি ভিডিও আছে সেটি পারলে একটু দেখে নেবেন আমি সেখানে বেদ ও পুরান নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করি আপনার সংশয় অনেকটাই দূর হবে জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
যারা হালদার তারা কি ব্রাহ্মন
এতো মিউজিক চালালেন কেনো? নিজে শুনে দেখেছেন?
এইটা তোমার ভুল ধারণা তুমি বাবু আসলে বেখ্যা করেছ ঠিক তুমি জতটুকু জান ,কিন্ত ৯,গুনের মধ্য ৯,দেবতা থাকে তাকি জান জদি জান তাহলে ১ বার বল, আজে,বজে বেখ্য,করে কোনো লাভ নেই কারণ তোমার ভুল বেখ্য এটা
সবার আগে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আমি একজন ব্রাহ্মণ হওয়ার কারণে আমাকে অনুচিত বক্তব্য করা উচিত নয়। তাই আমি যে বক্তব্যটা রেখেছি গীতার 18 অধ্যায় ৪২ তম শ্লোক আপনি একটু দেখে নিতে পারেন আর আপনি যে নয়টি সূত্র নয়টি দেবতার কথা বললেন তা প্রকৃতপক্ষে গীতার 18 অধ্যায় ৪৩ তম শ্লোকে বর্ণিত আছে তা কি কি দেবতা আমি চেষ্টা করছি আমি জানি না আমি কতটা সঠিক তাও আমি চেষ্টা করছি ১ম সূত্র ব্রাহ্মণের গুণ বেদ জ্ঞান ও ব্রহ্ম জ্ঞান ২য় সূত্র অগ্নি দেবতা যা ব্রাহ্মণের গুণ তেজ ৩য় সূত্র নাগ দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ ধৈর্য ৪র্থ দেবতা চন্দ্র ব্রাহ্মণের গুণ সর্বপ্রিয়তা ৫ম পিতৃগণ দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ স্নেহশীলতা ৬ষ্ঠ সূত্র প্রজাপতি দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ প্রজাপালন ৭ম সূত্র মনু দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ স্বধর্মে স্থিতি ৮ম সূত্র যজ্ঞ দেবতা ব্রাহ্মণের গুন ন্যায় পরায়ণতা ৯ম সূত্র শিব দেবতা ব্রাহ্মণের গুণ বিষয়ে অনাশক্তি
আরযবম বলে মনে হয়।
জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Khub akta bhalo laglo na .paita r nota debota ache ai nota tarer. Janen ki ?Jadi pai ter som mondhye orthat jog go ubobeto r som mondhye jante chan ta hole aie nom
.Jane nin .
জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
মিউজিক এর গুঁতোয় পৈতার সুতো ছিঁড়ে যাওয়ার জোগাড়, কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না।
পৈতার সুতো ছিঁড়ে যাচ্ছে কিনা জানিনা কিন্তু আপনার কানের পর্দাটা যে ছিঁড়ে গেছে তা বুঝতে পারছি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
@@anilchakraborty7418 thik bolechen
BAL
মহাশয় আপনাকে দেখে যা মনে হচ্ছে আপনারটা পেকে গেছে তো এখনো কি সদ বুদ্ধি হয়নি ঈশ্বর আপনার প্রতি কৃপা করুক এক পা শ্মশানে চলে গেছে। আর একটা বাকি, জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
বংশ পরম্পরায় যারা ব্রাহ্মণ হচ্ছে তাদের কি জ্ঞান আছে এটা কবে বন্ধ হবে।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
অবশ্যই আপনারা এই কোশ্চেনটা করতে পারেন কিন্তু একটু খানি মনে রাখবেন একটা ব্রাহ্মণ যখন পুজো করে তার এই আধ্যাত্মিক জ্ঞানটি যদি না থাকে সে পুজো করতে পারে না পরিবারে বংশ পরস্পর তারা কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রাদী দ্বারা এবং নিয়ম নিষ্ঠা দ্বারা তারা কিন্তু পূজা করে আসছে তো তারা একেবারে কিছু জানে না এই প্রশ্নটা করা অনুচিত তা নাহলে যে কোন অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণদের এত গুরুত্ব থাকতো না অনেকে এটাকে ভুল জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন বা ভুল চিন্তা ভাবনা করছে আমার এই ভিডিওটা করার আসল উদ্দেশ্য হল এখন এই বর্তমানে চুরি ঠকবাজ মিথ্যা কথা বলা কুকর্ম করা এটি যেন আসল পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে একটা মানুষের আমার এই ভিডিওটা নয়টি গুণের কথা এ কারণেই বলা যাতে মানুষের গুণের দ্বারা একটু প্রভাবিত হয়ে এই কর্ম থেকে সে দূরে থাকতে পারে এবং প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে সেই চিন্তাভাবনা নেই কিন্তু আমি ভিডিও করেছিলাম ব্রাম্ভনই হতে হবে এরকম কিন্তু কোন ব্যাপার নয় আপনি চিন্তা করুন এই নটি গুন যদি কোন মানুষের মধ্যে থাকে সে কি কোন খারাপ কাজের দিকে অগ্রসর হতে পারে, একটু চিন্তা করবেন। জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
আচ্ছা সূত্রধর এরা পৈতে পরে কেন?
Ki mantra bole suta gulo git bade.
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
Dada girl ra poita poridhan korte prena
স্বামীজীর ও পৈতা ছিল না কিন্তু তিনি ব্রাহ্মণে পরিণত হয়েছিলেন ব্রহ্ম জ্ঞানটাই আসল এই গুণগুলি আপনার ভেতরে থাকা উচিত। তাহলেই হবে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏
apnar caste ki sunri(sc) na teli(obc)?
এসব কথা শুনতে খুব ভালো লাগে... কিন্তু আপনার ব্রাহ্মণ বাড়ির একটি মাত্র মেয়েকে আপনি একজন সৎ শুদ্রের সাথে বিয়ে দিতে পারবেন?? পারবেন না তখন আপনারা প্রতিলোম বিবাহ মেনে নিতে পারেন না... কোথায় যাই তখন আপনাদের এই "সম"... আবার চাকরি না পাওয়া ব্রাহ্মনেরা বলবে সব SC, ST রা JOB নিয়ে নিলো, কাস্ট ভেদ তুলে দাও... আমরা সবাই সমান... আসলে ব্রাহ্মনেরা সারাজীবন নিজের স্বার্থের জন্য নিয়ম নিয়ন্ত্রন করে গিয়েছে... যারা যেসব ব্রাহ্মনেরা আপনার কথাই সম্বতি জানাচ্ছে তারা নিজের বুকে হাত রেখে বলুন আপনার বাড়ির মেয়েকে একজন শুদ্রের ছেলের সাথে বিয়ে দেবেন.?.. যান দাদা যান 🙏🏻
আপনি একদম ঠিক বলেছেন
কে বেশী বড়: শূদ্র না ব্রাহ্মণ? আমি শূদ্র। তুমি?
সবার আগে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রশ্নটা আপনার অতি সুন্দর গীতায় শ্রী ভগবান বলছেন চর্তুবর্ণম ময়া সৃস্টম গুণঃ কর্ম বিভাগ সহঃ অর্থাৎ মানুষের কর্মই ঠিক করে কে মহান কে বড় জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
ফটক আলোচনা যজ্ঞের পৈতা গ্রহণ করার পর। ব্রাহ্মণ বলে থাকি কইতে হবার আগে মা
আপনার প্রশ্নটা ঠিক বুঝতে পারলাম না ক্ষমা করবেন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Mane Sudra ar brahman kotha duto adjective....kono caste naa..
অসংখ্য ধন্যবাদ মানেটা আগে ভালো করে বুঝুন তারপরে বলুন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
Samo Na shamo ,antar indrio damoner khamota
অসংখ্য ধন্যবাদ জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
Brahman kotha ke babay?Amra to vikiri
Very slow speech!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
আমি নাস্তিক কিন্তুু ব্রাহ্মনের সন্তান।।
আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন সেটা আপনার ব্যাপার কিন্তু মনে রাখবেন আপনার কোন আগের জন্মে সুকৃতির জন্যই আপনি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নিয়েছেন তো অনেক কষ্টের এই ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নেওয়া সেই সঙ্গে মানুষের জন্ম এইভাবে এই জন্মটাকে বৃথা যেতে দেবেন না ধন্যবাদ জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏
তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে হিন্দুত্ববাদী। মানে হিন্দু জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসী, বিশেষ করে যারা হিন্দু বিদ্বেষী তাদের কে আমি ভারত থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চাই।।
@@anilchakraborty7418 khub dami kotha bolechen 🙏
@@debiprashad5553 amio hinduttya badi.
আমি ও তাই চাই।
গীতা, গীটা নয়।
জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
সংসারিক নিজ স্বার্থে এই উপদেশ গ্রহণ করা কোন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয় জে সন্যাসী ধর্ম গ্রহন করেছেন তারাই পারলেও পর তে পারে
যথার্থই বলেছেন কিন্তু আমরা আংশিক চেষ্টাটুকু করতে পারি যদি তার কৃপা হয় জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
জ্ঞান এর ওপর জ্ঞান = অজ্ঞান
হ্যাঁ মহাশয় একদম ঠিক বলেছেন যেটা ঠিক এখন আপনার অবস্থা হয়েছে জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏
এত যখন জ্ঞান আপনার রাত্রি তে গুম হয় তো ঠিক করে 😄😄😄
CZcams a asea boro boro lakchar dile hobe view paor r taka income korar jonno. Nijer moddhe ache ai gan to ব্রাহ্মণ hoyea dakhan dakhi koto khomota.
প্রথমে বলি গুম না ঘুম তা রাতে আমার ঘুম ভালই হয়, এক কথায় বলা যায়। এক ঘুমে রাত কাবার তো আপনার মত অন্তত অজ্ঞান হয়ে যাই না আর জ্ঞানের কথা বলছেন আমার জ্ঞান আছে কিনা আমি বলতে পারব না সেটা দর্শকই বলবেন আর আপনি কি নিজেকে খুব জ্ঞানী ভাবছেন তা ভালো আমার জ্ঞান আছে কিনা আপনাকে দেখাতে যাব না সেটা অন্তরের ব্যাপার যা আপনাদের মত নাস্তিকদের চোখে পড়ার মতো নয় আর আপনি কে মশাই আপনাকে দেখাতে যাব নিজের এখতিয়ারে থাকুন পারলে মানুষকে ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করুন সারাটা জীবন পি এন পি সি করে কাটিয়ে দিচ্ছেন এইগুলো বন্ধ করুন
আর এ মশাই ধর্ম কোথা চ্যানেল খুলে নিলে কেন ধার্মিক হয়ে যায় না okk, নিজের জ্ঞান নিজের কাছে রাখুন মশাই লোক দের কেন জ্ঞান দিতে আসবেন না। আর মশাই আমি নাস্তিক এটা কি করে জানলেন আপনি কি জোতিষী নাকি?? বা বা সব কিছুই করেন দেখছি।আপনার মনের মতো কোথা যায় না বলবে তাহলে কি সেই আপনার কাছে নাস্তিক নাকি 😄😄😄। আপনাকে ধর্মের কোথা বলতে কেন বলেছে যে এত জ্ঞান দিচ্ছেন। চ্যানেল টা কি বন্ধ করবো দেখবেন স্ট্রাইক মেরে।
মানুষকে বোকা আর বানাতে পারবে না
হায়রে মানুষ ভগবানের বাণীকেও আজ শুনতে হচ্ছে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে মহাশয় জানিনা আপনার কাছে গীতা আছে কিনা যদি থাকত এই ধরনের কথা বলতে পারতেন না যদি কারোর কাছে থাকে ১৮ অধ্যায় ৪২ তম শ্লোক দেখে নিতে পারেন জয় রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
ব্রাহ্মণ কি?,, জিনি মিথ্যাবাদী তিনি ব্রাহ্মণ?
যথার্থই বলেছেন কিন্তু সংখ্যায় হয়তো সেটা বেশি কিন্তু এখনো ভালো কিছু আছে জয় রাধে, জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏
BHUL BHAL
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
প্রশ্নঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের লক্ষণ বা গুণাবলি কি কি ? আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ব্রাহ্মণ কি-না?
উত্তরঃ
কোন মানুষ যখন পূরশ্চরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে গায়ত্রী মন্ত্র ( ওঁ) উচ্চারণ করতে করতে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্মণ বা আচার্য বা অষ্টাঙ্গিক যোগী মহাপুরুষ বা সিদ্ধ মহাপুরুষ। যেমনঃ বাবা লোকনাথ হলেন ব্রাহ্মণ। মানুষ যখন ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন, তখন তার দেহ থেকে এক ধরণের ব্রহ্মজ্যোতি বাহির হয়। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে নিচের ৯টি গুন বা লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে---
১) সমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময়ই সকল জীবের মধ্যে পরম ব্রহ্মকে দেখতে পান। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ করেন না। কে শুচি আর কে মুচি -তা কখনও ভেদাভেদ করেন না। মানুষের মধ্যে উচ্চ বর্ণ আর নিম্ন বর্ণ ভেদাভেদ করেন না।
২) দমঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণকে কখনও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,হিংসা ও অহংকার এই ৬টি রিপু বশ করতে পারে না।
৩) তপঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সারাক্ষণ পরম ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকেন।
৪) শৌচঃ একজন ব্রাহ্মণ তার দেহ ও মনকে সর্বদা পবিত্র রাখেন। তিনি মনে করেন, জীবের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। কারণ, প্রতিটি জীবের দেহের মধ্যে আত্মা রূপে পরম আত্মা বিরাজমান।
৫) ক্ষান্তীঃ
একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সর্বদা ক্ষমাশীল হন। যে যত অপরাধ করুক, তিনি অপরাধকে অপরাধের দৃষ্টিতে না দেখে সর্বদা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
৬) আর্য্যনংঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে সর্বদা শিশুর মতন সরল ভাব থাকে। তার মন শিশুর মতন সরল হয়।
৭) জ্ঞানঃ একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে পবিত্র বেদ ও গীতার গভীর জ্ঞান থাকবে এবং চৈতন্যজ্ঞান থাকবে।
৮) বিজ্ঞানঃ বেদ ও গীতায় শুধু বিজ্ঞান নিয়ে নয়, পরম বিজ্ঞান এর বিভিন্ন তত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ গীতার এই পরম জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন।
৯) আস্তিক্যঃ যার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাকেই আস্তিক বলে। কাজেই একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস দেখা যাবে। একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণ সবসময় বেদ ও গীতার জ্ঞান প্রচার করবেন।
ব্রাহ্মণ হল একটা উপাধীর নাম বা ডিগ্রীর নাম বা গুণের নাম। যেমন- মানুষ পড়াশুনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। এটা কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জন্মগতভাবে কোন মানুষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। পিতা সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করেছিল। তাই পিতা ব্রাহ্মণ হয়েছে। এখন পুত্র যদি সাধনা করে ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে না পারে, তাহলে পুত্র কখনও ব্রাহ্মণ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান কোন পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে, পিতার ঘরে জন্ম গ্রহণ করলেই পুত্রেরও ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। সুতরাং জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ শব্দটা অতি পবিত্র ও অতি পূণ্য শব্দ। আরও উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত এক নহে। যারা পূজা পার্বণ করেন, তাদেরকে পুরোহিত বলা হয়। কিন্তু তারা কখনও ব্রাহ্মণ নহে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই বিধায় তারা পুরোহিতকে ব্রাহ্মণ মনে করে ব্রাহ্মণ বলে ডাকেন। ব্রহ্মজ্ঞান এর অধিকারী হলেই শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হয়। পরম পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগত গীতায় স্বয়ং পরম ঈশ্বর এই বিষয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এখন, আলোচনা করে দেখা যাক- আমাদের সমাজে বর্তমানে যারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিতেছে, তাদের মধ্যে একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ বা লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিনা-
প্রথমতঃ সমঃ সমাজের বর্তমান ব্রাহ্মণরা সকল মানুষকে একরকম মনে করে না। তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে। বর্তমান ব্রাহ্মণ এখন অন্য বর্ণের বা সম্প্রদায়ের ঘরে ভাত খায় না। অন্য বর্ণের মানুষের রান্না করা খাবার খেলে তাদের জাত চলে যাবে বলেন,
সুতরাং একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের প্রথম গুণটিই বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণের মধ্যে নাই। এভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, একজন প্রকৃত ব্রাহ্মণের মধ্যে যেই ৯টি গুণ বা লক্ষণ থাকে, বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণদের মধ্যে একটি গুণও নাই। সুতরাং বর্তমান যুগের ব্রাহ্মণরা প্রকৃত ব্রাহ্মণ নহে। বরং এই সকল ভূয়া ব্রাহ্মণের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনের দুঃখে লক্ষ লক্ষ সনাতনী মানুষ অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং এখনও ধর্মান্তরিত হইতেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা পরম পবিত্র বেদ ও পরম পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতার পরম জ্ঞান অর্জন করি, গীতার অমৃত সুধা আস্বাদন করি, সনাতনী সন্তানদের অন্তর বেদ ও গীতার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করি।
"শুরু হোক পরিবর্তন।
জাগ্রত হোক সনাতন"।।
এই ৯গুণ কারো নেই। সুতরাং কোন
ব্রাহ্মণ ছিল না এবং নাই।
ভালো বলেছেন এ নয় গুণ কারো ছিল না। আমার মনে হয় না আপনি কোনদিন মহাপুরুষের চরিত্র পড়েছেন স্বামীজি ঠাকুর রামকৃষ্ণ বলতে চান এদের ৯ গুন ছিল না ও আসলে তো আপনি মনে হয় এসব কোনদিন দেখেনিনি বা শোনেননি না ওটা আপনার ভুল নয়, আপনার ঘরে মনে হয় পূজা পাঠ হয় না। কারণ ব্রাহ্মণ তো ছিলই না এখনও নেই