ঝাড়গ্রাম কনক-দুর্গা মন্দিরের ইতিহাস || "Jhargram Kanak-Durga Mandir History"
Vložit
- čas přidán 23. 10. 2020
- #banglastory #jhargram
কনক-দুর্গা মন্দিরের ইতিহাস
ঝাড়গ্রাম লাগোয়া চিলকিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির। রহস্যময়ী ঘন জঙ্গল। পাশে কুলুকুলু শব্দে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী। প্রায় সাড়ে চারশো বছরের মিথ আর রাজকাহিনির আড়ালে এই সবকিছু নিয়েই এখনও অনেক কথা বলে দেয় ঝাড়গ্রাম লাগোয়া কনকদুর্গা মন্দির । সাধারণত উড়িষ্যা ও অনার্য মন্দির শৈলীতে নির্মিত প্রাচীন এই মন্দির প্রকৃতপক্ষে একটি বিষ্ণুমন্দির। ভারতের মন্দির শৈলী ও উড়িষ্যার স্থাপত্যরীতি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, এই প্রাচীন ভগ্ন মন্দিরের মাথায় বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র ও ধ্বজা বর্তমান। এই শিল্পরীতি শুধুমাত্র ভগবান বিষ্ণু বা শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরে দেখা যায়। তবুও এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী কনক-দুর্গা। প্রাচীনকালে কোন এক সময় এই মন্দিরে একটি প্রবল বজ্রপাত হয় যার ফলে মন্দিরটি সম্পূর্ণভাবে সমান দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় এবং তার পাশেই নবনির্মিত কনক-দুর্গা মন্দির স্থাপিত হয়।
কথিত আছে ওড়িশার এক ব্রাহ্মণ রাজার রাজত্ব ছিল এই এলাকা । সামন্তরা ছিল সেনাপতি । রাজার কোনো সন্তান ছিল না । তখন নাকি স্বপ্নাদেশে সোনার মূর্তি তৈরির নির্দেশ পান জামবনির রাজা জগদীশ চন্দ্র দেওধল । ব্রাহ্মণ রাজার আধিপত্য কমাতেই নাকি সামন্ত রাজার এই রাজনীতি / কূটনীতি ।
১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন ‘তিহারদ্বীপা গড়’ বা জামবনি পরগনার সামন্তরাজা গোপীনাথ সিংহ রায় স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে আশ্বিন মাসের শুক্ল সপ্তমী তিথিতে কনকদুর্গার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। রানি গোবিন্দমণির হাতের কঙ্কণ দিয়ে তৈরি করা হয় দেবীর মূর্তি। গোপীনাথের কন্যা সুবর্ণমণির সঙ্গে বিয়ে হয় ধলভূম পরগণার রাজা সপ্তম জগন্নাথ দেও ধবলদেবের। পরে তাঁদের জ্যেষ্ঠপুত্র কমলাকান্ত দেও ধবলদেব চিল্কিগড়ের রাজা হন। সেই থেকে রাজা কমলাকান্তের উত্তরসূরিরাই মন্দিরের সেবাইত। মন্দিরের প্রথম পূজারি রামচন্দ্র ষড়ঙ্গির উত্তরসূরিরা বংশানুক্রমে মন্দিরের পূজার দায়িত্বে।আগে রাজা গোপীনাথ সপরিবারে সুসজ্জিত নৌকাবিহারে ডুলুং নদী দিয়ে চিল্কিগড় প্রাসাদ থেকে মন্দিরে আসতেন এবং কনক দুর্গার আরাধনা করতেন।
দুর্গাপুজোর শুরুর গল্প এটাই। আর সেই থেকেই দুর্গোপুজোয় ষষ্ঠীতে ডুলুং নদী থেকে ঘট ভরতি জল আসে। সারারাত মন্দিরের বাইরে বেলগাছের নিচে থাকে সেই ঘট। সপ্তমীর সকালে কলসির জল দিয়ে ঘট শুদ্ধ করে হোম আরতির পর গৃহপ্রবেশ করানো হয়। চিল্কিগড় রাজারা কালিকা পুরাণ ও তন্ত্রমতে এই দেবীর আরাধনা করতেন। প্রতি অমাবস্যা তিথিতে এই মায়ের কাছে দেওয়া হত নরবলি। রাজার আদেশে রাজ শত্রু ও বন্দীদের নিয়ে আসা হত এই মায়ের সামনে এবং খাঁড়ার আঘাতে অপরাধের শাস্তি স্বরূপ দেওয়া হতো নরবলি। এই মন্দিরে নরবলির ইতিহাস বহু বছর স্থায়ী ছিল। পরবর্তীকালে ইংরেজরা চিল্কিগড় দখল করলে এই নরবলি প্রথা বন্ধ হয়। তবে এখনও নবমীতেই দুর্গার সামনে পাঠা বলি হয়।
অষ্টমীর রাতে মন্দির সংলগ্ন গভীর জঙ্গলে আজও হয় নিশাপুজো। থাকেন শুধুমাত্র রাজপরিবারের বর্তমান সদস্যরাই। এলাকাবাসীদের বিশ্বাস, ঘন জঙ্গলে এই মন্দিরের দেবী উমা নাকি আজও রাতে অষ্টমীর ভোগ রাঁধেন নিজেই ।
অষ্টধাতুর দুর্গা এখানে অশ্বারোহিনী চতুর্ভূজা।কনকদুর্গার প্রাচীন মন্দিরটি জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে পাশেই নতুন মন্দির তৈরি করা হয়। ১৯৬৮ সালে কনকদুর্গার আদি মূর্তি, যাতে সোনার ভাগ বেশি ছিল তা চুরি যায়। সত্তরের দশকে আরও দু’বার চুরি গিয়েছে মূর্তি। আর শেষ বার যেটি খোওয়া যায় ২০১১তে, ১৯৯৬ সালে অষ্টধাতুর বিগ্রহ তৈরি করা হয়েছিল এতে পিতলের ভাগই ছিল বেশি।
দশমীতে হয় রাবণ-পুজো। মশাল জ্বালিয়ে রাবণরুপী কলাগাছকে তীর মারার প্রতিযোগিতা হয়। এখনও পুরোনো মন্দির রয়েছে । দেওয়ালে ফাটল আর গাছের শিকড়কে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহ্যবাহী কনকদুর্গা মন্দির । অষ্টধাতুর মূর্তিতেই আজও পুজো হয় চিলকিগড়ের কনক দুর্গা মন্দিরে। নিয়ম করে আজও পরিবারের মঙ্গল কামনায় গাছের ডালে সুতো বাঁধেন মহিলারা। দূর দূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা। ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার এগোলেই পড়বে চিলকিগড় রাজবাড়ির পাশে এই কনকদুর্গা মন্দির। পাশেই ডুলুং নদী। ঠিক যেন ছবির মতো। চারদিকে গা ছমছমে ঘন জঙ্গল সাথে সাড়ে চারশো বছরের মিথ ।
Disclaimer
Video is for educational purposes only. Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976,allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment,news reporting, teaching, scholarship and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
.
.
.
.
Instagram Profile ▶️
/ purnendumishra10
যোগাযোগ :-
Email- purnendu.mishra21@gmail.com - Zábava
কলকাতা থেকে এনএইচ 6 (মুম্বাই-কলকাতা মহাসড়ক) দ্বারা ঝাড়গ্রামে পৌঁছাতে 4 ঘন্টা সময় লাগে । ঝাড়গ্রাম শহর থেকে সড়কপথে ১৪ কিলোমিটার পথ এগোলেই চিল্কিগড়ের কনকদূর্গা মন্দির ।
Khub sundor joy Drugamaa
Best of luck ❤️
Thank you
🙏🙏
Gitu r bitu
Joy maa durga ❤️
ভালো থাকবেন সাথে থাকবেন ❤️
অনবদ্য কাজ , এগিয়েচলুন ,পাশেই আছি
नवरात्रि कि हार्दिक शुभ कामनाएं 🙏💐...
From A Channel of Music 🙏🌹...
Ekhane noro boli hoto
কিভাবে যেতে পারবো জানা গেলো না
নিচে দেওয়া রইলো কনকদূ্র্গা মন্দিরের ঠিকানা।
কলকাতা থেকে এনএইচ 6 (মুম্বাই-কলকাতা মহাসড়ক) দ্বারা ঝাড়গ্রামে পৌঁছাতে 4 ঘন্টা সময় লাগে । ঝাড়গ্রাম শহর থেকে সড়কপথে ১৪ কিলোমিটার পথ এগোলেই চিল্কিগড়ের কনকদূর্গা মন্দির ।
সাথে থাকবেন
ভালো থাকবেন ❤️
Howrah station theke train e ki bhabe jabo