Dhaka to Rangamati Tour | ঢাকা হতে রাঙামাটি ট্যুর। Visitor : Barua Surojit | Barua S

Sdílet
Vložit
  • čas přidán 6. 09. 2024
  • পান্ডুলিপি :
    ঢাকা হতে রাঙামাটি ট্যুর। ভোর ৬টা উঠে রওনা হলাম। উদ্দেশ্য : রাজবন বিহার ভ্রমন ও বনভান্তের কাছে প্রার্থনা। ৬:১৫ মিনিটেই ছায়দাবাদ এসে হাজির হলাম। বেশ কয়েকটি কাউন্টার ঘুরে শ্যামলী এর আর ট্রাভেলস এ সকাল ৮টার গাড়ি পেলাম এবং একটি টিকেট কিনে নিলাম। এরপর আটটা পর্যন্ত অপেক্ষা। যথা সময়ে গাড়ী এসে পৌছাল, আমিও উঠে বসলাম একেবারে প্রথম সিটে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাসটি ছায়দাবাদ থেকে রওনা হয়ে গেল, রাস্তায় যতটা জ্যাম থাকবে মনে করেছিলাম কিছুই পেলাম না । বেলা ১০ টার দিকে এসে পৌছালাম কুমিল্লায় হোটেল নূর জাহান এ। সকাল এ কিছুটা নাস্তা করায় এখানে আর নাস্তা করতে ইচ্ছে করলো না। স্বাভাবিকভাবে একটু কোল্ড ড্রিংস খেয়েই বাসে চেপে বসলাম। আবারো রওনা হলো রাঙামাটির উদ্দেশ্যে।
    ঢাকার বাইরের আশেপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দয্য দেখে কখন সময় পার হতে লাগলো বুঝতেই পারছিলাম না, যেন বাংলাদেশের মূল সৌন্দয্যের দিকে আকর্ষণ করতে লাগলো সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ। সত্যিই বাংলাদেশ যে সবুজে ভরা সৌন্দয্যে বিস্তৃত, একের এপর এক মাঠ পেরিয়েও যেন এর শেষ নেই ঢলমান গাড়ীতে বসে যেন সেটাই মনে হচ্ছে। আর অপেক্ষামান সৌন্দয্য মন্ডিন রাঙামাটির রঙে চোখ জোড়ালো এর অপেক্ষায়।
    ওয়াও ওয়াও ওয়াও আমি আসলে বিশ্বাস করতে পারছি না বাংলাদেশে এতো সুন্দর পাহাড় ঘেরা সৌন্দয্য রয়েছে এযেন একেবারে ছবির মত আঁকা এক পাহাড়ি সৌন্দয্য। রাস্তার আশে পাশে দোকানগুলোর সাইবোর্ড পড়ে বুঝতে চেষ্টা করলাম আমি কি আসলেই রাঙামাটি পৌছে গেছি? একটু পর আরেকটু পরিস্কার হলাম মানিকছড়ি পুলিশ চেকপোষ্ট, কোতয়ালী থানা, রাঙামাটি জেলা। কিভাবে সময় কেটে গেলো আসলেই আমি বুঝতে পারিনি। ঘড়িতে এখন বেলা দুটোর মত বাজে এত তাড়াতাড়ি এখানে এসে পৌছাবো এভাবে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলনা। চলে এলাম রাঙামাটির মূল শহরে ... পূর্ত ভবন, জেনারেল হাসপাতাল, রাঙামাটি মারী স্টেডিয়াম পার হয়ে বাসটি এগুচ্ছে। কিছু যাত্রি নেমে পড়ছে রাস্তাতেই আমি বাসে বসেই রাঙামাটিতে অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইবোর্ডগুলো পড়ছিলাম। এবং শহরের সাথে মিলাতে শুরু করলাম আমাদের ঢাকাতে যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো আছে এখানে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদ্র করে নির্মাণ করা হয়েছে রাঙামাটি জেলাভিত্তিক। কিছুদূর এগুতেই মূল রাস্তার পাশে একটি হোটেল দেখে নেমে পড়লাম যেখান থেকে রাজবন বিহার কাছে হয়। লোকজনের কাছে শুনে নিলাম রাঙামাটি মারী স্টেডিয়াম এর বিপরীত রাস্তাতেই এই বিহারটি অবস্থিত। হোটেলে একটি রুম নিয়ে নিলাম ফ্রেশ হতে বা বিশ্রাম নিতেও ইচ্ছে করছিল না কারণ কখন রাজবন বিহারে যাবো এবং প্রার্থনা করব সেই আকাঙ্খা কাজ করছে।
    মারী স্টেডিয়ামের বিপরীত পার্শ্বে একটি গলির রাস্তা দিয়ে হেটে চললাম রাজবিহারের উদ্দেশ্যে। হাটার সময় লক্ষ্য করালাম রাস্তার আশেপাশে ছোট ছোট দোকানে দেশী পণ্য সহ তাতে বোনা থামী, টুপি ইত্যাদি ও লোহা এবং পাথরের বুদ্ধের মুর্তি, বুদ্ধের ছবি, বনভান্তের ছবি সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেশী-বিদেশী পর্যটককে আকর্ষণ করার মত বিক্রির জন্য এখানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এবার রাজবন বিহারে প্রবেশের গেটে পৌছে গেলাম। গেট থেকে একটু ভিতরে টুকতেই একটি ব্রীজ রয়েছে। ব্রীজের নীচে বয়ে গেছে কাপ্তাই লেক এর সৌন্দয্য।
    একটু হেটে গিয়েই পৌছালাম রাজবন বিহারের প্রবেশ দ্বারে, তার পাশে পদ্মফুলের উপর একটি ছোট বুদ্ধমূতি হাত উচিয়ে আছে। বুদ্ধের নাম নিয়ে প্রবেশ করলাম বিহারে।
    ১৯৭৫ সালে রাজবন বিহার প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাজপরিবারের ভূমিদানকে স্মরণীয় করে রাখতে সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের নামের সাথে সঙ্গতি রেখে বিহারটির নামকরণ করা হয় রাজবন বিহার। রাজবিহারের অধ্যক্ষ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তে ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি পরলোক গমণ করেন। এখনও তার দেহটি রাজবন বিহারে সংরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।
    বর্তমানে এটি আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে এসে যে কেউ প্রার্থনার মাধ্যমে তাঁর জীবনকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন সকল দু:খ দুর্দশাকে কাটিয়ে।
    বিহারটিতে বেশ কয়েকটি উপাসনালয় রয়েছে এবং বিহারের চারিপাশে সৌন্দয্যবর্ধনে বিভিন্ন ফুলের গাছ, শ্বেত হস্তী, বানরের মূর্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারে ভগবার বুদ্ধের সঙ্গী ছিলেন এসব প্রাণীরা।
    বিহারের ভিতর শান্ত ও কোলাহল মুক্ত পরিবেশ। প্রার্থনারত দায়ক দয়িকাকে বুদ্ধকে মন থেকে কাছে পাওয়ার অনুভূতি জন্মাবে এই পরিবেশে।
    এখানকার উপাসনালয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য লাভীশ্রেষ্ঠ অরহৎ সীবলী মন্দির তিনি একজন মহাস্থবির ছিলেন।
    উপাসক উপাসিকাদের আরেকটি পুর্ণকর্ম আহরণের উল্লেখ্য বিষয় এখানে উপগুপ্ত মহাথেরো বন্দনা একটি কাগজে লেখা আছে যা তিনবার পড়ে নিতে হয়।
    এখানকার স্থায়ী নিবাসী যারা তাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অনেক বুদ্ধ ভক্ত হয়। এবং ছোট থেকেই তারা বুদ্ধ প্রার্থনা করতে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটিকে দেখে আমারও একটু প্রার্থনা করতে ইচ্ছে হলো।
    এবার যেখানে এলাম বুদ্ধকে সবাই চারপাশ থেকে ঘিরে রেখে প্রর্থনা করছে। মূর্তির গুলো বসানোর অংকনটা এতোটাই সুন্দর দেখে মনে হচ্ছে একবোরে সত্যি সত্যি বুদ্ধ ধ্যানরত অবস্থায় বসে আছে এবং তার শিষ্যরা যেন তাঁকে চার পাশ থেকে ঘিরে রেখে প্রর্থনা করছে। আমিও তাদের মত একপাশে বসে একটু পূর্ণ ভিক্ষা করছি।
    ১৯৭৫ সাল থেকে ২০১২ সাল দীর্ঘ ৩৭ বছর বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারে সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তে এই রাঙামাটিতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করে গেছেন। তাঁর শীর্ষরা এখন এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। বৌদ্ধ ধর্মের এই তীর্থ ভূমি রাজবন বিহারে এসে সারাদিনের রাস্তার ক্লান্তি যেন একেবারে দূর হয়ে গেল।
    এই পাশে নতুনভাবে গড়ে উঠছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ বিশ্বশান্তি প্যাগোডা। এখনো নির্মাণাধীন।
    আমি এখন যে পথে হেটে চলছি সে পথটা রাজবন বিহারে আসার প্রথম রাস্তা। এই রাস্তায় প্রবেশ করতে হয় রাঙামাটি সরকারী কলেজ এর পাশ দিয়ে। এবং এই রাস্তা পাকা থাকায় যে কেই একেবারে রাজবন বিহার গেট পর্যন্ত সিএনজি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
    #DhakatoRangamati #RazbonPagoda #Bangladeshdocumentary #BaruaS #BaruaShimon #Rangamatitour

Komentáře • 7

  • @pritom889
    @pritom889 Před měsícem +3

    ছোট বাবা Wow 🎉🎉🎉🎉❤❤❤আমি প্রিতম

    • @baruaS
      @baruaS  Před měsícem

      কেমন হইছে বল? যাবি তুই?

    • @sunanda2824
      @sunanda2824 Před měsícem +1

      রাঙাামাটি যাবার পুনাঙ্গ একটি তথ্যবহুল ভিডিও পেলাম আপনার কাছ থেকে। এরকম আরো বিভিন্ন জায়গার ভিডিও দেখতে চাই।

    • @PriyaBarua-go8wu
      @PriyaBarua-go8wu Před měsícem +2

      Hi

    • @pritom889
      @pritom889 Před měsícem

      ​@@baruaSহে যাবো

  • @KhoborTelevision
    @KhoborTelevision Před měsícem +1

    ❤❤❤ wow sei hoice dada