খুলনার দৃষ্টিনন্দন ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম মাদ্রাসা ও মসজিদ | Jami'a Islamia Arabia Darul Ulum, Khulna

Sdílet
Vložit
  • čas přidán 20. 08. 2024
  • খুলনার দৃষ্টিনন্দন ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম মাদ্রাসা ও মসজিদ | Jami'a Islamia Arabia Darul Ulum, Khulna
    খুলনার মুসলমান পাড়ায় প্রবেশ করলে এই দৃষ্টিনন্দন ইসলামী স্থাপত্য দেখে আপনাদের চোখ জুড়িয়ে যাবে।
    পাশাপাশি মাদ্রাসা ও মসজিদ, নাম দারুল উলুম, খুলনা বিভাগের অন্যতম প্রধান দ্বিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদরাসাটি জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম খুলনা নামে প্রসিদ্ধ।
    এই মাদ্রাসাটির পাশে দৃষ্টিনন্দন বিশাল এই মসজিদটির নাম তালাবওয়ালা জামে মসজিদ (পুরাতন তাবলিম মসজিদ)।
    দূর-দূরান্ত থেকে নামাজ পড়তে এখানে আসেন মুসল্লিরা, আসেন মিনার দেখতে দর্শনার্থীওরা
    মসজিদের সৌন্দর্য বাড়াতে চারদিকে স্থাপন করা হয়েছে লাইটপোস্ট। নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনাও।
    এ মসজিদটিতে রয়েছে সুবিশাল মিনার। যার উচ্চতা ২২৬ ফুট।
    খুলনা বিভাগের সর্বোচ্চ মিনার এটি। মসজিদ ও মিনারটির পুরোটাই সাদা টাইলস দিয়ে তৈরি।সুউচ্চ মিনার ছাড়াও মসজিদটিতে রয়েছে চারটি গম্বুজ।
    মসজিদের তিন পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সর্বোচ্চ এবং অন্যতম সুন্দর মিনার দেখে মুগ্ধ হন সবাই। বিশেষ করে, রাতে কৃত্রিম আলোয় চারপাশের পরিবেশ দেখে মনে হয় জান্নাতের একটি সুসজ্জিত বাগান।
    আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.)-এর অনুপ্রেরণায় বিখ্যাত দানবীর মরহুম হাজী আব্দুল হাকীম জমাদ্দারের পৃষ্ঠপোষকতায় মাওলানা মুজিবুর রহমান (রহ.) এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
    ১৯৭৯ সালে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ শ্রেণি দাওরায়ে হাদিসের সূচনা হয়। ২০০০ সালে ইসলামী আইন গবেষণা অনুষদ (ইফতা) এবং তাফসির বিভাগ চালু করা হয়। দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষা কারিকুলাম অনুসারে ৪৮ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করেন। মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও তারা আরবি, উর্দু ও ফার্সি ভাষা শেখার সুযোগ পায়। আবাসিক শিক্ষাব্যবস্থাপনায় এতিম ও দরিদ্রদের শিক্ষাগ্রহণে বিশেষ সুযোগ আছে এ মাদ্রাসাটিতে।
    মিনার থেকে প্রধান ফটক পর্যন্ত কারুকার্য যেন একটি থেকে আরেকটি উচ্চতর। কৃত্রিম কারুকার্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একাত্মতা ঘটায় অপরূপ এক লাবণ্যের প্রকাশ ঘটেছে এই মসজিদে। এখানে গেলে সহজেই দেখা মিলবে অর্কিড, বনসাই, সাইকাস, পাইনাসসহ নানা ধরনের শোভা বর্ধনকারী উদ্ভিদের।
    এছাড়া চারপাশে রয়েছে বিভিন্ন জাতের সুপারি ও নারিকেলগাছ। এই মসজিদের প্রধান আকর্ষণ হলো মসজিদের সামনে অবস্থিত শাহি গেট। এছাড়া এখানে রয়েছে আধুনিক শৌচাগার, অজুখানা, গোসলখানা।
    মসজিদটিতে রমজান মাসে দুই ধরনের তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। একটি হলো সাধারণ নিয়ম, ২৭ রমজান যেখানে কোরআন খতম করা হয়। আরেকটি হলো মাত্র ছয় দিনে কোরআন খতম করা হয়। ৬ দিনের খতম তারাবির মুসল্লিদের মধ্যে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী। এখানে একসঙ্গে প্রায় প্রায় ২ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
    #mosque #khulna #khulnacity #bangladesh #explorerrussell

Komentáře • 6