Video není dostupné.
Omlouváme se.

ঘুরে এলাম গ্রীনল্যান্ড পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে... | Greenland Polytechnic Institute Tour-2024

Sdílet
Vložit
  • čas přidán 16. 06. 2024
  • আমি কম্পিউটার টেকনোলজি নিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শুরু করি গ্রীনল্যান্ড পলিটেকনিকের ২০১৭-১৮ ব্যাচে। অনেক পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে ৪ বছরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করি। এর মধ্যে করোনা নামক এক ভয়াল থাবার কবলে পড়ি আমরা পুরো মানবজাতি, যার দরুন আমার ৪ বছরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ হতে ৫ বছর লেগে যায়।
    আমি গ্রীনল্যান্ড পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র ছিলাম। দীর্ঘ ৫ বছর এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছি। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে। গ্রীনল্যান্ড পলিটেকনিকে আমার সম্মানিত শিক্ষকদের কাছে আমি চির ঋণী কারণ স্যাররা আমাকে পড়াশোনায় যথেষ্ট সহায়তা করেছেন। ফিরোজ স্যার এবং ইমরান স্যারের সহযোগিতা কথা বলে শেষ করা যাবেনা। বিশেষ করে চীফ ইন্সট্রাক্টর, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের হেড ইমরান স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেষ করা যাবে না। স্যার সব সময় আমাকে কাজে ও পড়াশোনায় যথেষ্ট মোটিভেশন দিতেন।
    স্যারের পরামর্শে আমি ২০১৮ সালে গভর্নমেন্ট স্কিল কম্পিটিশন-২০১৮ তে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। স্যারকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম স্যার আমি কি ইনভেনশন করতে পারবো? স্যার বলেছিলো তুমি অবশ্যই পারবে। পরবর্তীতে স্যার আমাকে টীম লিডার বানিয়ে সাথে মাসুদ ও সিয়ামকে নিয়ে মোট ৩ জনের একটি টীম বানিয়ে দেন এবং তিনি নিজে সরকারি সফটওয়্যারের ফর্ম ফিলআপ করে দেন। তখনো আমি জানতাম না যে কি ইনভেনশন করবো। তখন স্যার একটি আইডিয়া দিলেন যে, ক্লাসরুম সিকিউরিটি সিস্টেম তৈরি করো এড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে।
    পরবর্তীতে আমি, মাসুদ ও সিয়াম সারাদিনের কাজ শেষে রাতে সবাই সিয়ামের বাসায় চলে আসতাম। সেখানে রাত জেগে আমরা প্লানিং করতাম যে কি বানানো এবং কিভাবে বানাবো। আমরা ৩ জনের অক্লান্ত পরিশ্রমে ধীরে ধীরে আমাদের প্লানিংটা একটা প্রজেক্টে রূপ নিতে লাগলো। আমরা ৩ জন মিলে কিছু ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও মাসুদ মোবাইল এ্যাপস বানিয়ে ফেললো। ডিভাইসগুলো হলো, মেটাল ডিটেকটর, হিউম্যান ডিটেকটর, অ্যালার্ম সিস্টেম এবং এগুলো পরিচালনার জন্য একটি মোবাইল এ্যপস। দেখতে দেখতে আমাদের প্রথম রাউন্ড ইন্সটিটিউট লেবেলের প্রজেক্ট প্রদর্শনীর দিন চলে আসলো। আমরা ৩ জন মনে করছিলাম হয়তো আমরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবো না। কারণ আমাদের চেয়ে আরো ভালো কোনো ইনভেনশন নিয়ে কেউ না কেউ চলে আসবে।
    প্রদর্শনির দিনে BTEB এর পরিদর্শকরা সকল ডিপার্টমেন্টের করা সকল প্রজেক্ট দেখলেন এবং রেজাল্ট ঘোষণা করলেন। আমাদের প্রজেক্ট প্রথম রাউন্ড তথা ইন্সটিটিউট লেবেলে ২য় স্থান অর্জন করলো। এবং আমরা ইন্সটিটিউট লেবেল থেকে জেলা পর্যায়ে মানে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার টিকেট পেলাম। ঢাকা মহিলা পলিটেকনিকে আমাদের কম্পিটিশনের ব্যবস্থা করা হলো। সেখানে ঢাকা জেলার প্রায় সকল পলিটেকনিক থেকে হাজারো ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ইনভেনশন নিয়ে হাজির হলো প্রতিযোগিতা করার জন্য। সেদিন খুব সম্ভবত ১৫০শের বেশি প্রজেক্ট জমা হয়েছিল বিভিন্ন পলিটেকনিক থেকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে আমাদের প্রজেক্ট এবং আমরা ঢাকা জেলায় ২৬তম স্থান অর্জন করেছিলাম। ড্যাফোডিল পলিটেকনিক খুব সম্ভবত প্রথম স্থান অর্জন করেছিল।
    আমার পক্ষে এই পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হয়েছিল শুধুমাত্র চীফ ইন্সট্রাক্টর ইমরান স্যারের দেয়া মোটিভেশনের কারণেই। স্যারের কথা শুনে আমার মধ্যে একটা সাহস চলে আসে যে না আমি পারবো, আমি যেকোনো কাজ করার যোগ্যতা রাখি। গ্রীনল্যান্ড পলিটেকনিকের সেই স্মৃতিগুলো এখনো আমার মনে সংরক্ষিত আছে এবং থাকবে। প্রতিষ্ঠান ও স্যাররা আমার জন্য যে অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগিতা করে আমার এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে তার ঋণ কোনোদিনই শোধ করা যাবে না।
    একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং একজন ভালো শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন কিভাবে পরিবর্তন করতে পারে এবং কিভাবে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত উপহার দিতে পারে আমার এই অভিজ্ঞতা তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
    আমার প্রায় সময়ই ইচ্ছে করে পলিটেকনিকে যাই এবং সবার সাথে দেখা করি। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে সময় হয়ে ওঠেনা। তাই এবার একটা ভিডিও ধারণ করে নিয়ে আসলাম যেনো আমার যখনই প্রিয় গ্রীনল্যান্ড পলিটেকনিকের কথা মনে পড়বে তখনই আমি ভিডিওটি প্লে করে দেখে নেবো।
    আমার পলিটেকনিকের ক্লাসমেট বন্ধুদের অনেক মিস করি। জীবন যুদ্ধে তারা একেকজন একেক দিকে ছড়িয়ে রয়েছে, সব সময় তাদের দেখা পাওয়া যায় না। তবে যে যেখানেই থাকুক সবাই যেনো ভালো থাকে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এই দোয়া করি সব সময়।
    আমার সকল সম্মানিত শিক্ষক মহোদয়দের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তাদের সুস্থ্যতা কামনা করি। তারা যেনো সবসময় দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন।
    -------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    পলিটেকনিক সম্পর্কে কিছু তথ্য :
    গ্রীনল্যান্ড পলিটেকনিক বাংলাদেশের একটি নেতৃস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গ্রীনল্যান্ড গ্রুপের ক্রমবর্ধমান উদ্যোগের সর্বশেষ সংযোজন। এই সংযোজন প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে পরিবর্তন ও বৃদ্ধি আনতে গ্রীনল্যান্ড গ্রুপ ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী। এই ইনস্টিটিউট এখন কারিগরি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের জন্য দেশের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন মেটাতে প্রস্তুত যা আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি হিসাবে স্বীকৃত।
    এটি ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে 10 কিলোমিটার দূরে আমুলিয়ায় অবস্থিত গ্রীনল্যান্ড একাডেমিক কমপ্লেক্সের ছাদের নীচে গ্রীনল্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার লিমিটেড এবং গ্রীনল্যান্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট নামে অন্য দুটি কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি উপযুক্ত সংযোজন। গ্রিনল্যান্ড পলিটেকনিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য দেশের বিশাল মানবসম্পদ সম্ভাবনাকে প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার জন্য গ্রিনল্যান্ড ব্যবস্থাপনার অনুসন্ধানে নতুন প্রেরণা যোগ করেছে।

Komentáře • 8

  • @symptomhotfiver5095
    @symptomhotfiver5095 Před měsícem

    nice video

  • @SiamHowlader-gv2es
    @SiamHowlader-gv2es Před 22 dny +1

    Ayta khon jayga

    • @HelalKhanVlogs
      @HelalKhanVlogs  Před 22 dny

      @@SiamHowlader-gv2es এটা আমুলিয়া মডেল টাউনে অবস্থিত। ডেমরা স্টাফকোয়াটার থেকে বাসে যেতে ১০ মিনিট লাগে। রামপুরা থেকে বাসে যেতে ৩০-৪০ মিনিট লাগে।

  • @MstMim-g6q
    @MstMim-g6q Před 11 dny +1

    ভর্তি হতে কত টাকা লাগে?

    • @HelalKhanVlogs
      @HelalKhanVlogs  Před 11 dny

      @@MstMim-g6q ভিডিওতে শিক্ষকের বক্তব্য আছে। সেখানে নাম্বার দেয়া আছে, ফোন করলে সকল তথ্য খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

  • @Mehejabin-je5cl
    @Mehejabin-je5cl Před měsícem +1

    Etah ki government?

    • @HelalKhanVlogs
      @HelalKhanVlogs  Před měsícem

      @@Mehejabin-je5cl না, প্রাইভেট পলিটেকনিক।